জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।
যদি কোনো অংশ না ভিজে,তাহলে অযু,গোসল হবেনা।
হাদিসে বর্ণিত আছে- আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)
শরীয়তের বিধান হলো যদি হাতের ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে।
হযরত আবু তামীম জায়শানী রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. যখন অযু করতেন আংটি নাড়াচাড়া করতেন। আবু তামীমও তা করতেন। ইবনে হুবায়রাও তা করতেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১/৩৭১ (৪৫৬)
,
ফরজ গোসলের সময় যে সব স্থানে পানি পোঁছানো কষ্টকর; সে সব স্থানের উপরিভাগে পানি গড়িয়ে দিলেই যথেষ্ট হয়ে যায়। পানি পোঁছানোর জন্য এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া জরুরি নয় যে, যার কারণে কোন ক্ষতি হতে পারে। (ফাতাওয়া হাক্কানিয়া ২/৫৩২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে চামড়া টুকু যে একপাশে সরে বেশি জায়গা নিয়েছে,তারপরেও আপনি অযু করার সময় যেহেতু ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছেন,তাই আপনার অযু হয়ে গিয়েছে।
ঐ যে চামড়া একপাশে সরে বেশি জায়গা নিয়েছে,এটি তো তার স্থান থেকে সড়ানো কষ্টকর,ব্যথাও হবে,সুতরাং তার উপর দিয়ে যেহেতু ভালোভাবে পানি দিয়েছেন, সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার অযু হয়ে গিয়েছে।
এই তিন ওয়াক্তের নামাজ দোহরানো আপনার উপর আবশ্যক নয়।
আরো জানুনঃ