আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

নখ ও হাতের চামড়া যেখান থেকে শুরু সেই মিলিত পয়েন্টে সাদা স্বচ্ছ টাইপ একটা চামড়া থাকে।আপ্নারো আছে,খেয়াল করলে দেখবেন।সাইকেল এক্সিডেন্টে সেই জায়গা টুকু ছিড়ে যায় এবং চামড়া টুক একপাশে সরে বেশি জায়গা নেয়। আমি অযু করার সময় ভালমত ধুই,তবে বেশি জায়গা নেয়া অংশ ভেবেছিলাম এটা আমার নখের সাধারণ অবস্থার চামড়াই,এটা 'উপর থেকে সরে গেছে কেটে  গিয়ে এবং অন্য জায়গায় স্থান নিয়েছে'তা বুঝিনি।তাপরে দু তিন ওয়াক্ত পর সেই চামড়া যখন উঠে আসে তখন বুঝি।

যেহেতু শরীরের একটা অংশ এই চামড়া ছিল তা উঠে অন্য জায়গায় লেপন হয়েছে।পরে বুঝেছি। এতে কি অযুর সমস্যা হবে? কারণ এটা পানি পৌছাতে বাধা তৈরি করে এমন আবরণ চামড়া।তাই যখন সরে গিয়ে অন্যস্থানে সাময়িক ভাবে ছিল সেখানে নিচে পানি যায়নি,উপর দিয়ে গেছে। কিন্তু আমি তখন বুঝিনি। দু তিন ওয়াক্ত পরে বুঝেছি।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।
যদি কোনো অংশ না ভিজে,তাহলে অযু,গোসল হবেনা।

হাদিসে বর্ণিত আছে- আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)

শরীয়তের বিধান হলো যদি হাতের ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে  ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে। 

হযরত আবু তামীম জায়শানী রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. যখন অযু করতেন আংটি নাড়াচাড়া করতেন। আবু তামীমও তা করতেন। ইবনে হুবায়রাও তা করতেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১/৩৭১ (৪৫৬)
,
ফরজ গোসলের সময় যে সব স্থানে পানি পোঁছানো কষ্টকর; সে সব স্থানের উপরিভাগে পানি গড়িয়ে দিলেই যথেষ্ট হয়ে যায়। পানি পোঁছানোর জন্য এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া জরুরি নয় যে, যার কারণে কোন ক্ষতি হতে পারে। (ফাতাওয়া হাক্কানিয়া ২/৫৩২)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে চামড়া টুকু যে একপাশে সরে বেশি জায়গা নিয়েছে,তারপরেও আপনি অযু করার সময় যেহেতু ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছেন,তাই আপনার অযু হয়ে গিয়েছে।
ঐ যে চামড়া একপাশে সরে বেশি জায়গা নিয়েছে,এটি তো তার স্থান থেকে সড়ানো কষ্টকর,ব্যথাও হবে,সুতরাং তার উপর দিয়ে যেহেতু ভালোভাবে পানি দিয়েছেন, সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার অযু হয়ে গিয়েছে।

এই তিন ওয়াক্তের নামাজ দোহরানো আপনার উপর আবশ্যক নয়।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 125 views
asked Jan 24 in সালাত(Prayer) by MAA (2 points)
0 votes
1 answer 165 views
...