বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ الۡعٰمِلِیۡنَ عَلَیۡهَا وَ الۡمُؤَلَّفَۃِ قُلُوۡبُهُمۡ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الۡغٰرِمِیۡنَ وَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰهِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۶۰﴾
সাদাকাহ হচ্ছে শুধুমাত্র গরীবদের এবং অভাবগ্রস্তদের, আর এই সাদাকাহর (আদায়ের) জন্য নিযুক্ত কর্মচারীদের এবং (দীনের ব্যাপারে) যাদের মন রক্ষা করতে (অভিপ্রায়) হয় (তাদের), আর গোলামদের আযাদ করার কাজে এবং কর্জদারদের কর্জে (কর্জ পরিশোধে), আর জিহাদে (অর্থাৎ যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য) আর মুসাফিরদের সাহায্যার্থে। এই হুকুম আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, অতি প্রজ্ঞাময়।
(সুরা তওবা ৬০)
যে ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হবে।চায় সে ক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণের মালিক হোক বা অক্রমবর্ধমান মালের মালিক হোক।সর্বাবস্থায় ঐ ব্যক্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে ধনী হিসেবে বিবেচিত হবে। ঐ ব্যক্তির জন্য যাকাত গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না।বিস্তারিত জানুন-
1461
والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(ক্রমবর্ধমান নয়)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।
(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
699
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যেহেতু সেই সময়ে নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক ছিলেননা,আপনার উপর যেহেতু সেই সময়ে যাকাত প্রদান ফরজ ছিলোনা,সেই হিসেবে আপনার জন্য উক্ত বৃত্তির টাকা গ্রহন করা জায়েজ হয়েছে।
হারাম হবেনা।
হ্যাঁ,বাবার বেতন কম উল্লেখ করার দরুন মিথ্যা বলার গুনাহ হবে।
তবে সর্বপরি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উপবৃত্তি যেটি আপনাকে দেয়া হয়েছে,এটি আপনার জন্য হালাল।
তাই আপনাকে কোনো টাকা সদকাহ করতে হবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
যেহেতু আপনার কোনো টাকা সদকাহ করতে হবেনা,তাই অন্য কোনো আবশ্যকীয় প্রয়োজন না থাকলে ইনকাম করার দরকার নেই।
(০৩)
যদি সেই আত্মীয়ের পুরো ইনকাম বা অধিকাংশ ইনকাম হারাম হয়,সেক্ষেত্রে এগুলোর অর্থ সওয়াবের নিয়ত বাদে দান করে দিতে হবে।
আর তা না করা পর্যন্ত এগুলো ব্যবহার হারাম হচ্ছে।
হ্যাঁ যদি সেই আত্মীয়ের অধিকাংশ ইনকাম হালাল হয়,সেক্ষেত্রে এগুলোর অর্থ সওয়াবের নিয়ত বাদে দান করে দিতে হবেনা।
এগুলো ব্যবহার আপনার জন্য হালাল হচ্ছে।
(০৪)
যদি সেই আত্মীয়ের অধিকাংশ ইনকাম হালাল হয়,সেক্ষেত্রে সেই আত্মীয়ের বাসায় খাবার খেতে তো শুরু থেকেই সমস্যা নেই।
কিন্তু যদি সেই আত্মীয়ের পুরো ইনকাম বা অধিকাংশ ইনকাম হারাম হয়,সেক্ষেত্রে আপনি আপনার সেই আত্মীয়কে আগেই আপনার খাবার পরিমান খরচ দিয়ে দিবেন।
তাহলে আপনি নিজ টাকা থেকে খাচ্ছেন, বলা ধরা হবে,তাই এক্ষেত্রে হারাম খাওয়া হবেনা।
শুরুতেই একটা আনুমানিক টাকা সওয়াবের নিয়ত বাদে দান করে দেয়া, এটি এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি নয়।
আপনি কম করে খাবেন,আর যতটুকু খাবেন,ততটুকুর টাকা আগেই সেই আত্মীয়কে হাদিয়া হিসেবে দিয়ে দিবেন।
বা পরবর্তীতে সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।