আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
263 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (100 points)
closed by
১। আমি ঢাকায় পড়াশোনার জন্য খালার বাসায় থাকি,খালু ব্যাংক জব করেন। হলে সীট পেলে চলে ভার্সিটির হলে চলে যাব ইন শা আল্লাহ।

আমার জন্য কি এখানে খাওয়াটা জায়েজ হবে?

উল্লেখ্যঃআমার আর কোনো থাকার জায়গা নেই ঢাকায়।

২। যদি নাজায়েজ হয়,তাইলে কি হলে সীট না পাওয়া পর্যন্ত জায়েজ হবে কারণ আমার আর কোনো উপায় নেই?
closed

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-


https://www.ifatwa.info/398 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
ব্যাংকের চাকুরি হারাম হওয়ার মূল কারণ দু’টি।যথা-
১-হারাম কাজে সহায়তা করা।
২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা।

হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর আছে। শরীয়তে সব প্রকার সহায়তা হারাম নয়।বরং সে সব সহায়তাই হারাম যা সরাসরি হারাম কাজের সহিত জড়িত থাকে। যেমন, সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লিখে রাখা। সুদী টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে উসুল করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়,যে তার সাক্ষী হয়, এবং যে দলিল লিখে রাখে, তাদের সকলের উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তবে যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে  সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সরাসরি সুদের সাথে সম্পর্কিত কোনো পেশা হলে সেই পেশা,বেতন, পেনশন সবই হারাম।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত (আপনার খালু) যে ব্যাংক চাকুরীজিবি, তার বেতন নাজায়েজ হওয়ায় সে খাবার গ্রহন আপনার জন্য জায়েয নয়।
,
আপনি তার বাসায় থাকতে পারবেন,কিন্তু নিজ অভিভাবকের টাকায় হালাল খাবার খাবেন।
(০২)
খাওয়া জায়েজ হবেনা।
সীট পাওয়া পর্যন্ত খেলে অল্প খাবে,প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছুই করবেনা, আর যেই পরিমাণ হারাম খাবেন,সেই পরিমান খাবারের টাকা পরবর্তীতে সামর্থবান হওয়ার পর ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...