আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (67 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
১। গত ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঢাবির সাবেক শিক্ষক কর্তৃক মোটরসাইকেলে বসা মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি দিয়ে টেনে নেওয়ার কথা শুনে থাকবেন। এরপর অন্যান্য মেয়েরা বলা শুরু করল যে মেয়ে/মহিলারা মোটরসাইকেলে এক সাইড হয়ে বসে এজন্য পড়ে যায় দ্রুত। বাংলাদেশে শালীনতার দোহাই দিয়ে মহিলাদের মোটরসাইকেলে একপাশ হয়ে বসে থাকতে দেখা যায়, যেখানে দুই পা দুই দিকে দিয়ে বসাটা নিরাপদ। আমার একটা মুসলিম দেশে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, আলহামদুলিল্লাহ। সেখানে মেয়েদেরকে মোটরসাইকেলে দুই পা দুদিকে দিয়ে বসতে দেখেছি। এখন ইসলাম এই ব্যাপারে কি বলে? সাইকেল/মোটরসাইকেলে যাত্রী বা চালক হিসেবে বসলে কি মেয়েদের দুই পা দুদিকে দেওয়া শরীয়তসম্মত হবে?
২। https://www.ifatwa.info/62227/ তে (২,৩) বলেছি আমার অবস্থা। আমার তো এখন আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করে দুয়া করা উচিত। অথচ আমি দুয়া করা শুরু করলে প্রথম ২/১ দিন মরিয়া হয়ে দুয়া শুরু করি কিন্তু এরপর আর সেই flow ধরে রাখতে পারি না। এমন না যে আমি দুয়া কবুলের ব্যাপারে নিরাশ। কিন্তু একই দুয়া যখন লাগাতার করা লাগছে তখন একটা সময় পরে মন থেকে অনুভূতি হারিয়ে যায়। যখন হিদায়াত পেয়েছিলাম তখন প্রায় প্রতিদিনই কাঁদতে পারতাম। প্রতিদিন একই দুয়া, যিকর করছি তাই এগুলো আর হৃদয় ছুঁয়ে যায় না।
আগে এরকম হলে কুরআনের আয়াতগুলো পড়লে অনেক তৃপ্তি পেতাম, কিন্তু বহুবার পড়া হয়ে যাওয়ায় আর নতুন করে কোন সুধা আহরণ করতে পারি না কুরআন থেকে। দ্বীনদার মানুষের সঙ্গও সবসময় পাচ্ছি না। আমার যেই বান্ধবী আমাকে দ্বীনের কথা মনে করাত ও এখন প্রচণ্ড ব্যস্ত। আমার কোন ইনকাম না থাকায় অনলাইনে কোর্স করার ফি দেওয়া সামর্থ্যের বাইরে তাই সম্ভবও না। সিরাত পড়েও কোন অনুভূতি জাগ্রত হচ্ছে না, উপরন্তু হীনমন্যতায় ভুগছি সাহাবাদের গল্প শুনে। আমি একজন মৃত মানুষে পরিণত হয়েছি। তাহাজ্জুদে কষ্ট করে উঠতে পারলেও ঝিমাতে থাকি আর কোন দুয়া মাথায় আসে না, যদিও অনেক কিছু বলার আছে। দুয়া কবুলের আসল আসল সময়েও একই অবস্থা।

আমার এখন কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (566,940 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا

‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সাইকেল/মোটরসাইকেলে যাত্রী হিসেবে বসলে মেয়েদের দুই পা দুদিকে দেওয়া সমীচীন নয়। তাই তাহা শরীয়তসম্মত হবেনা।

এধরণের কাজ তাদের জন্য স্বভাবসিদ্ধ নয়, বরং পুরুষালী কর্ম এবং এতে প্রকারান্তরে তাদের বেহায়াপনা প্রকাশ পায়। আল্লাহ প্রকাশ্য ও গোপন যাবতীয় বেহায়াপনাকে নিষিদ্ধ করেছেন ।

তাদের দিকে পুরুষের কুদৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। এতদ্ব্যতীত তাদের স্বাস্থ্যগত এবং অন্যান্য ক্ষতির সমূহ আশংকা থাকে। যদিও প্রয়োজনে পর্দার সাথে তাদের বাইরে যাওয়া জায়েয রয়েছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «صنفان من أهل النار لم أرهما، قوم معهم سياط كأذناب البقر يضربون بها الناس، ونساء كاسيات عاريات مميلات مائلات، رءوسهن كأسنمة البخت المائلة، لا يدخلن الجنة، ولا يجدن ريحها، وإن ريحها ليوجد من مسيرة كذا وكذا»

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,জাহান্নামের দু'টি দল,যাদেরকে এখন পর্যন্ত আমি দেখিনি।(ক)ঐ দল যাদের সাথে গরুর লেজের মত লাঠি থাকবে যা দ্বারা তারা লোকদিগকে প্রহার করবে।(খ)ঐ সমস্ত পোশাকধারী উলঙ্গ মহিলা,যারা আকৃর্ষিত হবে এবং পুরুষদেরকে আকর্ষৃত করবে।তাদের মাথা উঠের পিঠের মত কুজো এবং আকর্ষনকারী হবে।তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।এমনকি তারা তার সুঘ্রাণ ও পাবে না।অথচ জান্নাতের সুঘ্রাণ এত এত দূরত্ব থেকে সহজেই পাওয়া যাবে।
(সহীহ মুসলিম-২১২৮)


আরো জানুনঃ- 

(০২)
আপনাকে যিকির করতে হবে।
হক্কানী শায়েখ,হক্কানি পীর সাহেবদের রেকর্ড কৃত বয়ান শুনতে পারেন,এতে ঈমান তাজা হবে,ইনশাআল্লাহ। 

প্রয়োজনে মাস্তুরাত জামাতে যেতে পারেন।
নিজ এলাকার কোথাও মহিলাদের তা'লিম হলে সেখানে যেতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
দুই পা একসাথে করে বসলে এক্সিডেন্টের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে কি করণীয়? আর এই শালীনতা কি উপমহাদেশীয় শালীনতা নাকি ইসলামি শালীনতা?  যদি ইসলামি শালীনতাই হয় তবে শুধু কেন বাংলাদেশে দেখা যায়, অন্য মুসলিম দেশে এটা নিয়ে কেউ কিছু বলে না কেন?
আর সাহাবিয়্যারা তো উটে উঠতেন। তারা কীভাবে বসতেন উটের উপর তার কোন দলিল প্রমাণ দেওয়া যাবে কি?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...