আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
১। গত ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ঢাবির সাবেক শিক্ষক কর্তৃক মোটরসাইকেলে বসা মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি দিয়ে টেনে নেওয়ার কথা শুনে থাকবেন। এরপর অন্যান্য মেয়েরা বলা শুরু করল যে মেয়ে/মহিলারা মোটরসাইকেলে এক সাইড হয়ে বসে এজন্য পড়ে যায় দ্রুত। বাংলাদেশে শালীনতার দোহাই দিয়ে মহিলাদের মোটরসাইকেলে একপাশ হয়ে বসে থাকতে দেখা যায়, যেখানে দুই পা দুই দিকে দিয়ে বসাটা নিরাপদ। আমার একটা মুসলিম দেশে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, আলহামদুলিল্লাহ। সেখানে মেয়েদেরকে মোটরসাইকেলে দুই পা দুদিকে দিয়ে বসতে দেখেছি। এখন ইসলাম এই ব্যাপারে কি বলে? সাইকেল/মোটরসাইকেলে যাত্রী বা চালক হিসেবে বসলে কি মেয়েদের দুই পা দুদিকে দেওয়া শরীয়তসম্মত হবে?
২।
https://www.ifatwa.info/62227/ তে (২,৩) বলেছি আমার অবস্থা। আমার তো এখন আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করে দুয়া করা উচিত। অথচ আমি দুয়া করা শুরু করলে প্রথম ২/১ দিন মরিয়া হয়ে দুয়া শুরু করি কিন্তু এরপর আর সেই flow ধরে রাখতে পারি না। এমন না যে আমি দুয়া কবুলের ব্যাপারে নিরাশ। কিন্তু একই দুয়া যখন লাগাতার করা লাগছে তখন একটা সময় পরে মন থেকে অনুভূতি হারিয়ে যায়। যখন হিদায়াত পেয়েছিলাম তখন প্রায় প্রতিদিনই কাঁদতে পারতাম। প্রতিদিন একই দুয়া, যিকর করছি তাই এগুলো আর হৃদয় ছুঁয়ে যায় না।
আগে এরকম হলে কুরআনের আয়াতগুলো পড়লে অনেক তৃপ্তি পেতাম, কিন্তু বহুবার পড়া হয়ে যাওয়ায় আর নতুন করে কোন সুধা আহরণ করতে পারি না কুরআন থেকে। দ্বীনদার মানুষের সঙ্গও সবসময় পাচ্ছি না। আমার যেই বান্ধবী আমাকে দ্বীনের কথা মনে করাত ও এখন প্রচণ্ড ব্যস্ত। আমার কোন ইনকাম না থাকায় অনলাইনে কোর্স করার ফি দেওয়া সামর্থ্যের বাইরে তাই সম্ভবও না। সিরাত পড়েও কোন অনুভূতি জাগ্রত হচ্ছে না, উপরন্তু হীনমন্যতায় ভুগছি সাহাবাদের গল্প শুনে। আমি একজন মৃত মানুষে পরিণত হয়েছি। তাহাজ্জুদে কষ্ট করে উঠতে পারলেও ঝিমাতে থাকি আর কোন দুয়া মাথায় আসে না, যদিও অনেক কিছু বলার আছে। দুয়া কবুলের আসল আসল সময়েও একই অবস্থা।
আমার এখন কি করা উচিত?