বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)
হাদীস শরীফে এসেছে
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।
হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে।
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)
তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার হায়েজ শেষ হওয়ার পর ২৫ তারিখ দুপুরে ১৫ দিন পূর্ণ হয়েছিল।
এক্ষেত্রে এরপর থেকে সাদা স্রাব ব্যাতিত অন্য যেকোনো কালারের স্রাব বের হলে তাহা যদি সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে,সেক্ষেত্রে এটিকে হায়েজ বলে গণ্য করবেন।
সাদা স্রাব বের হলে সেটি হায়েজ নয়।
সাদা স্রাব ব্যাতিত অন্য যেকোনো কালারের স্রাব বের হলে তাহা যদি সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত অব্যাহত না থাকে,সেক্ষেত্রে সেটিও হায়েজ নয়।