জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী আজানের সময় চুপ থাকা সুন্নত। একান্ত প্রয়োজন না হলে সাধারণ দ্বিনি ও দুনিয়াবি কথা বা কাজে লিপ্ত থাকা অনুচিত।
বক্তৃতা বা সেমিনার চলাকালে আজান হলে সাময়িক তা স্থগিত রাখবে। ওয়াজ বা কোনো দ্বিনি মাহফিল চলাকালেও তা সাময়িক বন্ধ রেখে সবাইকে আজানের জবাব দেওয়া উত্তম। মনে রাখতে হবে, একজন আজানের জবাব দিলে সবার পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যায় না। কেননা আজানের জবাব দেওয়া শ্রবণকারী সব মুসলমানের জন্য সুন্নত। আর আজানের জবাব দেওয়া সুন্নতে কেফায়া নয়। (ফাতহুল কাদির : ১/২৪৮, রদ্দুল মুহতার : ১/৩৯৯, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া : ৫/৪২৭)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ.
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাযি.) হতে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমরা আযান শুনতে পাও তখন মুআয্যিন যা বলে তোমরাও তাই বলবে। (বুখারী শরিফ আধুনিক প্রকাশনীঃ ৫৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৫৮৪)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কুরআন শরিফ পড়া চালিয়ে যাওয়া নাজায়েজ হবেনা,তবে অনুত্তম হবে।
উত্তম হলো এই সময়ে আযানের জবাব দেওয়া পর কুরআন তেলাওয়াত পুনরায় শুরু করা।
আরো জানুনঃ
""একাধিক মসজিদে আযান শোনা গেলে কোনটার জবাব দিতে হবে""
সংক্রান্ত জানুনঃ