আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
1.কোন মেয়ে ধরেন মা-বাবাকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলেছে।এখন মা বাবা জানার পর সেই ছেলের সাথে আবার বিয়ে দিতে চাচ্ছে। আবার আকদ আর কাবিন করাতে চাচ্ছে। শুধু মানুষকে দেখা তে। কিন্তু কাজী বলেছে কাবিন একবার হলে আর করাতে পারে না। করাতে হলে আগে নাকি তালাক হতে হবে। কিন্তু মেয়েটি আর স্বামী বলে না না মানে তালাক দিবে না । তহ স্বামী বলে ভুয়া কাবিন নামায় স্বাক্ষর করতে পারবে কিনা। কাজী বলে পারবে কিন্তু এতে মেয়েটির বাবার  অনুমতি লাগবে। আর আকদ ও পড়াবে। তহ মানুষকে জানানোর জন্যে ভুয়া কাবিন নামায় স্বাক্ষর করলে কি কোনো সমস্যা হবে? নতুন কাবিন নামায় মোহরানা আগের চেয়ে বেশি হলে কি সমস্যা হবে?

২. ধরেন মেয়েটিকে আর তার স্বামীকে  অন্য কোন  কাগজ বলে তালাকের কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিলে কি তালাক হবে? ধরেন বিয়ে হচ্ছে সেটা ভেবে না পড়ে সাঈন করলে স্বামী বা স্ত্রী তাহলে কি তালাক হবে? মানে বিয়ে দিবে বলে মেয়েটির মা বাবা ধোকা দিয়ে সাইন করিয়ে নিলে? ছেলেটির এখন একটু টাকা কম কিন্তু য্খন বিয়ে করে তখন ছিল। কিন্তু বাকি সব দিক দিয়ে ছেলেটি আরো এগিয়ে মেয়েটির  চাইতে।

3. কোন ব্যক্তি যদি ফোনে স্ত্রীকে মেসেজ লেখতে গিয়ে একটি শব্দ লিখতে গিয়ে ভুলে তালাক বা ডিভোর্স  চাপ দিলে কি তালাক হবে? মানে কোন শব্দ লিখার সময় উপরে কিছু শব্দ রেফারেন্স হিসেবে আসে। স্বামী যে শব্দ লিখতে চেয়েছে সেটা মনে করে ভুলে চাপ দিলে  অন্য শব্দ তাহলে কি তালাক হবে? চাপ দেওয়ার পর সাথে সাথেই কেটে যে শব্দ লিখতে চেয়েছে সেটা লিখলে কোনো সমস্যা হবে?  একই কাজ যদি কোন মহিলা করে যাকে তার স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছে তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে?

4. কোন মেয়েকে ধরেন তার স্বামী বলে তুমার ভালোর জন্য যদি তোমাকে ছেড়ে দিতে হয় তাহলে দিব। তারপর যদি বলে দেখ তোমার আব্বু কি বলে।যেটা বলে সেটা কর এমন বললে কি তালাক হবে?এর কয়েক ঘণ্টা পর মেয়েটির বাবা যদি তালাক দিতে বলে আর মেয়েটি যদি না দেয় তাহলে কি তালাক হবে? এরকম ঠিক একই কিনা সেটা মনে নেই, এরকম প্রশ্নের উত্তরে তালাক হবে না বলেছিলেন। এইটা এমনিতে জানার জন্য জিগ্যেস করলাম। ধরেন মেয়েটি আগে বলেছিল বাবা কি বলে দেখি সেটা করব। তাই স্বামী ধরেন এমনটা বলেছে।না হয় ধরেন বলত না।

5.কোন মেয়ে ধরেন বলল আত্বীয় স্বজনের মধ্যে বিয়ে তার ভাল লাগে না। চাচাতো, মামাতো, খালাতো  ইত্যাদি। সারাজীবন ভাই বোন ডাকছে আবার বউ জামাই।সে আসলে আল্লাহর আইনকে ভালো লাগে না সেটা বোঝাতে চায় নি। সেরকম বিয়ে হলে  স্বজনদের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যা, বিরোধ হয়  মনে হয় সেটা নিয়ে ভেবে বলে ফেলসে। মুটেও আল্লাহর আইনকে ভালো না লাগা বা এমন কিছু মনেও আনে নি। হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ের সাথে কথা বলার সময় বলেছিল। য্খন ওই মেয়ে গুলো বলতেছিল বিশ্রী ব্যাপার তখন মুসলিম মেয়েটির খারাপ লেগেছিল , আল্লাহর আইনকে বিশ্রী ব্যাপার বলায়। তবে সে কিছু বলে নি। এসবের পরে তার মাথায় হূস আসে এসবের কারণে কি ঈমান চলে যাবে? সে খুব টেনশনে। সে এত কিছু ভেবে বলে নি।আর সে আল্লাহর আইনকে খারাপ ভেবেও বলে নি, এমনটা সে মনেও আনে না।

6. একজন মানুষকে তার স্ত্রী বিশ্রী সেটা বলতেছিল ওনার ভাবি , মেসেজে কথা হচ্ছিল।তহ মানুষটি কয়েকজন নায়িকার ছবি দিয়ে বলে ১ জনের পরিবার নাই,সবাই ডিভোর্স, সাদা চামড়া দিয়ে সুখি নয়। এটা বুঝাতে চেয়েছেন সবাই ডিভোর্সি মানে নায়িকা ওরা। পরে স্ত্রি জানতে চায় কথাটা দ্বারা কি ওরা মানে নায়িকা ওরা ডিভোর্সি সেটা বুঝতে চেয়েছেন? স্বামী বলে হ্যা। স্ত্রী বলে আপনার মেসেজের লিখায় ভুল লিখছেন তাই বুঝি নাই। স্বামীটা আর কিছু বলে নি। স্বামী বুঝাতে চেয়েছেন নায়িকা ওরা ডিভোর্সি।তহ এখানে স্বামীর কোন কথা বলার দ্বারা কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


বিবাহের ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
আগের সেই বিবাহে পাত্রী বালেগাহ হয়ে থাকলে ও ২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে ইজাব কবুলের মাধ্যমে বিবাহ হয়ে থাকলে এখনকার বিবাহ এটি অনার্থক ও লোক দেখানোর জন্য মাত্র।
এর কোনো গ্রহনযোগ্যতা শরীয়তে নেই।

সুতরাং এক্ষেত্রে আগের বিবাহের মোহরানাই ধর্তব্য হবে,আগের বিবাহের কাবিননামাই ধর্তব্য হবে। 

নতুন কাবিন নামার কোনো গ্রহনযোগ্যতা,তাই নতুন মোহরানারও কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই।
আগেরটাই থাকবে।

সুতরাং তারা চাইলে ভুয়া কাবিন নামায় স্বাক্ষর করতে পারবে। 
তবে এর দরুন আইনি ভাবে কোনো সমস্যা হলে ধোকার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দরুন গুনাহ হবে। 

(০২)
মেয়েটিকে আর তার স্বামীকে  অন্য কোন  কাগজ বলে তালাকের কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিলে তালাক হবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে তার যেহেতু স্ত্রীকে তালাক প্রদানের কোনো উদ্দেশ্য নেই,তাই প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা। 

(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৬)
এখানে স্বামীর কোন কথা বলার দ্বারা তালাক হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...