বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
ক,
জানা মতে তিনি হক্কানী আলেম।
তবে বিভ্রান্তিকর অনেক ফতোয়া তিনি প্রদান করে থাকেন।
যাহা মাযহাব বিরোধী,এ বিজ্ঞ স্কলারদের রায়ের খেলাফ।
খ,
হাদীস শরীফে এসেছে-
عن أبي سعيد الخدري عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : أكثروا ذكر الله عز و جل حتى يقال إنه مجنون(مسند عبد بن حميد، من مسند أبي سعيد الخدري، رقم الحديث-925)
অনুবাদ-হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা অধিক পরিমাণ আল্লাহর জিকির কর যেন লোকেরা তোমাদের পাগল বলে। (মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-৯২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৮১৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১১৬৫৩, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৫২৩}
আরো জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এই হাদীস জাল নয়।
সুতরাং তার কথা সহীহ নয়।
গ,
এই ফতোয়া সহীহ নয়।
ঘ,
টেনে পড়লেই তাহা মিলাদ হয়না।
টেনে পড়লে অনেক ক্ষেত্রে অর্থ বিকৃত হয়,তাই এভাবে পড়া ঠিক নয়।
ঙ,
পাওয়া তথ্য মতে তিনি কোনো সময়ে মিলাদ কিয়াম করেছিলেন।
চ,
এখানে তো বাহাসই হয়নি।
তাই কাউকে জয়ী বা পরাজিত বলা যায়না।
আর স্বপ্নের দ্বারা শরীয়তের বিধান সাব্যস্ত হয়না।
ছ,
i.
তারা সবসময় হক এর উপরে থাকবে,এমনটি পুরোপুরি নিশ্চিত ভাবে বলা ঠিক হবেনা।
ii.
এটি কেউ কেউ বলে থাকেন,তবে কথাটির সত্যতা পাইনি।
জ,
এসবই বিদআত ও নাজায়েজ।
ঝ,
এগুলো বিদআত,ও ইহুদি খ্রিস্টানদের সাথে সাদৃশ্যতা।
ঞ,
আওলাদে রাসুল কাউকে মানা হলেই তিনি আর বিদআত করবেননা,এমনটি তো বলা যায়না।
শরীয়তের খেলাফ যেকোনো ব্যাক্তির কাজই নাজায়েজ।
ব্যাক্তি হিসেবে কোনো আলাদা হুকুম হবেনা।