বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
3944 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
পুরুষের জন্য তো সিল্ক হারাম করা হয়েছে।
আলী (রাঃ) হতে বর্নিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) আমাকে একজোড়া রেশমী কাপড় দিলেন। আমি তা পরিধান করলাম। তার মুখমণ্ডলে গোস্বার ভাব দেখতে পেয়ে আমি আমার মহিলাদের মাঝেে তা বণ্টন করে দিলাম। বুখারিঃইঃফাঃ৫৪২২ আহমাদঃ ১১৭১
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রসূলূল্লাহ (সাঃ) কে দেখেছি, তিনি ডান হাতে রেশম ধরলেন এবং বাম হাতে সোনা, অতঃপর বললেন, আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য এ দু’টি বস্তু হারাম।’’ আবু দাউদঃ ৪০৫৭, নাসায়িঃ ৫১৪৪, ইবন মাজাহঃ৩৫৯৫
যদি কোনো কাপড়ে সিল্কের সাথে ফ্রেব্রিক্স মিস্কড থাকে, তাহলে সিল্কের পরিমাণ বেশী সে কাপড় পরিধান নাজায়েয। আর সিল্কের পরিমাণ কম থাকলে অনুমোদনযোগ্য।তবে পরিত্যাগই শ্রেয়।
যদি কোনো কাপড় সম্পর্কে বুঝা যায় না যে তাতে সিল্ক রয়েছে কি না,তাহলে সে কাপড় সম্পর্কে তথ্য নেয়া হবে।যদি তথ্য উপাত্ব থেকে বুঝা যায় যে,তাতে সিল্ক রয়েছে,তাহলে সেই কাপড় ব্যবহার না করাই উত্তম।
রসুলুল্লাহ (সাঃ) আরও বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশম, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল সাব্যস্ত করবে। সহীহ বুখারীঃ ৫৫৯০
পুরুষদের জন্য হলুদ ও লাল জামা পরার ব্যাপারে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। লাল ও হলুদ রঙ পুরুষদের জন্য এই কালারের পাঞ্জাবিও এড়িয়ে চলতে হবে। রসুলুল্লাহ( সাঃ) আমর ইবনুল আস (রাঃ) কে দুইটি হলুদ রঙয়ের কাপড় পরা অবস্থায় দেখলেন। তিনি তখন বলেন, এই রঙ কাফেরদের জন্য, এই রঙের কাপড় পরিধান করো না। মুসলিমঃ ৫২৬০
উমার(রাঃ) বলেন,রসুলুল্লাহ (সাঃ)আমাদেরকে লাল রঙের পোশাক পরতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ,ইবনে মাজাহঃ ৩৫৯১)
তবে শুধু এক কালারের লাল না হয়ে যদি লালের মাঝে অন্য রঙের স্ট্রাইপ/চেক থাকে তাহলে সেটা পরা জায়েজ আছে। তবে অন্য রঙের স্ট্রাইপ/চেক থাকলেও তাকওয়ার খাতিরে লাল রঙ এড়িয়ে চলাই উত্তম। তাই পোশাকের ব্যাপারে আমাদের একটু সচেতন হতে হবে।
আসুন এরূপ আরও কিছু হাদীস দেখে নেইঃ সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ২৭/ পোশাক-পরিচ্ছদ, হাদিস নম্বরঃ ৩৯৯৭
باب مَا جَاءَ فِي الْخَزِّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ نَجْدَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، حَدَّثَنَا عَطِيَّةُ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ غَنْمٍ الأَشْعَرِيَّ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو عَامِرٍ، أَوْ أَبُو مَالِكٍ – وَاللَّهِ يَمِينٌ أُخْرَى مَا كَذَبَنِي – أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” لَيَكُونَنَّ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّونَ الْخَزَّ وَالْحَرِيرَ ” . وَذَكَرَ كَلاَمًا قَالَ ” يُمْسَخُ مِنْهُمْ آخَرُونَ قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ” .
আবদুল ওয়াহাব ইবনে নাজদা (রঃ) ………আবূ আমির বা আবূ মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শোনেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে (পরবর্তীকালে) এমন লোক সৃষ্টি হবে, যারা রেশম মিশ্রিত বা শুধু রেশমের তৈরী কাপড় (ব্যবহার করাকে) হালাল মনে করবে। এরপর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য কিছু বর্ণনা করার পর বলেনঃ এদের কিছু লোক কিয়ামত পর্যন্ত বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিবেন।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রেশম হারাম।তবে কৃত্রিম রেশম হারাম হবে না।