আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (129 points)
edited by
প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে

১, যদি প্রতিযোগী ব্যতিত আয়োজক কর্তপক্ষ নিজ থেকে অথবা ৩য় কোনো কোম্পানি স্পন্সর করে পুরস্কারের টাকা হিসেবে তাহলে কি তাতে অংশ নেয়া ও পুরস্কার নেয়া জাইজ? কোম্পানি স্পন্সর করে নিজেদের মার্কেটিং এর উদ্দ্যেশ্যে।

২,যদি আয়োজক নির্দিষ্ট একটা পন্য কিনতে বাধ্য করে,আর রেজিস্ট্রেশান বাবদ কোনো ফি না নেয়।আর পণ্যটির দাম ও সুলভ থাকে।(কোনোবাড়াবাড়ি বা অস্বাভাবিক দাম নয়) তাহলে কি জাইজ?

৩, অনেক সময় বিভিন্ন ইসলামিক সংস্থা একটা নির্দিষ্ট বই কিনতে বলে তার উপর ইসলামিক কুইজ প্রতিযোগিতা হয়। এবং বইটি নির্দিষ্ট দোকান থেকেই কিনতে হয়।এক্ষেত্রেও বাড়াবাড়ি দাম বা অস্বাভাবিক দাম থাকেনা।এটা কি জাইজ?

৪ যদি আয়োজক একটা ফি নেয়।কিন্তু ফি এর সর্বমোট অর্থ পুরস্কার এর সমান হয়না বরং কম হয়।এবং সেই টাকা থেকে আয়োজন করতে ব্যয় মেটানো হয় এবং কোনো স্পন্সর থাকেনা তাহলে কি জাইজ?

৫, কোনো পত্রিকায় কুইজ প্রতিযোগিতা হচ্ছে,সাধারণত প্রতিযোগিরা সেই পত্রিকা পড়িনা,কেনার দরকার ও নেই।কিন্তু প্রতিযোগিতায় অংশ নেবার ক্ষেত্রে যদি প্রতিযোগিরা কেনে।আর যদি কোনো ফি না নেয়।তাহলে কি জাইজ হবে?

৬, যদি একই নাম্বার একাধিক মানুষ পায়।অর্থাৎ ১ম একাধিক হয়।সেখান থেকে লটারি করে একজনকে ১ম ঘোষণা করে তাকে ১ম পুরস্কার দেয়া জাইজ?

৭,যদি এমন হয় কিছু প্রতিযোগী টাকা দিচ্ছে,আর অল্প কয়েকজনকে ফ্রিতে করতে দিচ্ছে যাতে জুয়া না হয়।এরপর সেই টাকা দিয়ে পুরসকার দেয়া জাইজ? কিছু আলিম বলেছে জাইজ

৮,স্কুল কলেজে ব্যবহারিক পরীক্ষায় দপ্তঅরি পিওনকে টাকা না দিলে তারা হেল্প বা সাহায্য সুলভ আচরণ করেনা আবার অনেক সময় নাম্বার কম দেয়( সবসময় না)। এক্ষেত্রে হয়ত জোরাজুরি করর টাকা না দিলে রাগ করে কিন্তু এত বাতচিৎ করতে মন চায়না। এক্ষেত্রে টাকা দিলে কি পাপ হবে? টাকা দিলে হেল্প করে।এখন এটা স্যারেরা জানেও। নাকি টাকা দেয়াটা ঠিক আছে তবে হেল্প নেয়া নয়

9,মুখে আঘাত করা হারাম জানি।কিন্তু যদি এমন সিচুয়েশান আসে মুখে আঘাত না করে উপায় নাই,আর সে আমার থেকে সম্পদ বা জীবন বা অংগহানি সেক্ষেত্রে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ফিস যদি না থাকে,এবং যদি শরীয়ত বিরোধী কোনো কর্মকান্ড তাতে না থাকে,
তাহলে ছেলেদের জন্য তাতে অংশ গ্রহন জায়েয। তবে যদি ফিস থাকে,তাহলে জায়েয হবে না। কেননা তখন এটা জুয়া হয়ে যাবে,যা পরিস্কার হারাম।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ ۖ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا  [٢:٢١٩]

তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের জন্যে উপকারিতাও রয়েছে,তবে এগুলোর পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়। [সূরা বাকারা-২১৯]

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٥:٩٠]
إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَن ذِكْرِ اللَّهِ وَعَنِ الصَّلَاةِ ۖ فَهَلْ أَنتُم مُّنتَهُونَ [٥:٩١]

হে মুমিনগণ,এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।
শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে? [সূরা মায়িদা-৯০-৯১]

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত প্রতিযোগিতা যদি কোনো বৈধ বিষয়ক হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ও পুরস্কার নেয়া জায়েজ।

(০২)
হ্যাঁ, জায়েজ।

(০৩)
এটিও জায়েজ। 

(০৪)
এটির এক টাকাও যদি পুরস্কারে যায়,সেক্ষেত্রে উক্ত প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন হারাম হবে।

সুতরাং ৩য় পক্ষ পুরোপুরি পুরস্কার না দিলে প্রতিযোগিদের থেকে ফি নিয়ে পুরস্কার দিলে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন জায়েজ হবেনা।

(০৫)
হ্যাঁ, জায়েজ হবে।

(০৬)
উক্ত প্রতিযোগিতা যদি বৈধ বিষয়ক হয়, সেক্ষেত্রে এই ছুরতটি জায়েজ।

(০৭)
উক্ত ছুরতটিও জুয়ার অন্তর্ভুক্ত, বিধায় তাহা জায়েজ নয়।

(০৮)
এটি ঘুষের অন্তর্ভুক্ত, বিধায় তাহা আদান প্রদান উভয়টিই গুনাহ।

(০৯)
যদি এমন সিচুয়েশান আসে মুখে আঘাত না করে উপায় নেই,সেক্ষেত্রে নিজে মাজলুম হয়ে জালিমের মুখে আঘাত করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...