আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
409 views
in সালাত(Prayer) by (48 points)
জামাতের ৩ রাকাত পরে জয়েন করি। নিজে পড়ার ২য় রাকাতে আমার সূরা মিলানোর কথা ছিল। কিন্তু ভুলবশত আমি ফাতিহা পড়ে আল্লাহু আকবার বলে ফেলি। বলে আমি নিজেও হালকা থতমত খাই, কিন্তু যেহেতু তাকবির দিয়ে ফেলেছি, নামাজ চালিয়ে যাই ও শেষে সাহু সিজদাহ দেই।
এখানে আমি যে সুরা না মিলিয়ে রুকুতে চলে গেলাম, আমার কি ইচ্ছাকৃত ওয়াজিব তরক করলাম, মানে আমার নামাজ কি ফাসিদ হয়ে যাবে? নাকি সাহু সিজদাহ দিয়ে আমার ওয়াজিব তরকের ভুল মাফ হিয়ে নামাজ হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নুরুল ইযাহ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
سجدتان بتشهد وتسليم لترك واجب سهوا وإن تكرر، وإن كان تركه عمدا أثم ووجب إعادة الصلاة لجبر نقصها،
কোনো ওয়াজিবকে কেউ ভুলে তরক করে ফেললে,সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। একই নাসাযে বারংবার ভুলে ওয়াজিব তরক করলে একই সিজদা সাহু ওয়াজিব হবে। যদি কেউ নামাযে ইচ্ছাকৃত কোনো ওয়াজিবকে তরক করে ফেলে তাহলে সে গোনাহগার হবে।এবং ক্ষতিপূরণবাবদ নামাযকে আবার দোহড়াতে হবে।

মারাকিল ফালাহ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
وإن كان تركه" الواجب "عمدا أثم ووجب" عليه "إعادة الصلاة" تغليظا عليه "لجبر نقصها" 
যদি কেউ নামাযে ইচ্ছাকৃত কোনো ওয়াজিবকে তরক করে ফেলে তাহলে সে গোনাহগার হবে।এবং ক্ষতিপূরণবাবদ নামাযকে আবার দোহড়াতে হবে।এটা নামাযীর প্রতি সতর্কতামূলক বিধান।(মারাকিল ফালাহ-১/১৭৮)


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাকবীর বলার পর যেহেতু আপনি রু'কুতে এখন পর্যন্ত যাননি।তাই বুঝা গেল যে,আপনার স্বরণে কেরাত রয়েছে।এখন রু'কুতে যাওয়া মানে স্বেচ্ছায় ওয়াজিব তরক করা।তাই আপনাকে আবার নামায দোহড়িয়ে পড়তে হবে।এখানে সিজদায়ে সাহু দিলে হবে না।কেননা এখানে আপনি ইচ্ছাকৃত নামাযের ওয়াজিবকে তরক করছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 233 views
...