আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

আমি নিজের  তিনটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই।

 ১. আমি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ছবি, আর্ট বিক্রি করি। সেখানে একটা পন্যের দাম ৫-১০০ ডলার দেওয়ার অপশন আছে। তবে বেশির ভাগ বিক্রেতা ৬-২৫ ডলার দামে বিক্রি করছে। আমার মুল দাম ১০ডলার  কিন্তু আমি সেটিকে বারিয়ে ১০০ ডলার করে দিলে তারা কাস্টমারকে  কিছু সময় এর জন্য ডিস্কাউন্ট দেখায় 90$ OFF । অর্থাৎ এই সময় এর মধ্যে যদি কেউ পন্যটি ক্রয় করে তাহলে তাকে নতুন দামে কিনতে হবে না। সে ১০ ডলার দিয়েই পন্যটি কিনবে কিন্তু মার্কেটপ্লেস আমাকে ১০০ ডলারই দিবে এবং এটা তাদের শর্তে লিখা আছে যে তারা চাইলে যেকোন পন্যে ডিস্কাউন্ট দিতে পারে  এবং এটা তাদের পক্ষ থেকে তাই মালিক তার প্রাপ্য টাকা পাবে। কিন্তু তারা চায় আমরা যেন বাকি সবাই যেভাবে বিক্রি করছে সেভাবে বা সেই কাছাকাছি দামে বিক্রি করি।  এক্ষেত্রে আমি তাদের ডিস্কাউন্টের সিস্টেমটা বুঝে গিয়েছি এবং আমি জানি কিভাবে দিলে অন্য কারো পন্যে ডিস্কাউন্ট না দিলেও আমার পন্যটায়  ডিস্কাউন্ট পাব।  তারা চাইলেই প্রতিটা পন্যের দাম নিয়ত্রন করতে পারে যেভাবে তারা ডিস্কাউন্ট এর সিস্টেম তাদের হাতে রেখেছে, কিন্তু তারা সুযোগ দিয়ে রেখেছে ১০০$ পর্জন্ত পন্যের দাম দেওয়া যাবে।  এখন আমি যদি সবার সাথে মিল/কাছাকাছি দাম না রেখে ১০০$ দাম দিয়ে পন্য বিক্রি করি তাহলে কি আমার আয়টা হালাল হবে?

আরেকটি কথা আমাদের বর্তমান দামের থেকে ৪০% এর কম দাম বাড়ালে সেটি সরাসরি কাস্টমারকে দেখায় তারা চেক করে না। কিন্তু ৪০% এর বেশি দাম দেই তাহলে সেই দাম তারা ম্যানুয়ালি চেক করে এপ্রুভাল দেওয়ার পরেই কিন্তু কাস্টমারের কাছে দেখায়। অর্থাৎ আমার পন্য ১০$ কে ৯০$ বারিয়ে ১০০$ করলে ৪০% এর বেশি দাম বাড়ানো হয় এবং তাদের শর্ত অনুযায়ী সেটা ম্যানুয়াল চেক করবে।  তার মানে এটা দাড়াল যদি আমার দাম অগ্রহযোগ্য হত তাহলে তারা সেটি এপ্রুভ করত না আর কাস্টমারো ডিস্কাউন্টে পন্য ক্রয় করত্র পারত না।

২. যদি আমার পন্যে ডিস্কাউন্ট আসে সেটি কিছু সময় এর জন্য দেখায়। এই সময় এর মধে আমি নিশ্চিত নই যে আমার পন্যটি কেউ কিনবে কিনা। যদি সময় এর মধ্যে বিক্রি না হয় তাহলে আমি ডিস্কাউন্টের জন্য কোন টাকা পাব না। তাই আমি যদি কাস্টমার হিসেবে অন্য নামে একাউন্ট খুলে নিজের পন্য নিজে কিনি তাকি জায়েজ হবে? ডিস্কাউন্টের টাকাটা আমার মার্কেটের একাউন্টে জমা হবে তাই এক্ষেত্রে আমি লাভবান হব। কারন মার্কেট জানবে এই পন্যটা কোন কাস্টমারের কাছে বিক্রি হয়েছে। এখত্রে তাদের লস হবে না কারন একজন কাস্টমার যে দামে আমার পন্য কিনতো সেই একই দামে আমিও  আমার পন্যকিনব।

৩. আরেকটা বিষয় হলো প্রায় সব  অনলাইন মার্কেটপ্লেসেই শর্ত হচ্ছে একজন মানুষ শুধু একটি একাউন্ট খুলতে পারবে একজনের নামে। একই পরিবারের অনেকের নামে একাউন্ট খুললেও সমস্যা নেই।এখন আমি যদি আমার পরিবারের অন্য কারও নামে একাউন্ট খুলে বিজনেস করি তবে কি সেই আয় হালাল হবে? কারন একই পরিবারের অনেকেরই একাউন্ট থাকতে পারে শুধু পার্থক্য হচ্ছে সবার একাউন্ট আমি নিজে চালাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উত্তাপিত বিষয় পূর্বে ছিলনা। যেজন্য এসবের বিধান পূর্বের কোনো কিতাবে স্পষ্ট পাওয়া যাচ্ছে না।হ্যা, মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে, বর্ণিত বিবরণ অনুযায়ী উক্ত ক্রয়-বিক্রয়ে নিষিদ্ধতার আওতাধীন হবে না। তবে কম্পানির পলিসি অনুযায়ী কোনো পণ্যর মূল দর থেকে অতিরিক্ত দর হাকানো যাবে না।কেননা তখন সুযোগে সৎ ব্যবহার হবে,যা ধোকার নামান্তর হবে।


(২)
উক্ত পণ্যকে নিজে ক্রয় করতে পারবেন না।

(৩)
একই ব্যক্তির জন্য একাধিক একাউন্ট পরিচালনা করা কম্পানির পলিসির খেলাফ। সুতরাং এটা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...