আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।পয়েন্ট অনুযায়ী শুধু উত্তর দিলেই হবে ব্যাখ্যা করে বলতে হবে না।আমি ওয়াস ওয়াসার রোগি।
১.হাসবেন্ড যদি বলে তোমার ভাল না লাগলে বা তুমার ইচছা হইলে বা মন চাইলে তুমি ছাইড়া দিও বা তুমি ডিভোর্স দিয়া দিও। এর দারা ত বুজাই তোমার যখন ইচছা বা যখন মন চাই।যেহেতু সময় নির্দিষ্ট না। এতে কি সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে? ইমদাদুল হুজুর বলেছিলেন সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে। আমি ওয়াস ওয়াসা রোগি তাই আপনার কাছে শুনলে হইত শান্তি লাগবে।
ক।আর যদি বলে অই সময় এর জন্য রাগ কইরা বলসে। তাইলেও কি অই মজলিশ পরজন্ত অধিকার দেওয়া বুজাবে?

উল্লেখ্য হাসবেন্ড যখন বলসে তখন আমি কিছুই বলছিলাম ন।। অনেক দিন পর বলছি।
২.আমি হাসবেন্ড কে মেসেজে  একদিন বলেছিলাম মুক্তি দেও।আমি তখন কেনায়া তালাক সম্পর্কে  জানতাম না।আমি হাসবেন্ড  কে ভয় দেখানো  বা অইটা বললে হাসবেন্ড  কি বলে তা জানার  জন্য  বলেছিলাম বা ভবিষ্যতে ডিভোর্স দিয়া দেয় এমন টা বুজাইছিলাম।আমি তখন বুজতাম না  কাগজ  কলম ছাড়া মুখে  ডিভোর্স  দিয়া  যায় জানতাম না।হাসবেন্ড  ভাবসে আমি এম্নেই রাগ কইরা বলসি একটু পর ঠিক সব হইয়া যাবে।তখন হাসবেন্ড তালাকের কোন নিয়ত  ছাড়া  বলেছিল মুক্তি দিলাম।  বলেছিলেন  এতে তালাক হবে না যেহেতু নিয়ত ছিল না। আমার ওয়াস ওয়াসার সমস্যা আছ।। সন্দেহ  হই খালি যে আপনি কি ভাল করে পরছিলেন কিনা।আপনি যদি আবার বলতেন এতে তালাক হবে কিনা?

৩.আমি হাসবেন্ড  কে অনেক বার তার নিয়ত  সম্পর্কে  জিজ্ঞেস করসি।তারে অনেক বিরক্ত করসি তার কথা আমার  বিশ্বাস হত না শয়তানের ওয়াস ওয়াসায়।

আমি তারে জিজ্ঞেস করসি তুমি কি এই কথা দারা বুজাইছো যে আমি আমার বউ কে তালাক দিলাম বা একবারে ছাইড়া  দিলাম।এখন সে যদি আমার মেসেজ অইটুকু পরার সময়  তার মনে তালাক দিলাম বা ছাইড়া দিলাম  চিন্তা চলে আসে এবং  মেসেজে উত্তর দেয় যে আমি কখনো তালাক দিলাম বা ছাইড়া  দিলাম বলি নাই।এইটা লেখার সময়  ও যদি তালাক বা ছাড়ার চিন্তা  আসে। কিন্তু  বাস্তবে ত সে তা বলে নাই কখনো। শুধু আমার মেসেজ  পরার সময় বা মেসেজে উত্তর দেওয়ার সময় মনে অই ধরনের  চিন্তার জন্য  কি তালাক হবে মুুখে  যদি না বলে?আর.আগে সত্যি সত্যি সে কখনো অইগুলা বলে নাই।

৪.হাসবেন্ড  ছাইড়া দিলাম তালাক দিলাম  বলেছিল কিনা তা মনে করার জন্য বউ  যদি নিজেকে হাসবেন্ড মনে করে মানে হাসবেন্ড  এর হয়ে নিজে নিজেকে বলে ছাইড়া দিলাম তালাক দিলাম তাইলে কি এতে তালাক হয়ে যাই।হাসবেন্ড  বলে নাই।

৫.কিছু বিষয় আছে যার সমাধান   দিছেন যে তালাক হই নাই।যেমন....থাকব না ;যাব গা সংসার করব না;তুমার সাথে সম্পর্ক  নাইব...বউ এগুলা বলাই হাসবেন্ড  তালাকের নিয়ত  ছাড়া  বলসে জাও গা, না থাকলা,বাড়িতে এসে যেন তুমাকে না দেখি,আমার  সন্তান দিয়া যেখানে খুশি  জাও।এখন সব বিষয়  কি আবার বইলা মাসালা নেওয়ার দরকার আছে।নাকি আপনার  মাসালা  অনুযায়ী  সংসার করতে পারব?

৬.অনেক বিষয়  আছে আমার খালি মনে হই হাসবেন্ড  হইত বলসে কিন্তু  আমি সিওর  না।আমি বলসি ছাইড়া দেও..তখন কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানতাম না।বা এখনি তালাক দিক এমন টা বুজাই  নাই।ভবিষ্যতে জানি ডিভোর্স দিয়া দেয় এমন টা বুজাইছি।।তখন যদি হাসবেন্ড  বলে যাও গা।বলছে নাকি তাও সিওর না।তালাক বা ছাড়ার  কোন নিয়ত  না করে।ওলি উল্লাহ হুজুর  বলেছিলেন তালাক হবে না?  হাসবেন্ড কে জিজ্ঞেস করলে বলে তুমি ছাড়ার কথা যখন বলস তখন আমি কিছুই  বলি নাই বা কিছু  বলসি নাকি মনে নাই

৭.এখন  আমাকে সমাধান  দিন হুজুর। মাসালায় যদি দিমত আসলে আমার করনিয় কি। আমি কি সংসার করতে পারব। আমি চিন্তায় পাগল হইয়া গেসি।অনেক কিছু না বুজার কারনে না জানার কারনে শয়তানের ওয়াস ওয়াসার কারনে ভালো  একটা সম্পর্ক নিয়া সন্দেহ তে পরে গেসি হুজুর। আমাদের কি আরও কোন হুজুর  থেকে মাসালা  নেওয়ার দরকার আছে? যা না ঘটছে এমন অনেক প্রশ্ন মাথায় আসে।আমাাদে  সম্পর্ক  ভাল।। শুধু রাগ বশত এগুুুলা না জানার কারনে এই বিপদে পরে গেসি আরও সমস্যা হল যে আমিি ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত হয়ে গেসি জা হাসবেন্ড  এর উপর অনেক প্রেশার দিয়া ফেলসি।আমার  একটা ২মাসের বাবুু আছে। এখন কিছু হয়ে গেলে মরা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/36539/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-

وفی الدر المختار مع رد المحتار:

"قال لها أنت طالق إن شئت فقالت شئت إن شئت أنت، فقال: شئت ينوي الطلاق أو قالت شئت إن كان كذا لمعدوم) أي لم يوجد بعد كإن شاء أبي أو إن جاء الليل وهي في النهار (بطل) الأمر لفقد الشرط..(وإن قالت شئت إن كان الأمر قد مضى) أراد بالماضي المحقق وجوده كإن كان أبي في الدار وهو فيها، أو إن كان هذا ليلا وهي فيه مثلا (طلقت) لأنه تنجيز (قال لها أنت طالق متى شئت أو متى ما شئت أو إذا شئت أو إذا ما شئت فردت الأمر لا يرتد ولا يتقيد بالمجلس ولا تطلق) نفسها".
(ج:٣,ص:٣٦,ط: دار الفكر)
সারমর্ম:-
যদি স্বামী বলে যে তুমি তালাক যখন যখন চাইবে অর্থাৎ যখন তুমি চাইবে তখন তালাক,,,,তারপর বিষয়টি ফিরিয়ে নিতে চাইলে ফিরিয়ে নেয়া যাবেনা।
এবং মজলিসের সহিত সীমাবদ্ধ থাকবেনা। 

আরো দলিল জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বামী বলেছে,
তোমার মন চাইলে, তোমার ইচ্ছা হলে তুমি ডিভোর্স দিয়ে দিও,এক্ষেত্রে এর অর্থ দ্বারায় যখন তুমি চাইবে তখন তালাক দিও।
এর দ্বারা স্ত্রীর তালাকের অধিকার মজলিসের সাথে সীমাবদ্ধ থাকবেনা।

বরং স্ত্রী চাইলে পরবর্তীতেও নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করতে পারবে। 

★এর আগে আপনি উল্লেখ করেছিলেনঃ-
হাসবেন্ড যদি বলে তুমার ভাল না লাগলে তুমি ছাইড়া দিও ডিভোর্স দিয়া দিও,  তুমার যখন ইচ্ছা।

এর দ্বারা স্ত্রীর তালাকের অধিকার মজলিসের সাথে সীমাবদ্ধ থাকবেনা।

বরং স্ত্রী চাইলে পরবর্তীতেও নিজের নফসের উপর তালাক প্রদান করতে পারবে। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৪)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
তবে এক প্রশ্নের স্ত্রী যেহেতু তালাকের অধিকার প্রাপ্তা,তাই সে তালাকের নিয়তে উক্ত বাক্য বললে তালাক হয়ে যাবে।

(০৫)
জী,আপনি সংসার করতে পারবেন।
এসব ক্ষেত্রে পুনরায় মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করতে হবেনা।

(০৬)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৭)
মাসয়ালায় দ্বীমত থাকলে যেক্ষেত্র দলিল স্পষ্ট, সেই বিধান মানবেন।

উপরোক্ত সমস্ত জবাব অনুপাতে আপনি নিজেকে পরবর্তীতে তালাক প্রদান করে থাকলে আপনি পুনরায়  বিবাহ পড়িয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...