আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (32 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ উস্তায।

একজন ব্যক্তি চুরি হওয়া মোবাইল গুলো নিজে কিনে তারপর সেগুলো আবার বিভিন্ন কাস্টমারদের কাছে সেল করেন লাভ রেখে। এটাই ওনার ব্যবসায়।এটা কি হারাম না?

যদি হারাম হয় তাহলে ওই ব্যক্তির বাসায় বেড়াতে গিয়ে যদি ২-৩ দিন থাকতে হয় আর ওনার ইনকাম এর টাকা থেকে আনা খাবার ই খেতে হয় একপ্রকার বাধ্য হয়েই কারণ ওই বাসায় ইনকাম একমাত্র তিনিই করেন,তাহলে তো হারাম খাওয়া হয়ে গেলো তাইনা?ওনাকে বুঝানো হয়েছে এই কাজ না করার জন্য অন্য কাজ করার জন্য কিন্তু ওনি শোনেন না। একজন রিলেটিভ হিসেবে আমাদের করনীয় কি?যেহেতু বেড়াতে গেলে ওনার বাসায় বাধ্য হয়ে খেতেই হয়।

1 Answer

0 votes
by (574,380 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

   
পবিত্র কোরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা  বলেছেন,
وَلاَ تَعَاوَنُواْ عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ (سورة المائدة-2

অনুবাদ-তোমরা গোনাহ ও সীমালংঘনের ক্ষেত্রে কারো সহায়তা করো না।( সুরা মায়িদা-২)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন,

وفى سنن البيهقى الكبرى- عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم أنه قال : من اشترى سرقة وهو يعلم أنها سرقة فقد اشرك في عارها واثمها ( سنن البيهقى الكبرى-كتاب البيوع، باب كراهية مبايعة من أكثر ماله من الربا أو ثمن المحرم، رقم-৫/৩৩৫

অনুবাদ-আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেছেন যে, যে ব্যক্তি কোন চুরির বস্তু চুরির মাল জেনেও ক্রয় করে তবে সেও সেই অপরাধে এবং গোনাহে শরীক হবে।(সুনানে বায়হাকী-৫/৩৩৫)
,
সুতরাং উপরোক্ত আয়াত এবং হাদিস থেকে এটা জানা গেল চুরি হওয়া মালামাল জেনে শুনে ক্রয় করা বৈধ নয়। কেননা এতে করে চোরকে উৎসাহ প্রদান সহযোগিতা করা হয়।
অপরদিকে চোর বা ছিনতাইকারী তথা অপরাধীকে সহায়তা করা সম্পুর্ণরুপে হারাম।

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
চুরিকৃত মোবাইল হারাম পন্য।
জেনে শুনে এই পন্যের ক্রয় বিক্রয় নিষিদ্ধ।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঐ ব্যাক্তির ইনকাম হারাম।
তার বাসায় গেলে খাবার খাওয়া যাবেনা,খেলে নিজে টাকা দিয়ে খাবেন।

অগত্যা যদি তার বাসায় খাবার খেয়ে থাকেন,
সেক্ষেত্রে আপনি যতটুকু খাবার খেয়েছেন, সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 131 views
...