আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১.নামাজে তাশাহুদ পাঠের সময় আত্তাহিইইয়াতু বলার সময় এখানে আমি যদি হিইইয়া না বলে শুধু হিইয়া বলি তাহলে কি  নামাজ হবে?? মানে  এখানে তো তাশদীদের মাধ্যমে হা,,, ইয়া এর সঙ্গে যুক্ত হবে। কিন্তু আমি এভাবে যুক্ত করে  সঠিকভাবে পড়তে পাচ্ছিনা। তাই আমি যদি শুধু হা যবর হা পড়ি এবং ইয়াকে পৃথকভাবে  (ইয়া যবর ইয়া) উচ্চারণ করি মানে  তাহলে কি অর্থের বিবৃতি হবে?? অর্থাৎ ইয়াকে তাশদীদের  মাধ্যমে যুক্ত না করে দুটো হরফকে যথাক্রমে যের ও জবরের মাধ্যমে  উচ্চারণ করি তাহলে হবে?? অর্থাৎ আত্তাহিইইয়াতু এর পরিবর্তে আত্তাহিইয়াতু পড়ি তাহলে কি হবে??

২.কমোড বাথরুমে টয়লেট করার সময় যখন কমোডের ওই পানির মধ্যে বাথরুমটা পরে,, তখন ওই পানি এসে গায়ে হাতে পায়ে লাগে। চাইলেও ওই পানি এড়ানো সম্ভব নয়। বাথরুম করলেই ওই পানির ছিটে আসবেই। ওই পানি গায়ে লাগলে কি নাপাক হয়ে যাবে?? কি করনীয় এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন দয়া করে।
৩.আমার  কলেজে সহশিক্ষা বিদ্যমান। আমি তাই জন্য কলেজে যেয়ে নিয়মিত  ক্লাস করতে চায়না। কিন্তু মাঝে মাঝে ক্লাস না করলেও হবে না। এইজন্য কলেজে গিয়ে একটা দুইটা ক্লাস করে চলে আসতে চাইছি।   এইভাবে কিছু ক্লাস করে চলে আসা কি জায়েজ হবে?? নাকি আমাকে কলেজ টাইমের পুরো   ক্লাস করতে হবে?? এতে কি কলেজ ফাঁকি দেওয়ার গুনাহ হবে?? স্যারদেরকে হয়তো  বলে চলে আসতে পারবোনা। যখন একটা ক্লাসের পরে,, স্যার চলে যাওয়ার পরে,,,, অন্য স্যার আসার মধ্যে ব্যবধান আছে,, ওর মধ্যে থেকে লুকায় অথবা সামনে দিয়ে চলে আসতে হবে লুকায় অথবা সামনে দিয়ে  চলে আসা কি জায়েজ হবে??

1 Answer

0 votes
by (676,240 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
আপনি যদি আত্তাহিইইয়াতু এর পরিবর্তে আত্তাহিইয়াতু পড়েন, তাহলে নামাজ হয়ে যাবে 

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনিই ভাই/বোন,
হাই কমোডে বসে বাথরুম করতে গিয়ে অনেক সময় কমোডের ভেতর জমে থাকা পানি ছিটে উপরের দিকে আসে। এ পানি অপবিত্র। সুতরাং শরীর বা কাপড়ের যে অংশে ঐ নাপাক পানি  লাগবে, সেই অংশকে ধৌত করতে হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
আপনি যেসব পদ্ধতিতে ক্লাশ থেকে চলে আসতে চাচ্ছেন,এগুলো ধোকা মূলক পদ্ধতি। 

ইসলাম এসব পদ্ধতি অবলম্বনের অনুমোদন দেয়না।

আপনি চলে আসতে চাইলে অনুমতি নিয়ে আসবেন।
অনুমতি না দিলে সেক্ষেত্রে সব গুলো ক্লাশ করে চলে আসবেন।

ক্লাশ করার দরুন ফিতনায় জড়িয়ে পড়ার
প্রবল আশংকা থাকলে বা নজর হেফাজত না করতে পারলে বা গুনাহ হলে সেক্ষেত্রে আপনি ক্লাশে যাবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (36 points)
Sakhek amar 3 number proaner uttor ta arekbat aktu bolben doiya kore..ami prosnota valo vabe bolte pari ni abar bolsi niche..
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ 
আমি যদি কলেজে গিয়ে সব ক্লাস না করে অল্প কিছু ক্লাস করে চলে আসি,, তাহলে কি গুনাহ হবে? 
মানে প্রত্যেক ক্লাসে আলাদা করে নাম ডাকে।প্রত্যেক ক্লাসে আলাদা আলাদাভাবে হাজিরা দিতে হয়। এখন আমি যদি এক ক্লাস শেষ হওয়ার পর যখন আরেক স্যার আসবে তখন যদি চলে যায় তাহলে কি পাপ হবে?? 
দরজা সবসময়ই খোলা থাকে। কেউ পাহারা দেয় না।

by (676,240 points)
উত্তর আগেরটিই থাকবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...