আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম। একটা প্রশ্ন ছিল।বই বিতরণ/প্রয়োজনীয় ম্যাটেরিয়ালস এসব নিয়ে।

বিতরনের জন্য কালেকশন করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়, দেয়া হয় আলহামদুলিল্লাহ। সেখান থেকে যারা কাজ করেন এখানে,তাদের যদি নিজেদের প্রয়োজন হয় তারা কি নিজেরা কিছু বই রেখে পড়তে পারবে?তাদের পরিচিত জনদের দিতে পারবেন? এটার কি অনুমতি আছে?এতে কি গুনাহ হবে?

যারা এখানে কাজ করেন তাদের নিজেদের কাছে যদি কিছু বই থাকে প্রয়োজনে তারা নিজেরা পড়তে পারবে এবং তাদের কাছ থেকে নিয়ে অন্যরাও পড়তে পারবে। এজন্যই প্রশ্নটা করা হয়েছে।এটা করলে কি আমানতের খিয়ানত /গুনাহ হবে কিনা জানাবেন প্লিজ।

2)হজ্জ /ওমরাতে গেলে মসজিদে ঢুকে যাওয়ার পর কোন কারনে যদি ওযু ভেঙে যায়,তাহলে সাথে তায়ম্মুের মাটি রাখলে সেটা দিয়ে ওযু করে নামায পড়ে নিলে কি হবে?ওয়াশরুম দূরে থাকে,এসে নামাযে জায়গা পাওয়া যাবে না।আর বড় কথা হল একবার হারিয়ে গেলে সমস্যা হয়ে যাবে।সেখানে সব তো অপরিচিত। তায়াম্মুমের মাটি সাথে রেখে সেটা দিয়ে ওযু করলে কি হবে প্লিজ জানাবেন।এক নামাযের জন্য বাসা থেকে ওযু করে বের হয়ে কয়েক ওয়াক্তের জন্য সেখানে থাকা লাগে।জুমার নামাযের জন্য তো আরো অনেক সময়।এত ভীড়ে হারানো যায় খুব,এমন ঘটনা অনেক ঘটছে এখন।সব বিবেচনা করে ওযু না রাখতে পারলে তায়াম্মুমের মাটি সাথে রেখে সেটা দিয়ে ওযু করলে নামায হবে?করনীয় জানাবেন প্লিজ।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
তারা যদি অন্যের নিকটে বই বিতরণ করবে,এমন কথার উপর টাকা কালেকশন করে বই বিতরণ করছে,সুতরাং তারা সেই বই নিতে পারবেনা।

তবে তাদের পরিচিত জনদের দিতে পারবে।

আর যদি শুধুমাত্র "বই বিতরণ ফান্ড" বলে টাকা নেয়া হয়,যারা কাজ করেন,তাদের জন্য বই নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা না থাকে,কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজেরাও সেই বই নিতে পারবে।

আর এখানে শুধু গরিব মিসকিনকে দেয়ার জন্য মানুষ টাকা দেয়,সেক্ষেত্রে যারা কাজ করেন,তারা গরিব না হলে তথা যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত না হলে সেই বই নিতে পারবেনা।

(০২)
মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ-
وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ مَا يُرِيدُ اللَّـهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَـكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

অর্থ : যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করো, অতঃপর পানি না পাও, তাহলে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। আল্লাহ তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদের পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করো।(সুরা মায়েদা : ৬)
,

যে সমস্ত ছুরতে তায়াম্মুম করা বৈধঃ-

১- পানির অনুপস্থিতিতে
আল্লাহ তাআলা বলেন, (فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ) {অতঃপর পানি না পাও, তবে তায়াম্মুম করো।}

২- পানি থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করতে অপারগ হলে

যেমন অসুস্থ অথবা বৃদ্ধ ব্যক্তি যে নড়াচড়া করতে পারে না এবং তার কাছে এমন ব্যক্তিও নেই যে তাকে অজু করার ব্যাপারে সাহায্য করবে।

৩ - পানি ব্যবহার করার ফলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে

যেমন :
ক - অসুস্থ ব্যক্তি যদি পানি ব্যবহার করে তবে তার অসুস্থতা বেড়ে যাবে।

খ – প্রচন্ড ঠান্ডায় যদি পানি গরম করার মতো কিছু না থাকে এবং পানি ব্যবহার করলে অসুস্থতা বেড়ে যাবে এ ধারণার পাল্লা ভারি থাকে, এ অবস্থায় তায়াম্মুম করার অনুমতি রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক, প্রচন্ড ঠান্ডা থাকার কারণে তায়াম্মুম করে নামাজের ইমামতি করার পর, আমর বিন আস রাযি. এর কাজকে নাকচ করে না দেয়া এ ক্ষেত্রে প্রমাণ। (বর্ণনায় আবু দাউদ)

গ - কোনো ব্যক্তি যদি পানি থেকে দূরে কোথাও অবস্থান করে এবং তার সাথে পান করার মতো সামান্য পানি থাকে আর অন্য পানি হাজির করতে অপরাগ হয়।

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হজ্জ /ওমরাহতে গেলে মসজিদে প্রবেশের পর কোন কারনে যদি ওযু ভেঙে যায়,তাহলে সাথে তায়াম্মুের মাটি রাখলে সেটা দিয়ে তায়াম্মুম করে নামায পড়ে নিলে হবেনা।

এক্ষেত্রে যেহেতু এক মাইলের মধ্যেই পানি আছে,সুতরাং পানি দিয়ে অযু করে এসে নামাজ আদায় করতে হবে,তায়াম্মুম করা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...