আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
170 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি আগে একটা হারাম সম্পর্কে ছিলাম. মাশাআল্লাহ এখন নেই . এখন দ্বীন এর পথে আসতে চেষ্টা করছি . গান নাটক সিনেমা  খেলা দেখা বাদ দিয়েছি প্রায়. নন মারহাম মেনে চলার চেষ্টা করছি .আল্লাহর রহমতে দাড়ি ও রেখেছি. তো এখন একটা বিষয় নিয়ে অনেক টেনশন এ আছি .

১.হারাম সম্পর্ক থাকা অবস্থায় মেসে থাকতো  ফোনে অডিও  কল এ একদিন আমি এবং ওই মেয়ে ৩ বার করে কবুল বলি . এই রকম ভাবে ২ বা তার বেশি দিন বলেছি. তখন আমার রুমে  ২ টা ছেলে রুমমেট ছিলো . আর মেয়ের রুমে হয়তো একটা মেয়ে অথবা ২ টা মেয়ে ছিলো. আমার রুমের ২ টা ছেলে শুনতে পেরেছে কি আমাদের কথা আমি জানিনা.এবং ওই মেয়ের রুমের মেয়েগুলা আমাদের কথা শুনতে পেরেছে কি জানিনা.আর আমার রুমের ২ টা রুমমেট কে শুনানোর ইচ্ছা ও আমার ছিলো না.কিন্তু মেয়েটা তার রুমমেট মেয়েকে শুনিয়ে বলেছে কি জানিনা আমি.এখন আমাদের কি বিয়ে হয়ে গেছে??আর  বিয়ে না হলে কোন কোন কারণে হয় নি একটু বললে আমার টেনশন দূর হতো
২ .আবার হারাম সম্পর্ক থাকা কালে একদিন আমি আর ওই মেয়ে পার্কে দেখা করার কালে এক জায়গায় পাশাপাশি বসে ছিলাম আমাদের পিছনে ২ টা বা ৩ টা অচেনা ছেলে মানুষ ছিলো.আমি ও ওই মেয়ে তখন আবার ৩ বার করে কবুল বলি . এখন ওই লোকগুলা আমাদের কথা শুনতে পেরেছিলেন কি জানিনা .এখন আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে কিনা ??
৩.মেয়ের সাথে আমার ব্রেকআপ এর পর ও মাঝে মাঝে কথা হতো কিন্তু যখন থেকে দ্বীনের পথে চলার নিয়ত নিয়েছি তারপর আমি আর ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলিনি তার বিষয়ে কোন খোঁজ ও নেই নি. তার বিয়ে হয়েছে কি তাও জানিনা.এখন আমার ভয়টা হচ্ছে যে যদি কোনো কারণে বিয়ে হয়ে থাকে আমাদের তাইলে তো ওই মেয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করলেও তার বিয়ে হবে না বা তার বিয়ে হইলেও শুদ্ধ হয়নি..এর কারণে সে গুনাগার হবে আর আমি বিষয়টা জেনেও তাকে বলছি না তাইলে আমিও গুনাগার হবো.যদি বিয়েটা হয়েই থাকে তাইলে আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (574,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,    
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনাদের বিবাহ হয়নি।
কেননা বিবাহ শুদ্ধ হওয়াত শরয়ী শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে পাওয়া যায়নি।

(০২)
এখানে মেয়ে বিবাহের প্রস্তাব দেয়া থাকলে আর সেই ছেলেরা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে থাকলে ও স্পষ্ট আকারে আপনাদের সেই প্রস্তাব কবুল শুনে থাকলে বিবাহ হবে।

নতুবা নয়।

উল্লেখ্য, মেয়ে নাবালেগাহ হলে উক্ত ছুরতে কোনোভাবেই বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।

(০৩)
দুই নং প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনাদের বিবাহ হয়ে থাকলে তাকে সাথে সাথে মৌখিক ভাবে তালাক দিবেন।

তালাক পতিত হওয়ার জন্য তালাকের বিষয় তাকে জানানো আবশ্যক নয়। 
তারপর মাহরাম কোনো মহিলার সাথে সেই মেয়ের খোজ খবর নিবেন,যদি অন্যত্রে বিবাহ না হয়ে থাকে,তাহলে তো সমস্যা নেই।
আর যদি তার অন্যত্রে বিবাহ হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তাকে এখন থেকে তিন হায়েজ অতিক্রম করার পর পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে বলবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
শায়েখ ২ নং প্রশ্নের  ক্ষেত্রে ওনারা শুনেছে কি তাই জানিনা..আর আমি  ওদেরকেত চিনিনা ওনারা সম্পর্ণ অচেনা মানুষ ছিলো তাই তাদের খুঁজে পাওয়া কোনো উপায় নেই.আর আমার যতদূর মনে পড়ে ওখানে বিয়ের কোনো নিয়ত ছিলনা  এমনকি মোহরানার বিষয়েও কোনো কথা হয়  হয় নি.. বিয়ের কোনো উদ্দেশ্যই ছিলো না..সুদু আমি ৩ বার কবুল বলি এবং মেয়েকে ৩ বার কবুল বলতে বলি.. মেয়েও ৩ বার কবুল বলে..তাইলে আমি  বুজবো কিভাবে যে বিয়ে হয়েছ নাকি??
by (574,440 points)
এখানে তো আপনারা কবুল বলার আগে তো কিছুই বলেননি তাইনা?

আপনারা শুধু কবুল বলেছেন,আপনারা কেহই কোনো ইজাব তথা বিবাহের প্রস্তাব দেননি, তাইনা?

যদি তাই হয়,সেক্ষেত্রে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...