আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার এক দ্বীনী বোনের প্রশ্ন।

আমি অনেক সমস্যার মধ্যে পড়েছি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। আপু দুই বছর আগে আমার রিলেশন ছিলো।হঠাৎ করে আল্লাহ বোঝার তওফিক দেন যে এটা হারাম কাজ।তখন রিলেশন ব্রেক আপ করে নেই।সহিহভাবে পর্দা করার চেষ্টা করি,সাথে গায়রে মাহরাম মেইনটেইন এর চেষ্টা করি।ইসলাম মেনে চলার লড়াই করে যাচ্ছি।কিন্তু আমি যাকে পছন্দ করতাম তার কথা আমি ভুলতে পারিনা।সবসময় দোয়া করি আল্লাহর কাছে, যেন তাকে ভুলে যায় কিন্তু পারিনা।তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন সমস্যা  রিলেশন থাকা অবস্থায় ও আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল আমি তখন কবুল বলে দিয়েছিলাম।ওর দুইজন ফ্রেন্ড পাশে ছিল তখন।আমি আসলে তখন এত কিছু ভেবে কবুল বলিনি।কিন্তু এখন অনেক ভিডিও দেখলাম যেখানে বলা হচ্ছে এভাবে সাক্ষী রেখে কবুল বললে নাকি বিয়ে হয়ে যায়।তাহলে কি আমাদের সত্যিই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বিয়ে হলে এখন কি করণীয়।কিছুই বুঝতে পারছি না।আমরা শুধু কবুল বলেছিলাম কখনো নিজেদের এ নিয়ে অসম্মান করিনি।প্লিজ হেল্প করেন আমাকে।আমি কিছু বুঝতে পারছি না।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।


ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই সময় তথা উক্ত ছেলের বিবাহের প্রস্তাব আর উক্ত বোনের কবুল বলার সময় উভয়েই (পাত্র+পাত্রি)  বালেগ বালেগাহ ছিলো কিনা?
এবং সাক্ষীদয় (ওর দুই জন ফ্রেন্ড যারা সেখানে উপস্থিত ছিলো) বালেগ পুরুষ ছিলো কিনা?
,
যদি এমনই হয় যে পাত্র পাত্রী বালেগ বালেগাহ ছিলো  এবং সেই দুইজন ফ্রেন্ড বালেগ পুরুষ ছিলো,তাহলে এই বিবাহ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।
,
উক্ত ছেলে থেকে তালাক না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বোনের জন্য অন্যত্রে বিবাহ হারাম।
তারা উভয়ে শরীয়াহ মোতাবেক এখন স্বামী স্ত্রী। 
তারা ঘর সংসার করতে পারবে।  
,
এখন যদি সেই বোন তার সাথে ঘর সংসার করতে চায়,তাহলে করতে পারবে। 
আর যদি সেই বোন তালাক চায়,তাহলে স্বামী তালাক দিলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
স্বামী তালাক দিতে না চাইলে খোলা তালাক তথা টাকা ইত্যাদির বিনিময়ে তালাক নিতে পারবে।   

হাদীস শরীফে  এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...