ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ছবি ভিডিও শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম।হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী -৫৬১৮)
লাইভ সম্প্রচার জায়েয এটা নিয়ে কোনো মতবিরোধ নেই।রেকর্ড ভিডিও নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।মুফতী তাক্বী উসমানী রেকর্ড ভিডিওকে তাসবীর(যা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম)এর আওতাধীন করতে ইতস্ততাবোধ করেছেন।উনি উনার অমরগ্রন্থ তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিমে লিখেন,
ﻭﺍﻣﺎ ﺍﻟﺼﻮﺭﺓ ﺍﻟﺘﻰ ﻟﻴﺲ ﻟﻬﺎ ﺛﺒﺎﺕ ﻭﺍﺳﺘﻘﺮﺍﺭ، ﻭﻟﻴﺴﺖ ﻣﻨﻘﻮﺷﺔ ﻋﻠﻰ ﺷﻴﺊ ﻳﺼﻔﺔ ﺩﺍﺋﻤﺔ ﻓﺈﻧﻬﺎ ﺑﺎﻟﻈﻞ ﺍﺷﺒﻪ (ﺍﻟﻰ ﻗﻮﻟﻪ) ﻓﺎﻥ ﺍﻟﺼﻮﺭﺓ ﻻ ﺗﺴﺘﻘﻮ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻜﻴﺴﺮﺍ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﺸﺎﺷﺔ ﻭﺗﻈﻬﺮ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺑﺘﺮﺗﻴﺒﻬﺎ ﺍﻷﺻﻠﻰ ﺛﻢ ﺗﻔﺘﻰ ﻭﺗﺰﻭﻝ،
ভাবার্থ-ঐ ছবি যার কোনো স্থায়িত্ব বা দীর্ঘতা নেই, এবং যা কোনো জিনিষের উপর স্থায়ী অঙ্কিত ও নয়।সেটা ছায়ার অধিকতম নিকটবর্তী। কেননা ছবি স্কীনে অবশিষ্ট থাকে না বরং তা মেমোরি বা রিলে সংরক্ষিত ধারাবাহিকার সাথে স্কীনে আসে আবার তা দূতই চলে যায়।(তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম-৪/১৬৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামীকে স্ত্রী নিজের ভিডিও দিতে পারবে। তবে নিজের ছবি দিতে পারবে না।কেননা ভিডিওর হুকুমে কিছুটা শীতিলতা রয়েছে।