আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি বিয়ে করেছি ৮ মাস হোলো।
আমার স্বামী বিয়ের আগে থেকেই একটা মেয়ের সাথে সম্পর্কে ছিলো। আমাকে বিয়ের পর আমাকে না জানিয়ে গোপনে তাকে বিয়েও করে নেয় এবং তার ২ মাসের মাথায় ডিভোর্স ও হয়ে যায় তিন তালাক হয় ওই মেয়ের সাথে।  কিন্তু আমার স্বামী এখোনো তাকে ঘন ঘন ফোনত দেয়৷  ফোনের পর ফোন দিতেই থ্কে রাতে ১২ টার দিকেই ৩/৪ বার ফোন দিয়ে খোঁজ খবর কথাবার্তা বলে৷  অথচ আমার জন্য আমার স্বামী দিনশেষ সময় বের করেনা। রাতে ওই মেয়ে কে যেভাবে ফোন দেয় আমাকে সেভাবে দেয় না।  আমার প্রতি আগ্রহ মনোযোগ খুবি কম। অনেক বুঝিয়েছি।  কিন্তু আমাকে মিথ্যা বলে। আমার সাথে কোমল আচরণ ও করেনা তেমন। হঠাৎ হঠাৎ ভাল ব্যবহার করে বেশিরভাগ ই উগ্র আচরণ করে, আর কিছু হলেই সুইসাইডের হুমকি দেয়। আমাকে বলে ওই মেয়ের প্রতি কোনো ফিলিংস নাই, কিন্তু এদিকে দেখছি তাকে রাত বিরাতে কল দেয় কয়েকবার করে।  ওই মেয়েটাও ডিস্টার্ব ফিল করে।  তার পরকীয়ার স্বভাব থেকে কোনভাবেই বের করানো যাচ্ছে না তাকে।

এদিকে আমার প্রতি তার গুরুত্ব,  আমি ইসলামের কোনো জ্ঞান শেয়ার করলে সেগুলো ইগনোে করে। কোনো ভয়েস পাঠালে সেগুলো শোনেনা ঠিকমতো। আমার প্রতি তার আগ্রহ খুব কম।  মুখে বলে কিন্তু কাজে ব্যবহারে গুরুত্ব পাই না তার থেকে।
আমার  এক্ষেত্রে কি করণীয়..??
তাকে কি তালাক দিয়ে দিবো..? নাকি প্রত্যেকবারের মতো আবারো মাফ করে সুযোগ দিবো।
মুল্যবান পরামর্শের আশা করছি।
জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
(সূরা ফাতির-১৮)

সুতরাং বর্তমান পরিস্থিতে স্বামীকে বুঝিয়ে এই গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করুন।ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন।আল্লাহ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন।এ সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1205

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি তাকে ক্ষমা করে দিবেন।তাকে হেকমত ও প্রজ্ঞার সাথে বুঝাতে থাকবেন। ইনশা'আল্লাহ, সে একদিন না একদিন তার ভুল বুঝতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...