আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,264 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (0 points)
একটা লেখা পেলাম ফেইসবুকে যেটাকে হাদিস বলে চালানো হয়েছে।আসলেই কি এইটা কোনো সহিহ হাদিস?লিখাটা এরকম-

 "শেষজামানার হাদিস গুলোর মধ্যে এই হাদিসটিও উল্লেখ্য যোগ্যা। যদি আমরা এই হাদিসটির সম্পর্কে গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে না পারি তাহলে আমাদের জন্য দূর্ভাগ্য, আমাদের জন্য দূর্ভাগ্য, আমাদের জন্য দূর্ভাগ্য.........
শেষজামানায় মোমিন এবং কাফের ব্যক্তি আলাদা তাবুতে বিভক্ত হয়ে যাবে ইনশা-আল্লাহ।
আমাদের সকল মোসলমানদের ঐকবদ্য হতে হবে, তবে কিন্তু সেটা বর্তমান সময়ে অনেক কঠিন অনেক।
তবে ইমাম মাহদি ও ইসা (আ) আমাদের এই বিভক্তি এবং অন্ধদল বিশ্বাস কে দূর করে দিবেন ইনশা -আল্লাহ।
আমরা আমাদের হারানো গৌরব ফিরে পাব ইনশা -আল্লাহ।
.
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন--
আমি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি--
"অবশ্যই অবশ্যই পৃথিবি ততদিন ধবংস হবে না,যতদিন না মানুষ পাচটি শাষকের দেখা পাবে।
যারা আল্লাহর দ্বীনকে যুক্তি করে ধ্বংস করতে চাইবে। আর তারা পাঁচ শাষকই এক সাথে পৃথীবিতে উপস্থিত থাকবে।
.
আমি(আবু হুরায়রাহ) বললামঃ""হে আল্লার রাসূল (সাঃ)! সে পাঁচ জনের পরিচয় কী?
তিনি বললেনঃ
.
[1]তাদের এক জন এই প্রবিত্র ভুমিতে আসবে।যার নাম হবে আমার নামের মতো।(মুহাম্মাদ).
সে আরবের দ্বীনকে হাস্যকর বানাবে।আর অভিশাপ্ত জাতিকে বন্ধু বানাবে।
[2] দ্বিতীয় সে বিশ্ব শাষক হবে।আর মুসলমানদের নিয়ে ষড়যন্তে লিপ্ত থাকবে।
[3]তৃতীয় জন হিন্দুস্থানের বদশা,সে বন্ধু অঞ্চলের মুসলমানদের নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করবে।
[4].চতুর্থ জন,,- হিন্দুস্থানের দ্বীতিয় বাদশা।যে মুসমানদের হত্যার শপথ নিয়ে শাষন খমতায় যাবে।আর মুসলিম হত্যায় সে উন্মাদ হয়ে পড়বে।
এবং
[5] পঞ্চম -হলো,একজন নারী শাষাক,সে শাষন খমতা হাতে পেয়ে বা'আল দেবতার ইবাদত বৃদ্ধি করবে।আর মুশরিকদের বন্ধু রুপে গ্রহণ করবে।আর মুসশমানদের হত্যা করবে।
অথচ সে হবে মুসলমান।
তখন দেখবে সেখানকার দুর্গম অঞ্চলের এক দূর্বল বালক তাদের ষড়যন্ত্রের সমাপ্ত ঘটাবে এবং মুমিনদের বড় বিজয় আনবে।
(কিতাবুল আক্বিব,হাদিছঃ১৭২,
আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ,১৭৫)"


এইটা কতোটা নির্ভরযোগ্য হাদিস নাকি হাদিসের নামে জালিয়াতি?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

কিয়ামতের আলামত সংক্রান্ত অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
  
কিয়ামতের সর্বশেষ আলামত হিসেবে হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
মুসলিম শরীফে হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
اطَّلَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْنَا وَنَحْنُ نَتَذَاكَرُ فَقَالَ مَا تَذَاكَرُونَ قَالُوا نَذْكُرُ السَّاعَةَ قَالَ إِنَّهَا لَنْ تَقُومَ حَتَّى تَرَوْنَ قَبْلَهَا عَشْرَ آيَاتٍ فَذَكَرَ الدُّخَانَ وَالدَّجَّالَ وَالدَّابَّةَ وَطُلُوعَ الشَّمْسِ مِنْ مَغْرِبِهَا وَنُزُولَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَأَجُوجَ وَمَأْجُوجَ وَثَلَاثَةَ خُسُوفٍ خَسْفٌ بِالْمَشْرِقِ وَخَسْفٌ بِالْمَغْرِبِ وَخَسْفٌ بِجَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَآخِرُ ذَلِكَ نَارٌ تَخْرُجُ مِنَ الْيَمَنِ تَطْرُدُ النَّاسَ إِلَى مَحْشَرِهِمْ
‘‘একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে আগমণ করলেন। আমরা তখন কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি বললেনঃ যত দিন তোমরা দশটি আলামত না দেখ তত দিন কিয়ামত হবেনা। (১) ধোঁয়া (২) দাজ্জালের আগমণ (৩) ভূগর্ভ থেকে নির্গত দাববাতুল/দাব্বাতুল আরদ্ নামক অদ্ভুদ এক জানোয়ারের আগমণ (৪) পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয় (৫) ঈসা ইবনে মারইয়ামের আগমণ (৬) ইয়াজুজ-মা’জুজের আবির্ভাব (৭) পূর্বে ভূমি ধসন (৮) পশ্চিমে ভূমি ধসন (৯) আরব উপদ্বীপে ভূমি ধসন (১০) সর্বশেষে ইয়ামান থেকে একটি আগুন বের হয়ে মানুষকে সিরিয়ার দিকে হাঁকিয়ে নিবে’’।
মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান।
,
সহীহ মুসলিম শরীফে আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
(لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُقَاتِلَ الْمُسْلِمُونَ الْيَهُودَ فَيَقْتُلُهُمُ الْمُسْلِمُونَ حَتَّى يَخْتَبِئَ الْيَهُودِيُّ مِنْ وَرَاءِ الْحَجَرِ وَالشَّجَرِ فَيَقُولُ الْحَجَرُ أَوِ الشَّجَرُ يَا مُسْلِمُ يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا يَهُودِيٌّ خَلْفِي فَتَعَالَ فَاقْتُلْهُ إِلَّا الْغَرْقَدَ فَإِنَّهُ مِنْ شَجَرِ الْيَهُودِ)
‘‘ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা যতক্ষণ না মুসলমানেরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করবে। অতঃপর মুসলমানগণ ইহুদীরকে হত্যা করবে। ইহুদীরা গাছ ও পাথরের আড়ালে পালাতে চেষ্টা করবে। কিন্তু কেউ তাদেরকে আশ্রয় দিবেনা। গাছ বা পাথর বলবেঃ হে মুসলমান! হে আল্লাহর বান্দা! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা করো। তবে ‘গারকাদ’ নামক গাছের পিছনে লুকালে গারকাদ গাছ কোন কথা বলবেনা। এটি ইহুদীদের গাছ বলে পরিচিত’’।
সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান।
,
★তবে প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীস কোনো গ্রহনযোগ্য হাদীসের কিতাবে পাইনি।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by

বর্তমান পৃথিবীতে হাদীস জাল না সহি তা প্রমাণের আগে বেশি প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট মুসলমান সহি না জাল সেটা যাচাই করা। কারণ ইরাকে আইএসআইএস কর্তৃক নিযুক্ত মুসলমানদের ডিজিটাল খলিফা আবু বকর আর বাগদাদীর আসল নাম পরিচয় পাওয়া যায় সাইমন এলিয়ট একজন ইহুদি ও মোসাদের এজেন্ট। তিনি বাগদাদের কোন এক জুম্মা মসজিদের খতিব ছিলেন ও তার কাছে অনেক আলেম উলামা এলেম শিখেছেন। অথচ তিনি ইরাক সিরিয়া লক্ষ লক্ষ মুসলমান হত্যা করেছেন। সর্বশেষ তার মৃত্যু সংবাদ প্রচার হবার পর টুইটারে আল-জাজিরা কর্তৃক তাকে আবারো মুসলিম শায়েখ পরিচয়ে চালানোর অপচেষ্টা করা হলে আমি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি লিংক দিয়ে আল-জাজিরাকে ধমক দেয়ার পর আর কেউ উচ্চবাচ্য করেনি। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের খবর থেকে এটাও জানা যায় যে আইএসআইএস প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে সৌদি রাজ পরিবার অর্থায়ন করে, আমেরিকা ও ইসরাইল প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং জর্ডানে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এরকম অন্ততঃ প্রায় ডজন খানেকের রেকর্ড আমার কাছে আছে যারা সবাই ইহুদি ও মোসাদ অফিসিয়াল কিন্তু মুসলমানদের লিডার। এই জগাখিচুড়ী পরিস্থিতিতে কোন আলেম মুফতি সহি আর কে জাল সেটা আগে ঠিক করুন। কারণ আলোচ্য পোষ্টের প্রতিবেদক যদিও ছদ্মনামে লিখছেন কিন্তু তাকে আমি জানি তিনি সৌদি রাজ পরিবারের একজন সদস্য

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...