আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
১/কেউ যদি বুঝতে পারে অজান্তে কোনো একদিন নিষিদ্ধ ওয়াক্তে সালাত আদায় করে ফেলেছে তাহলে তখন তার করনীয় কি?সেই সালাত কি আবার আদায় করে দিতে হবে?

২/কোন মেয়ে স্বামী ছাড়াও স্বামীর বাড়ির সকলের আনুগত্য করতে বাধ্য কিনা। স্পেশালি শ্বশুর -শ্বাশুড়ির?যেমন সব ব্যাপার এ শ্বশুরের সিদ্ধান্তই মেনে নিতে বাধ্য কিনা।

৩/পিতা-মাতার হক্ব আদায় করতে গিয়ে বা পিতা মাতার সব কথা শুনতে গিয়ে স্ত্রীর হক্ব আদায় না করলে বা তাদের কথা শুনে স্ত্রীর ওপর জুলুম করলে সে দায়ভার কি স্বামীর ওপর বর্তাবে?

৪/স্বামী, স্ত্রী কে হাতখরচের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্ত্রীর করনীয় কি?(স্ত্রী বাজে খরচ বা বিলাসিতা করে না)যদিও বা দরকারী জিনিস এনে দেয়।

৫/স্বামীর পরিবারের লোকজন স্ত্রী এবং স্ত্রীর পরিবারের লোকজনের ওপর জুলুম করলে( কথার দ্বারা)স্বামী জেনেও নিরব ভূমিকা পালন করলে স্ত্রীর করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (586,740 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
চার মাযহাব সম্বলীত নির্ভর্যোগ্য  ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-ফেকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ"
ولكن اتفق ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة أوقات، فقالوا: إن الصلاة المفروضة لا تنعقد فيها أصلاً،
ইমাম শাফেয়ী রাহ, ইমাম মালিক রাহ,আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর যখনই আদায় করা হোক না কেন?সেটা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।চায় তিন মাকরুহ ওয়াক্তের কোনো ওয়াক্তেই আদায় করা হোক না কেন?হানাফি উলামায়ে কেরাম ঐ মাকরুহ তিন ওয়াক্ত সম্পর্কে মতবিরোধ করেন।তারা বলেন,ঐ সময়ে মূলত নামাযই আদায় হবে না।(এই মতানৈক্য ফরয নামাযকে নিয়ে)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/471

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি বুঝতে পারে অজান্তে কোনো একদিন নিষিদ্ধ ওয়াক্তে সালাত আদায় করে ফেলেছে তাহলে,সেটা যদি ফজরের নামায হয়, তাহলে আবার দোহড়াতে হবে। আর মারিবের নামায হলে দোহড়ানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।বরং নামায আদায় হয়ে গেছে।

(২)কোন মেয়ে স্বামী ছাড়াও স্বামীর বাড়ির সকলের আনুগত্য করতে বাধ্য কিনা? এই প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে, স্বামী ব্যতিত যদিও অন্য কারো বাধ্যতা স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয়, তবে স্ত্রীর নৈতিক দায়িত্ব হল, নিজ পিতামাতা ও স্বামীর মত এমনকি স্বামীর চেয়েও বেশী শাশুড় শাশুড়ির বাধ্যতাকে স্বীকার করা।তবে শরীয়ত বিরোধী বিষয়ে কারো বশ্যতা বা বাধ্যতা জায়েয হবে না।

(৩)পিতা-মাতার হক্ব আদায় করতে গিয়ে বা পিতা মাতার সব কথা শুনতে গিয়ে স্ত্রীর হক্ব আদায় না করলে বা তাদের কথা শুনে স্ত্রীর ওপর জুলুম করলে সে দায়ভার স্বামীর ওপর বর্তাবে।

স্ত্রীর হক সম্পর্কে জানতে- https://www.ifatwa.info/430

(৪)স্ত্রীর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্র ক্রয়ের জন্য স্বামীকে টাকা দেওয়া বা স্ত্রীর প্রয়োজন মিটানো স্বামীর উপর ওয়াজিব।স্বামী না দিলে স্বামীকে কাল কিয়ামতের ময়দানে জবাবদিহিতা করতে হবে।

(৫)স্বামীর পরিবারের লোকজন স্ত্রী এবং স্ত্রীর পরিবারের লোকজনের ওপর জুলুম করলে( কথার দ্বারা)স্বামী জেনেও নিরব ভূমিকা পালন করলে স্বামী বোবা শয়তান হিসেবে বিবেচিত হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তায অনুগ্রহ করে উত্তর টা দিন
by (586,740 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...