ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
চার মাযহাব সম্বলীত নির্ভর্যোগ্য ফেক্বাহী গ্রন্থ "আল-ফেকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ"
ولكن اتفق ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة من الأئمة على أن الصلاة تكون صحيحة متى وقعت بعد دخول وقتها، وخالف الحنفية في ثلاثة أوقات، فقالوا: إن الصلاة المفروضة لا تنعقد فيها أصلاً،
ইমাম শাফেয়ী রাহ, ইমাম মালিক রাহ,আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ এর মতে নামাযের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর যখনই আদায় করা হোক না কেন?সেটা বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।চায় তিন মাকরুহ ওয়াক্তের কোনো ওয়াক্তেই আদায় করা হোক না কেন?হানাফি উলামায়ে কেরাম ঐ মাকরুহ তিন ওয়াক্ত সম্পর্কে মতবিরোধ করেন।তারা বলেন,ঐ সময়ে মূলত নামাযই আদায় হবে না।(এই মতানৈক্য ফরয নামাযকে নিয়ে)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/471
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি বুঝতে পারে অজান্তে কোনো একদিন নিষিদ্ধ ওয়াক্তে সালাত আদায় করে ফেলেছে তাহলে,সেটা যদি ফজরের নামায হয়, তাহলে আবার দোহড়াতে হবে। আর মারিবের নামায হলে দোহড়ানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।বরং নামায আদায় হয়ে গেছে।
(২)কোন মেয়ে স্বামী ছাড়াও স্বামীর বাড়ির সকলের আনুগত্য করতে বাধ্য কিনা? এই প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে, স্বামী ব্যতিত যদিও অন্য কারো বাধ্যতা স্ত্রীর উপর ওয়াজিব নয়, তবে স্ত্রীর নৈতিক দায়িত্ব হল, নিজ পিতামাতা ও স্বামীর মত এমনকি স্বামীর চেয়েও বেশী শাশুড় শাশুড়ির বাধ্যতাকে স্বীকার করা।তবে শরীয়ত বিরোধী বিষয়ে কারো বশ্যতা বা বাধ্যতা জায়েয হবে না।
(৩)পিতা-মাতার হক্ব আদায় করতে গিয়ে বা পিতা মাতার সব কথা শুনতে গিয়ে স্ত্রীর হক্ব আদায় না করলে বা তাদের কথা শুনে স্ত্রীর ওপর জুলুম করলে সে দায়ভার স্বামীর ওপর বর্তাবে।
স্ত্রীর হক সম্পর্কে জানতে- https://www.ifatwa.info/430
(৪)স্ত্রীর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্র ক্রয়ের জন্য স্বামীকে টাকা দেওয়া বা স্ত্রীর প্রয়োজন মিটানো স্বামীর উপর ওয়াজিব।স্বামী না দিলে স্বামীকে কাল কিয়ামতের ময়দানে জবাবদিহিতা করতে হবে।
(৫)স্বামীর পরিবারের লোকজন স্ত্রী এবং স্ত্রীর পরিবারের লোকজনের ওপর জুলুম করলে( কথার দ্বারা)স্বামী জেনেও নিরব ভূমিকা পালন করলে স্বামী বোবা শয়তান হিসেবে বিবেচিত হবে।