আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
265 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমাদের এদিকে রজব মাস আসলেই অনেকে অনেক ধরনের সিন্নি করে। খাজা বাবার সিন্নি, অমুক সিন্নি তমুক সিন্নি, সব মৃত মানুষদের নামে সিন্নি, মিলাদের সিন্নি।
আবার সামনেই একটা খৎনার দাওয়াত আছে, সেদিকে আলাদা ভাবে মেহেদী রসম, গায়ে হলুদ, আবার খৎনার আলাদা প্রোগ্রাম আছে, মানে এখনকার বিয়ের মতোই সব জাহিলিয়াতি। এমন প্রোগ্রাম অ্যাটেন্ড করা যাবে?

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে
১. বিভিন্ন ধরনের যে মিলাদ হয় সেই মিলাদের খাবার বাসায় আসলে, খাওয়া যাবে কিনা?

২. নতুন বাসায় উঠার জন্য মিলাদ পরিয়ে উঠলে সেই মিলাদের খাবার খাওয়া যাবে কিনা?

৩. খৎনার প্রোগ্রামে যাওয়া যাবে কিনা? অথবা সেই খাবার দিয়ে গেলে খাওয়া যাবে কিনা

৪. মানুষ মারা গেলে, ৩ দিনের খাবার ১৫ দিনের খাবার ৪০ দিনের খাবার যে করে সেগুলো খাওয়া যাবে কিনা?

৫. কারো জন্মদিনের জন্য কেক খাবার দিয়ে গেলে সেটা খাওয়া যাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
শরীয়তে প্রচলিত মিলাদ,দিন তারিখ নির্দিষ্ট করে 
কুলখানি, চল্লিশার অনুষ্টানের বৈধতা শরীয়তে নাই।

শরীয়তের বিধান হলো যে পদ্ধতিতে কোন ইবাদত খাইরুল কুরুনে আদায় করা হতো না, সেটিকে জরুরী মনে করে বা একমাত্র পদ্ধতি মনে করে, বা আবশ্যকীয় পদ্ধতি বানিয়ে উক্ত ইবাদত করাও বিদআতের শামিল।

তাই দরূদ পড়া যদিও উত্তম ও সওয়াবের কাজ। কিন্তু এভাবে মাহফিল করে সম্মিলিতভাবে করার বিশেষ সূরতটি খাইরুল কুরুনে ছিল না। তাই এটিকে আবশ্যকীয় বা জরুরী মনে করে করলে তা পরিস্কারই বিদআত হবে। এতে কোন সন্দেহ নেই।

আরো জানুনঃ 

রাসুল সাঃ বলেন-

وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.

আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ

‘(দ্বীনের নামে) নবউদ্ভাবিত সকল বিষয় থেকে দূরে থাক।’

আরেক হাদীসে আছে-
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .

‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭

মিলাদ সম্পর্কে আরো জানুনঃ  
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, শরীয়তের বিধান মতে প্রচলিত মিলাদ বিদআত।
সুতরাং উহা পরিত্যাজ্য। 
মিলাদে অংশগ্রহণ জায়েজ নয়। 
তবে মিলাদের খাবার হালাল টাকায় বানানো হলে তাহা খাওয়া হারাম নয়।
,
এক্ষেত্রে অনুষ্ঠান বিদ'আত মূলক হওয়ার কারনে সতর্কতামূলক না খাওয়াই উত্তম।

(০২)
এক্ষেত্রেও একই বিধান,যেহেতু বিদআতি কাজ করা হয়েছে,তাই উক্ত খাবার খাওয়া হারাম নয়।

এক্ষেত্রে অনুষ্ঠান বিদ'আত মূলক হওয়ার কারনে সতর্কতামূলক না খাওয়াই উত্তম।

(০৩)
শরীয়াহ বিরোধী কাজে না জড়ানোর শর্তে খৎনার প্রোগ্রামে যাওয়া যাবে,সেখানে গিয়ে খাবার খাওয়া যাবে। 

(০৪)
ধনীরা সেই খাবার খেলে যেহেতু মাইয়্যিত ছওয়াব পাবেনা,তাই ধনীরা সেই খাবার খাবেনা।
গরিবদের দিয়ে দিবে।

৩ দিনা,৪০ দিনার খাবার যেহেতু বিদআতের অন্তর্ভুক্ত, বিধায় এসব খাবাত খাওয়াও বিদআতে অংশগ্রহণের শামিল।
বিধায় তাহা জায়েজ হবেনা,এক্ষেত্রে রান্না করা হয়ে গেলে বা সেই খাবার গ্রহন করলে তাহা গরিবদের দিয়ে দিতে হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৫)
সেটি খাওয়া যাবেনা।

যারা দিয়ে গিয়েছে, তাদের নিকটে ফেরত দিবেন অথবা গরিব মিসকিনকে বা কোনো পশুকে খেতে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...