ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
الْيَوْمَ
نَخْتِمُ عَلَىٰ أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُم
بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে
এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে। সূরা ইয়াসিন, আয়াত নং-৬৫
আল্লাহ তায়ালা অন্যত্রে ইরশাদ করেন-
وَمَا
خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।
সূরা যারিয়াত, আয়াত নং-৫৬
আল্লাহ্ তাআলা বলেন,
اتْلُ
مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ
تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ
يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ
আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম
করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ।
আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা আনকাবুত ৪৫)
একবার সাহাবারা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলল, অমুক সাহাবী
বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, সে কি এখনো নামাজ পড়ে? সবাই বলল,
হ্যাঁ,
পড়ে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন,
সে যদি নামাজ পড়তে থাকে তাহলে নামাজ তাকে অবশ্যই একদিন খারাপ
কাজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৭)
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই!
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সব কিছু দিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য। গোনাহ বা কোনো অন্যায় কাজ করার জন্য
নয়। তিনি আমাদেরকে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন। তাই আমাদের জন্য কোনো গোনাহ বা অন্যায় কাজ
করা জায়েজ নেই। এমনকি আমরা যদি কোনো গোনাহ বা অন্যায় কাজ করি তাহলে কিয়ামতের দিন আমাদের হাত,
পা, চোখ সব কিছু আমাদের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দিবে।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা আপনার জ্ঞান- বুদ্ধি দান করা ও বাড়িয়ে দেওয়াটা তাঁর বড় একটা নিয়ামত। তাই আপনার
এই জ্ঞান- বুদ্ধি দিয়ে কোনো গোনাহ বা অন্যায় কাজ করা আপনার জন্য জায়েজ
হবে না।
উল্লেখ্য যে, স্ত্রীকে অন্যায় ভাবে মারা এটা অনেক বড় গোনাহের
কাজ। তাই এর থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।