আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (40 points)
edited by
১. কোন হুজুর যদি কালিমা উল্টো করে লিখে তাবিজ বানিয়ে কাউকে বশ করার তদবিয় দেয় সে কি কুফুরি করলো বা বেঈমান হবে?
২. বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ও কালিমা উল্টো লিখার পরিণতি কি? বা এই রকম আল্লাহর কালাম উল্টো লিখার ফলে সে কি আল্লাহর আজাবের সম্মুখীন হবে?

৩. যে ব্যক্তি তদবীর এনেছে তাকে বলা হয়েছিল হালাল ভাবেই করবে কিন্তু সে তাবিজ খুলে দেখে এই অবস্থা। ওখানে ইমাম মাহদি সহ আরো কিছু নাম ছিলো উল্টো ভাবে প্রিন্ট করা। এখন সে তবুও কাঙ্ক্ষিত মেয়েকে বশে আনতে ওই হুজুরের কথা মত চলে এইসব কাজ দেখার পর তবে তার ঈমান কি থাকবে? বা সে মৌন সম্মতিতে মেনে নিতে? তার কেমন গুনাহ হবে?

৪. যে ব্যক্তি এমন কাজ করে সে ব্যক্তি আলেম পরিবারের হলেও কি এমন সম্মান সে ডিজার্ভ করে? একজন মুসলমান যদি এভাবে আল্লাহর কালাম উল্টো লিখে তবে তার কি শাস্তি দেয়া হবে যদি মুসলিম শাসক বা খিলাফত কায়িম হয়?

৫. আল্লাহকি এইসবে খুশি হয় নাকি তারা শয়তানকে এইসব করে খুশি করে কাজ হাসিল করে নেয়?
৬. কোন ব্যক্তি যদি এইসব থেকে বাচাঁতে উদ্যোত হয়ে অপমান অপদস্তের শিকার হয়ে তবে কি আল্লাহর তরফ থেকে কোন সুসংবাদ আছে?

৭. একজন সাধারণ মুসলিম হিসেবে আমাদের এই বিষয়ে কেমন ধারণা পোষণ করা উচিত?

৮. কেউ যদি " বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম "
" লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ " উল্টো করে লিখে তাবিজ দেয় আর তা ব্যক্তি জেনে যায়, তাহলে এমন ব্যক্তির কাছে কখনো কি তদবির নেয়া জায়েজ হবে?

৯. কোন ব্যক্তি যদি এমন তদবীর দেয় যে চুলার তাপে তাবিজ তাপ দিয়ে কোন ব্যক্তিকে বশ করবে আর বলে এটা জায়েজ সেক্ষেত্রে শরীয়ত কি বলে? কিংবা এটা কি হালাল তদবীর? এটা করা কি জায়েজ হবে?

১০. আল্লাহর কালিমা/ বিসমিল্লাহ উল্টো লিখা কি বেয়াদবী? নাকি এর চেয়েও ভয়ংকর অন্যায়? কাঙ্গিত জিনিস পেয়ে যাওয়ার পর তওবা করে নেবো এটা কি এমন লাইট বিষয়?

( এতগুলো ডিটেইল উত্তর জানতে চাওয়ার অনেক জরুরত আছে বোঝানোর জন্য, ওরা এগুলোকে অন্যায় হিসেবে গোনায় ধরেনা লাইক অনেক পাপ ই তো করি।)

1 Answer

0 votes
by (713,880 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) কালিমাকে উল্টো করে লিখে তাবিজ বানানো যাবে। এট কুফুরি হবে।
(২)বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ও কালিমাকে উল্টো করে লিখা কুফরি।
(৩)প্রথম কথা হলো, কাউকে বশ করার জন্য তাবিজ করা নাজায়েয।এবং এজন্য কুরআনের কোনো আয়াতকে উল্টো করে লিখাও কুফরি
(৪)তাকে তাওবাহ করতে বলা হবে, যদি সে তাওবাহ করতে অস্বীকার করে,তখন রাষ্ট্র পক্ষ্য দারুল ইফতায় ফাতাওয়া তলব করবে, এবং ফাতাওয়া বা মুফতির রায় অনুযায়ী ফয়সালা অনুষ্টিত হবে।

(৫) তারা শয়তানকে এইসব করে খুশি করতে চায়।তবে কাজ হাসিল হবে কি না সেটা আল্লাহর ফয়সালা।তার তকদ্বীরে থাকলে হবে নতুবা হবে না।এইসব তাবিজের কোনো পাওয়ার নেই।

(৬)জ্বী, আল্লাহর তরফ থেকে অবশ্যই সুসংবাদ সে পাবে।

(৭) একজন সাধারণ মুসলিম হিসেবে আমাদের এ বিষয়ে এই ধারণা পোষণ করা উচিত যে, কুরআনের আয়াতকে উল্টো করে লিখা কুফরি।


(৮)কেউ যদি " বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম "
" লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ " উল্টো করে লিখে তাবিজ দেয়, আর তা ব্যক্তি জেনে যায়, তাহলে এমন ব্যক্তির কাছে কখনো তদবির নেয়া জায়েজ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,880 points)
 সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...