জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সব ধরনের অশান্তি থেকে মনকে শান্ত করতে আল্লাহর কাছে ধরণা দেয়ার বিকল্প নেই।
কারণ তিনিই মানুষের মনকে শান্ত করতে পারেন। প্রিয়নবি আল্লাহর কাছে এভাবেই দোয়া করেছেন-
اَللهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ حَيِّنَا رَبَّنَا بِالسَّلَامِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আংতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, হাইয়্যিনা রাব্বানা বিস-সালাম।’
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমিই তো ‘সালাম’; শান্তি তো তোমারই পক্ষ থেকে বর্ষিত হয়। সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে সুখ ও শান্তিতে জীবিত রাখুন।’
★সুতরাং ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর এই দোয়া পড়তে পারেন।
,
★দ্বীনের যাবতীয় বিধিমালা অন্তরের প্রশান্তি সহ মেনে চলুন।
★০৫ ওয়াক্ত নামাজ আযানের সাথে সাথেই পড়ুন,অন্যান্য নফল আদায় করুন।
শেষ রাত্রীতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে একাকী আল্লাহর কাছে দুই ফোটা চোখের ফেলানোর চেষ্টা করুন।
★বাদ ফজর,বাদ মাগরীব সময় হলে অন্যান্য সময়েও বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করুন।
★নিয়মিত যিকির করুন
যিকিরেত কিছু ফায়দা এখানে তুলে ধরা হল।
১. যিকির শয়তানকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং তার শক্তি নষ্ট করে দেয়।
২. আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়।
৩. দুশ্চিন্তা দূর করে।
৪. প্রশান্তি দান করে।
৫. অন্তর ও শরীরে শক্তি যোগায়।
৬. চেহারা ও অন্তরকে নূরানী করে।
৭. রিযিকে বরকত আনে।
৮. যিকিরকারীর মাঝে মাধুর্য ও গাম্ভীর্য সৃষ্টি করে।
৯. আল্লাহর মহববত পয়দা করে। আর মহববতই হচ্ছে ইসলামের রূহ দীনের কেন্দ্র এবং মুক্তি ও সৌভাগ্যের উপায়। যে ব্যক্তি আল্লাহর মহববত পেতে চায় সে যেন বেশী বেশী যিকির করে।
কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন,
আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করবে যাতে তোমরা সফলতা অর্জন কর। (সূরা আনফাল : ৪৫)।
অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়, জেনে রাখ
الا بذكر الله تطمئن القلوب
আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়। (সূরা রা’দ : ২৮)।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতবাসীদের মনে কোনো-কারণেই কোনো দুঃখ থাকবে না; দুঃখ শুধু একটা কারণেই হবে,তা হল পার্থিব জীবনের যে-মুহূর্তগুলো তারা মহামহিমান্বিত আল্লাহ পাকের স্মরণ থেকে উদাসীন ছিল।’ (তবারানী-২০/৯৪)
এগুলো কোনো বদনজরের লক্ষন নয়,কোনো সময়েই দুশ্চিন্তা করবেননা, আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।