আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
251 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু
আমি হঠাৎ করেই ইবাদতে আন্তরিকতা হারিয়ে ফেলছি। পড়াশুনা ইবাদত সহ কোনো কাজেই ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারছি না। মাঝে মাঝে কোনো কারণ ছাড়াই মন খারাপ হয় কান্না পায়। মাথা ব্যাথা ও আছে। আগের মত পড়া মনেে রাখতে পারি না।এগুলো কি কোনো বদনজরের লক্ষণ না অন্য কিছু?আমার নফস এর কি চিকিৎসা প্রয়োজন?

1 Answer

+1 vote
by (574,470 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
 بسم الله الرحمن الرحيم 

সব ধরনের অশান্তি থেকে মনকে শান্ত করতে আল্লাহর কাছে ধরণা দেয়ার বিকল্প নেই। 

কারণ তিনিই মানুষের মনকে শান্ত করতে পারেন। প্রিয়নবি আল্লাহর কাছে এভাবেই দোয়া করেছেন-
اَللهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ وَ مِنْكَ السَّلَامُ حَيِّنَا رَبَّنَا بِالسَّلَامِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আংতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, হাইয়্যিনা রাব্বানা বিস-সালাম।’
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমিই তো ‘সালাম’; শান্তি তো তোমারই পক্ষ থেকে বর্ষিত হয়। সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে সুখ ও শান্তিতে জীবিত রাখুন।’
★সুতরাং ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর এই দোয়া পড়তে পারেন। 
,
★দ্বীনের যাবতীয় বিধিমালা অন্তরের প্রশান্তি সহ মেনে চলুন।   
★০৫ ওয়াক্ত নামাজ আযানের সাথে সাথেই পড়ুন,অন্যান্য নফল  আদায় করুন।
শেষ রাত্রীতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে একাকী আল্লাহর কাছে দুই ফোটা চোখের  ফেলানোর চেষ্টা করুন।
★বাদ ফজর,বাদ মাগরীব সময় হলে অন্যান্য সময়েও বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করুন।
    
★নিয়মিত যিকির করুন  
যিকিরেত কিছু ফায়দা এখানে তুলে ধরা হল।
১. যিকির শয়তানকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং তার শক্তি নষ্ট করে দেয়।
২. আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়।
৩. দুশ্চিন্তা দূর করে।
৪. প্রশান্তি  দান করে।
৫. অন্তর ও শরীরে শক্তি যোগায়।
৬. চেহারা ও অন্তরকে নূরানী করে।
৭. রিযিকে বরকত আনে।
৮. যিকিরকারীর মাঝে মাধুর্য ও গাম্ভীর্য সৃষ্টি করে।
৯. আল্লাহর মহববত পয়দা করে। আর মহববতই হচ্ছে ইসলামের রূহ দীনের কেন্দ্র এবং মুক্তি ও সৌভাগ্যের উপায়। যে ব্যক্তি আল্লাহর মহববত পেতে চায় সে যেন বেশী বেশী যিকির করে।

কুরআন মজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন,
 আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করবে যাতে তোমরা সফলতা অর্জন কর। (সূরা আনফাল : ৪৫)।

 অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়, জেনে রাখ 
الا بذكر الله تطمئن القلوب 
আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়। (সূরা রা’দ : ২৮)।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতবাসীদের মনে কোনো-কারণেই কোনো দুঃখ থাকবে না; দুঃখ শুধু একটা কারণেই হবে,তা হল পার্থিব জীবনের যে-মুহূর্তগুলো তারা মহামহিমান্বিত আল্লাহ পাকের স্মরণ থেকে উদাসীন ছিল।’ (তবারানী-২০/৯৪)

আমরা পূর্বের একটি  ফতোয়াতে দৈনন্দিন আমলের একটি রুটিন দলেছি।
★দৈনন্দিন জীবনে সেই আমল গুলো ভালোভাবে করার চেষ্টা করুন ।
বিস্তারিত জানুনঃ 
,
এগুলো কোনো বদনজরের লক্ষন নয়,কোনো সময়েই  দুশ্চিন্তা করবেননা,  আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।
উপরোক্ত আমল করুন,ইনশাআল্লাহ ইবাদত সহ সকল কাজে আন্তরিকতা ফিরে আসবে।
অস্থিরতা ভাব দূর হয়ে যাবে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...