আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
2,092 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (19 points)
বাংলাদেশের কোন কোন খাবার  শুকরের চর্বি  দিয়ে বানানো অর্থাৎ হারাম?  যদি দোকানের কোনো খাদ্যদ্রব্যে হারাম মেশানো থাকে তাহলে এক্ষেত্রে আমাকে উপায়  বলে দিন যে আমি কি করবো। কারন আমার নানি-নানা যে দোকান চালায় সেই দোকানের কিছু কিছু খাদ্য যেমন   Mango juice,  chocobeen, chewing gum  ইত্যাদি এসব এ E Codes থাকে সেগুলো নাকি শুকরের চর্বির কোড। তাদের ব্যবসার সবটুকু  হারাম নয়, অধিকাংশ  হালাল আর এইসব কোড আলা খাবারের জন্য  কিছু অংশ হারাম বলে আমি মনে করি। এখন কথা হচ্ছে  আমি কি আমার  নানিবাড়িতে গিয়ে  তাদের উপার্জন করা টাকায় খাবার খেতে পারবো? আর তারা কিছু দিলে তা কি গ্রহণ করতে পারবো? তাদের উপার্জনে কিছুটা হারাম আছে জেনেও তাদের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করলে আল্লাহ আমাকে শাস্তি দিবে কি? এছাড়া আমার কি করার আছে তাদের বাড়িতে না গেলে খাওয়া দাওয়া না করলে কিছু দিলে যদি না নেই  তাহলে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়ার আশংকা।  আমি কি করবো???

1 Answer

0 votes
by (687,440 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

সুরা মায়েদার ০৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
حرمت عليكم الميتة والدم ولحم الخنزير،،

তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস এবং যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা হয়েছে। এছাড়া শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মরা, আঘাত পেয়ে মরা, উপর থেকে পড়ে মরা, শিংয়ের আঘাতে মরা এবং হিংস্র জন্তুর খাওয়া প্রাণী এগুলোও হারাম। 

মুফতী মানসুরুল হক সাহেব দাঃবাঃ বলেছেনঃ  যে সমস্ত খাবারের প্যাকেটের গায়ে কিছু নির্দিষ্ট ই কোড নাম্বারগুলো (এডিটিভ) দেওয়া থাকবে ঐ সমস্ত খাবার থেকে সবাইকে বেঁচে থাকতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ  
,
খাবারে হারাম উপাদান সম্পর্কে আরো জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেই খাবার গুলোতে হারাম নির্দেশিত ই কোড  থাকে,সেগুলো খাওয়া বিক্রয় করা হারাম।
,
★হারাম মাল থেকে দাওয়াত/হাদীয়া গ্রহন বিষয়ের ক্ষেত্রে শরয়ী মূলনীতি হল-যদি তার ইনকাম হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হারাম মাল বেশি হয়, তাহলে তা থেকে দাওয়াত/হাদীয়া গ্রহন জায়েজ নয়। তবে যদি হারাম মাল কম হয় তাহলে দাওয়াত/হাদীয়া গ্রহন জায়েজ হবে।

ولا يجوز قبول هدية أمراء الجور لأن الغالب في مالهم الحرمة إلا إذا علم أن أكثر ماله حلال بأن كان صاحب تجارة أو زرع فلا بأس به لأن أموال الناس لا تخلو عن قليل حرام فالمعتبر الغالب (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الثاني عشر في الهدايا والضيافات-5/342)

অনুবাদ-জালেম বাদশাহর হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ নয়। কেননা তার অধিকাংশ মাল হয় হারাম। তবে যদি জানা যায় যে, তার অধিকাংশ মাল হালাল, এ হিসেবে যে সে ব্যাবসায়ী বা জমিদার, তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করাতে সমস্যা নেই। কেননা সাধারণত মানুষের মাল অল্প হারাম থেকে মুক্ত নয়। তাই এতে আধিক্যের বিষয়টি বিবেচিত হবে। { ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২}

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনার নানা নানীর ইনকামের অধিকাংশই হারাম হয়,তাহলে তার দাওয়াত গ্রহন করা জায়েজ হবেনা।
আর যদি হালালই বেশি হয়,তাহলে দাওয়াত গ্রহন জায়েজ আছে।
তবে তাকওয়ার দাবী হলো সেই ছুরতেও অতিব প্রয়োজন ব্যাতিত দাওয়াত না খাওয়া।      

আর যদি কোনো হালাল টাকা করজ নিয়ে তারা আপনাকে দাওয়াত খাওয়ায়,তাহলে সেই ছুরতে দাওয়াত গ্রহন করতে কোনো সমস্যা নেই।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...