আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
426 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/মুখে উচ্চারন না করে শুধু মুখ নাড়িয়ে বা জিহবা নাড়িয়ে স্ত্রীকে তালাক দিলে তালাক হবে নাকি?

২/আমার নিয়ত ছিলো এই কাথাটা বলা যে আমার স্ত্রী যেন তালাক না হয়,আমি যখন আমার নিয়ত অনুযায়ী এই কথাটা বলতে ইচ্ছুক হই ঠিক তখনই এমন মনে হয় যে আমি একই কথাটা একই সাথে দুইভাবে বলতেছে অর্থাৎ
মুখে উচ্চারণ করে আর মনে মনে (যে কথাটা মুখে উচ্চারণ করে বলব সে কথাটা মনে মনেও বলতেছি)

যেমন আমি মুখে যখন এই কথাটা বলতেছি যে আমার স্ত্রী যেন তালাক না হয়, এই কথটা বলার সাথে সাথে আমি মনে মনে এই কথাটাও বলেছি যে আমার স্ত্রী যেন তালাক হয়।

তালাক যেন না হয় এই কথাটা স্পষ্ট শোনা গিয়েছে আর তালাক হয় কথাটা শোনা যায়নি,এখ৷ আমার ভয় হচ্ছে আমি যে মুখ নাড়িয়ে তালাক যেন না হয় বলেছি ঠিক ওই মুহুর্তেই মনে মনে তালাক হয় বলেছি, এখন মুখ নাড়িয়ে তালাক না হয় বলার সাথে সাথে মনে মনে তালাক হয় কথাটা বলার কারনে কি তালাক হবে?যেহেতু আমার মুখ নড়েছে তালাক যেন না হয় সেটা বলার জন্য।
৩/আমি যখন এই কথাটা বলার জন্য নিয়ত করি যে আমার স্ত্রী যেন তালাক হয়না,এবং এই নিয়ত অনুযায়ীই যখন তালাক হয় পর্যন্ত বলেছি ঠিক তখনই আমার মনে মনে আমি না চাইলেও কে যেন বলতেছে যে তালাক হবে,ঠিক তখনই আমি মুখ দিয়ে না শব্দটা বের করেছি জাতে মনে মনে বলা কথাটা পরিবর্তন হয় এবং স্ত্রী যেন তালাক না হয়,এখানে আমার ভয় হচ্ছে আমি যে তালাক হয়না বলার নিয়ত করেছি সে বাক্যটা সম্পুর্ন করতে পারিনাই অর্থাৎ তালাক হয় পর্যন্ত বলেছি আর না শব্দটা বলতে পারিনাই,কেননা ওই মুহুর্তে আমার মনে মনে তালাক হয় কথাটা উদয় হয়েছিল আফ এই উদয়কৃত কথাটা প্রতিহত করার জন্য আমার নিয়ত অনুযায়ী তালাক যেন হয়না বাক্যটা সম্পুর্ন করে বলতে পারি নাই এবং তালাক হয় পর্জন্ত বলার উদ্দেশ্য তালাক দেওয়া ছিলো না, বরং তালাক যেন না হয় সেটাই বলতে চাইছিলাম কিন্তু মনে মনে আশা কথাটাকে বাধা দেওয়ার জন্য আমার নিয়ত অনুযায়ী তালাক যেন হয়না বলতে পারি নাই অর্থাৎ তালাক হয় পর্জন্ত বলেছি কিন্তু না শব্দটা বলতে পারি নাই।


৩/আমার মনে যদি সামান্য সন্দেহ থাকে যে আমি তালাক হওয়ার পক্ষে স্পষ্ট কোোনো কথা বলেছি নাকি বলি নাই তাহলে কি স্ত্রী তালাক হবে?


৪/হয়তো তালাক হওয়ার পক্ষে কথা বলেছি কিন্তু এখন আমার মনে নাই তাহলে কি তালাক হবে?অর্থাৎ শিয়রনা।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৩)
না,এতেও তালাক হবেনা।
সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক হয়না।

(০৪)
নিশ্চিত না হতে পারলে বা কেউ সাক্ষী না থাকলে শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে তালাক হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (31 points)
ধন্যবাদ হুজুর,এখন অনেকটাই পেরেশানি থেকে মুক্তি পাব ইনশাআল্লাহ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...