আসসালামু আলাইকুম। সংশয় এড়ানোর জন্য নীচের প্রশ্নগুলোর একটু বিস্তারিত উত্তর আশা করছি। জাযাকাল্লাহু খায়রান।
(১) আমি সব হারাম বিষয়কেই হারাম বলে গন্য করি। কিন্তু মাঝে মাঝে সংশয়ে পড়ে যাই যে আমি কি আসলেই সব হারাম বিষয়কে হারাম বলে মন থেকে গন্য করি!! নাকি কিছু হারামকে বাহ্যিকভাবে হারাম হিসেবে মেনে চললেও মন থেকে সেগুলোকে হালাল বলে মনে করি, কেননা পূর্বে সেই হারাম কাজগুলো থেকে উপকৃত হয়েছি।
যেহেতু কোনো হারামকে জেনেশুনে হালাল হিসেবে মনে করলে সে কাফের হয়ে যায়, তাই এই বিষয়টা নিয়ে আমি চিন্তিত। আমি ওই হারাম বিষয়গুলোকে মন থেকে হারাম হিসেবে গণ্য করছি কিনা তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছি অর্থাৎ আমার ঈমান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছি।
যেহেতু পূর্বে হারাম থেকে উপকৃত হওয়ার কারণে, আমি হারাম বিষয়গুলোকে হারাম বলে মন থেকে গণ্য করছি কিনা তা নিয়ে সংশয়ে পড়ে গেছি, সেহেতু আমি কি কাফের হয়ে গেছি?কারণসহ যদি বলতেন।
(২) আমি মন থেকে হারাম বিষয়গুলোকে হারাম বলেই মনে করি কিনা তা বোঝার কি কোনো উপায় আছে? প্রশ্নটি একটু অন্যরকম হলেও আসলেই নিজের মনে কি আছে তা নিয়ে সংশয়ে আছি।
(৩) ”কোনো হারামকে জেনেশুনে হালাল হিসেবে মনে করলে সে কাফের হয়ে যায়”, এই বিষয়টা নিয়ে ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার উপায় যদি বলতেন। হারামকে হারাম হিসেবে মনে করা সত্বেও মনে কি আছে তা নিয়ে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিয়ে পেরেশানীতে ফেলার চেষ্টা করে।
(৪) শরীয়তের কোনো একটা বিষয় বাহ্যিকভাবে মেনে চললেও কেউ যদি মনে মনে আক্ষেপ বা কুধারণা পোষণ করে যে, এটা এমন না হয়ে এমন হলে ভালো হতো (যেমন: গান-বাজনা হারাম না হয়ে হালাল হলে ভালো হতো), তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে? কারণসহ যদি বলতেন।
(৫) কেউ যদি বলে মিথ্যা না বললে স্মার্ট হওয়া যায় নাকি, তাহলে এমন বলার দরুণ বা বিশ্বাস রাখার দরুন কি সে কাফের হয়ে যাবে? কারণসহ যদি বলতেন।
(৬) কেউ যদি জেনেশুনে কোনো ভুল আকিদায় বিশ্বাস করে, তাহলে সে কি কাফের হয়ে যাবে? যেমন: উদাহরণস্বরূপ করিম যদি জেনেশুনে বিশ্বাস করে যে---”কোনো একটা বিষয়ে কেউ এমন ধারণা রাখলে সে ব্যক্তি কাফের হয়ে যেতে পারে”------কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যদি বিষয়টি নিয়ে সেই ধারণা রাখার কারণে কাফের হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে করিমের এই ভুল আকিদার জন্য করিম কি কাফের হয়ে যাবে? কারণসহ যদি বলতেন।