আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (21 points)

আসসালামু আলাইকুম। সংশয় এড়ানোর জন্য নীচের প্রশ্নগুলোর একটু বিস্তারিত উত্তর আশা করছি। জাযাকাল্লাহু খায়রান।

(১) আমি সব হারাম বিষয়কেই হারাম বলে গন্য করি। কিন্তু মাঝে মাঝে সংশয়ে পড়ে যাই যে আমি কি আসলেই সব হারাম বিষয়কে হারাম বলে মন থেকে গন্য করি!! নাকি কিছু হারামকে বাহ্যিকভাবে হারাম হিসেবে মেনে চললেও মন থেকে সেগুলোকে হালাল বলে মনে করি, কেননা পূর্বে সেই হারাম কাজগুলো থেকে উপকৃত হয়েছি।

যেহেতু কোনো হারামকে জেনেশুনে হালাল হিসেবে মনে করলে সে কাফের হয়ে যায়, তাই এই বিষয়টা নিয়ে আমি চিন্তিত। আমি ওই হারাম বিষয়গুলোকে মন থেকে হারাম হিসেবে গণ্য করছি কিনা তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছি অর্থাৎ আমার ঈমান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছি।

যেহেতু পূর্বে হারাম থেকে উপকৃত হওয়ার কারণে, আমি হারাম বিষয়গুলোকে হারাম বলে মন থেকে গণ্য করছি কিনা তা নিয়ে সংশয়ে পড়ে গেছি, সেহেতু আমি কি কাফের হয়ে গেছি?কারণসহ যদি বলতেন।

(২) আমি মন থেকে হারাম বিষয়গুলোকে হারাম বলেই মনে করি কিনা তা বোঝার কি কোনো উপায় আছে? প্রশ্নটি একটু অন্যরকম হলেও আসলেই নিজের মনে কি আছে তা নিয়ে সংশয়ে আছি।

(৩) ”কোনো হারামকে জেনেশুনে হালাল হিসেবে মনে করলে সে কাফের হয়ে যায়”, এই বিষয়টা নিয়ে ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার উপায় যদি বলতেন। হারামকে হারাম হিসেবে মনে করা সত্বেও মনে কি আছে তা নিয়ে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিয়ে পেরেশানীতে ফেলার চেষ্টা করে।

(৪) শরীয়তের কোনো একটা বিষয় বাহ্যিকভাবে মেনে চললেও কেউ যদি মনে মনে আক্ষেপ বা কুধারণা পোষণ করে যে, এটা এমন না হয়ে এমন হলে ভালো হতো (যেমন: গান-বাজনা হারাম না হয়ে হালাল হলে ভালো হতো), তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে? কারণসহ যদি বলতেন।

(৫) কেউ যদি বলে মিথ্যা না বললে স্মার্ট হওয়া যায় নাকি, তাহলে এমন বলার দরুণ বা বিশ্বাস রাখার দরুন কি সে কাফের হয়ে যাবে? কারণসহ যদি বলতেন।

(৬) কেউ যদি জেনেশুনে কোনো ভুল আকিদায় বিশ্বাস করে, তাহলে সে কি কাফের হয়ে যাবে? যেমন: উদাহরণস্বরূপ করিম যদি জেনেশুনে বিশ্বাস করে যে---”কোনো একটা বিষয়ে কেউ এমন ধারণা রাখলে সে ব্যক্তি কাফের হয়ে যেতে পারে”------কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যদি বিষয়টি নিয়ে সেই ধারণা রাখার কারণে কাফের হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে করিমের এই ভুল আকিদার জন্য করিম কি কাফের হয়ে যাবে? কারণসহ যদি বলতেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
reshown by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। আপনি আকিদা রাখবেন, যেগুলো শরীয়তে হারাম, সেগুলোকে আমিও হারাম মনে করি।আর যেগুলো শরীয়তে হালাল সেগুলোকে আমিও হালাল মনে করি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...