জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এক্ষেত্রে এমন রাতে আপনি তাহাজ্জুদ নামাজের সময় তথা শেষ রাতে উঠবেন,সে সময়ে হায়েজ বন্ধ হয়ে গেলে আপনি গোসল করে ইশার নামাজ আদায় করবেন।
এক্ষেত্রে যদি তাহাজ্জুদের সময়ে জাগতে না পারেন,সেক্ষেত্রে ফজরের সময় উঠে গোসল করে আপনি প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।
যদি প্রবল ধারনা হয় যে হায়েজ ফজরের ওয়াক্ত আসার আগেই ভালো হয়েছে,সেক্ষেত্রে ঈশার নামাজের কাজা আদায় করবেন ও সাথে সাথে ফজরের সালাত আদায় করবেন।
আর যদি প্রবল ধারনা হয় যে হায়েজ ফজরের ওয়াক্ত আসার পর ভালো হয়েছে,সেক্ষেত্রে শুধু ফজরের সালাত আদায় করলেই হবে।
(০২)
এক্ষেত্রে আপনার আগের মাস গুলোর অবস্থা,আপনার অভ্যাস, প্রবল ধারনার ভিত্তিতে যদি মনে করেন যে আর হায়েজ আসবেনা,সেক্ষেত্রে গোসল করে নামাজ আদায় করবেন।
এরপরেও হায়েজ চলে আসলে এই অপবিত্র অবস্থার নামাজ আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
আর যদি আপনার প্রবল ধারনা হয় যে আবারো হায়েজ আসবে,সেক্ষেত্রে নামাজের শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।
ওয়াক্তের শেষ পর্যন্তও হায়েজ না আসলে গোসল করে নামাজ আদায় করবেন।
(০৩)
আপনার পক্ষ থেকে এভাবে বারবার অনুমতি ছাড়া প্রবেশের অনুমতি থাকলে এক্ষেত্রে বারবার অনুমতি না নিলেও গলা খাকারী দিয়ে তার প্রবেশের বিষয় জানান দিতে হবে।
(০৪)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি নিজেই কন্ঠ মোটা করে পুরুষ শিক্ষকের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলবেন।
প্রয়োজন থেকে অতিরিক্ত কথা বলবেননা।