আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম।
জখন আমি পড়াশোনা করি তখন আমাদের স্কুলে এসএসসি পরিক্ষার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করা হয়।

আমি ঢাকা বোর্ড থেকে পরিক্ষা দিয়েছি আর ঢাকা বোর্ডে সরকারিভাবে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রায় ১৭০০টাকা ধরা হয়েছে।
আমি বেসরকারি স্কুলে ক্লাস করেছি কিন্তু সরকারি স্কুল থেকে রেজিষ্ট্রেশন করে পরিক্ষা দিয়েছি। অর্থাৎ আমাদের বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল একটা সরকারি স্কুল থেকে আমাদের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন।সরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল আমাদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে টাকা চেয়েছে তার থেকে ৩হাজার টাকা বেশি নিয়েছে আমাদের বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল। আমরা জানি যে আমাদের স্যার আমাদের থেকে অনেক বেশি টাকা নিয়েছে যেটা বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল আমাদের থেকে এতো টাকা চায়নি।

সরকারি স্কুলে আমাদের মোট ৭০০০টাকার মতো দিতে হবে রেজিষ্ট্রেশন আর দুই বছরের বেতনসহ। এখন আমাদের প্রিন্সিপাল আমাদের থেকে ১০০০০টাকা চেয়েছে জার কারনে স্যারের সাথে একটু তর্ক হয়েছে কেননা স্যার আমাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা চেয়েছে আর টাকা না দিলে পরিক্ষা দিতে পারতাম না।অবশেষে স্যারকে টাকা দিয়ে দিয়েছি।প্রথমত হচ্ছে সরকার থেকে যে টাকার পরিমান করে দেওয়া হয়েছে সেটা প্রায় ৫হাজার টাকার মতো ছিলো।
৫হাজার টাকার মধ্যে ১৭০০টাকা ছিলো রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য আর বাকি গুলো ছিলো দুই বছরের বেতনের টাকা।
এখন প্রশ্ন হলো,
১/সরকার থেকে যে দুই বছরের বেতনের টাকা দিতে বলা হয়েছে সে দুই বছর স্কুল বন্ধ ছিলো এবং ক্লাস হয় নাই।এখন আমাদের থেকে যে দুই বছরের টাকা নেওয়া হয়েছে সেটা কি তাদের জন্য হালাল হবে নাকি হারাম হবে যেহেতু আমার টাকার বিনিময়ে ক্লাস করি আর তখন ক্লাস করানো হয়নি কিন্তু স্কুলে আমাদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।
২/আমাদের বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল আমার থেকে ৫০০টাকা পাবে যেটা আমাদের স্যার নিজেও জানেনা। এখন আমি যদি স্যারকে ৫০০টাকা না দেই এইটা ভেবে যে স্যার তো আমার থেকে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় বেশি টাকা নিয়েছে।এখন যদি টাকাটা না দেই তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?


৩/আমার স্যার ঢাকাতে থাকে আর আমি গ্রামে চলে আইছি যদি টাকাটা দিতেও হয় তাহলে এখন আমার করনিয় কি?আর আমার স্যার একজন হিন্দু। যদি টাকাটা দিতেও হয় তাহলে আমি কিভাবে দিব আর না দিলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
দুই বছরের ক্লাশ যেহেতু হয়নি,তাই ক্লাশের বেতন হিসেবে টাকা দেয়াটা জরুরি না হওয়ারই কথা।
কিন্তু সরকারী ভাবেই যদি ঐ দুই বছরের বেতন দেয়া আবশ্যক বলা হয়,সেক্ষেত্রে অগত্যা দিতে হবে। 

(২.৩)
যেহেতু বেসরকারি স্কুলের সেই প্রিন্সিপাল আপনার থেকে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় ৩০০০ টাকা জুলুম করে বেশি নিয়ে নিজে গ্রহন করেছে,তাই আপনি যদি তাকে ঐ ৫০০ টাকা না দেন,সেক্ষেত্রে আশা করা যায় যে কোনো সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...