আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (28 points)
এক ব্যক্তি জানে যে, হারাম খেলে দোয়া, ইবাদত কিছু কবুল হয় না। এরপরেও সে ব্যক্তি আজীবন হারাম খেয়েছে এবং নামাজ, রোজা, হজ সহ সকল ইবাদত করেছে।

১. সে ব্যক্তির নামাজ, রোজা, হজ ইত্যাদি ইবাদত কবুল হবে? কবুল না হলেও সে ব্যক্তি ইবাদতগুলো কি কোনো কাজেই আসবে না?

২. আমি শুনেছিলাম যে, সে ব্যক্তির নামাজ কবুল না হলেও; নামাজ না পড়ার গুনাহ তার হবে না। মানে সে ব্যক্তি আল্লাহর হুকুম পালন করেছে। তাই তার নামাজ না পড়ার শাস্তি নাকি হবে না। আসলে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছিলাম।

৩. হারাম খেলে সে ব্যক্তির রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি ইবাদতগুলো কবুল হবে কি?

৪. সে ব্যক্তি যদি কোনো সম্পদের জাকাত না দিয়ে থাকে তবে তার সম্পদগুলো হারাম হয়ে যাবে? আর এই হারাম সম্পদ খেলে তো ইবাদত কবুল হওয়ার কথা না। আমার মতে সে ব্যক্তির ইবাদত কবুল হওয়ার কথা না। আপনি কি বলেন?

৫. সে ব্যক্তি এবং হারাম খোর বেনামাজি ব্যক্তির মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে কি? মানে সে ব্যক্তির ইবাদত কবুল না হলে তার ইবাদতের দরকার কি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সুদ হারাম আর হারাম মাল ভক্ষণ করলে দুআ কবুল হয় না। হারাম মালকে সদকাহ করে দিতে হবে। 
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "
 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)যে ব্যক্তি হারাম ভক্ষণ করবে,তার নামাজ, রোজা, হজ ইত্যাদি ইবাদত কবুল হবে কি না তা আল্লাহই ভালো জানেন। কবুল না হওয়া বলে যে সতর্কবার্তা হাদীসে পেশ করা হয়েছে, তার উদ্দেশ্য হল, যাতেকরে লোকজন হারাম ভক্ষণ থেকে দূরে থাকে।

(২) 
জ্বী, আপনি ঠিকই শুনেছেন। হারাম ভক্ষণকারী যে সমস্ত নামায রোযা করবে, তাদেরকে সেই ইবাদত পূনর্বার দোহড়াতে হবে না।এবং আশা করা যায় যে, সেই ফরয ইবাদতগুলো না পড়ার গোনাহও হবে না।


(৩) হারাম ভক্ষণকারীর রোজা,হজ্ব,যাকাত ইত্যাদিকে পূনর্বার দোহড়াতে হবে না।

(৪) যে ব্যক্তি সম্পদের যাকাত দিবে না, যাকাত সমপরিমাণ টাকা তার সম্পদে হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। এই হারাম সম্পদ খেলেও ইবাদত কবুল না হওয়া স্বাভাবিক। তবে পূর্বে মত এক্ষেত্রেও উক্ত ইকাদতকে দোহড়াতে হবে না।

(৫) হারাম খোর বেনামাজি ব্যক্তির মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য রয়েছে। একজন ইবাদতই করেনি, আর অন্যজন ইবাদত করেছিলো,যদিও কোনো কারণে তার ইবাদতগুলো সংশয়ে রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
হুজুর দোহড়াতে হবে না- মানে কি? বুঝি নাই

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...