আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in পবিত্রতা (Purity) by (23 points)
আমার প্রায় সারাদিন ই সাদাস্রাব যায় এবং প্রায় সারামাসজুড়ে ই এই সমস‍্যাটা থাকে। ওয়াশরুমে গেলেই পাজামাতে সাদাস্রাব দেখা যায়। আমার খুব ঠান্ডার সমস‍্যা। ঠান্ডা ও বলা চলে প্রায় সারাবছর লেগেই থাকে। আমি যদি এমতবস্থায় ফোনে আয়াতে টাচ না করে সাইডে স্ক্রল করে কুরআন পড়ি দেখে তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?

বা যদি মুখস্থ পড়ি তাহলেও কি গুনাহ হবে?


২) সাদাস্রাবযুক্ত কাপড়গুলো ও তিনবার ভালোভাবে নিংড়িয়ে তিনবার ধৌত করতে হবে? সাদ্রাস্রাবের নাপাকি আর (হায়েজের রক্ত/মলমূত্রের) নাপাকি কি সেম?


৩) হায়েজের রক্ত/মলমূত্রের নাপাক কাপড় পাক করার সঠিক পদ্ধতি কোনটা। আমি বেশ কিছু ভিডিও দেখেছি। একটু ক্লিয়ার হতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (697,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
সাদাস্রাব লজ্জাস্থানের বাহিরে চলে আসলে অজু ভেঙ্গে যাবে।অজু না থাকলেও কুরআন পড়া যায়,তবে স্পর্শ করা যায় না।
লিকোরিয়া (সাদাস্রাব )সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা  স্বাভাবিকভাবেই বেশিক্ষণ অযু ধরে রাখতে পারেন না। তাদের জন্য অতিরিক্ত গিলাফ ইত্যাদি দ্বারা কুরআন স্পর্শ করা জায়েয হবে। তবে হাত মোজা পরিধান করে কুরআনকে স্পর্শ করা জায়েয হবে না। বরং এমন কাপড় হতে হবে যা পরিহিত নয়। 

(ومنها) حرمة مس المصحف لا يجوز لهما وللجنب والمحدث مس المصحف إلا بغلاف متجاف عنه كالخريطة والجلد الغير المشرز، لا بما هو متصل به، هو الصحيح. هكذا في الهداية، وعليه الفتوى. كذا في الجوهرة النيرة.
والصحيح منع مس حواشي المصحف والبياض الذي لا كتابة عليه. هكذا في التبيين.
واختلفوا في مس المصحف بما عدا أعضاء الطهارة وبما غسل من الأعضاء قبل إكمال الوضوء، والمنع أصح. كذا في الزاهدي، ولا يجوز لهم مس المصحف بالثياب التي هم لابسوها، ويكره لهم مس كتب التفسير والفقه والسنن، ولا بأس بمسها بالكم. هكذا في التبيين''.فقط واللہ اعلم


(২)
সাদাস্রাবযুক্ত কাপড়গুলোকেও তিনবার ভালোভাবে নিংড়িয়ে ধৌত করতে হবে।কেননা এটা অদৃশমান নাজাসত।

(৩)
إنْ غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.
যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে থাকে,এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে,সেই পানি ও কাপড় এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোট ফোটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/23740


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 140 views
...