ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
সাদাস্রাব লজ্জাস্থানের বাহিরে চলে আসলে অজু ভেঙ্গে যাবে।অজু না থাকলেও কুরআন পড়া যায়,তবে স্পর্শ করা যায় না।
লিকোরিয়া (সাদাস্রাব )সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা স্বাভাবিকভাবেই বেশিক্ষণ অযু ধরে রাখতে পারেন না। তাদের জন্য অতিরিক্ত গিলাফ ইত্যাদি দ্বারা কুরআন স্পর্শ করা জায়েয হবে। তবে হাত মোজা পরিধান করে কুরআনকে স্পর্শ করা জায়েয হবে না। বরং এমন কাপড় হতে হবে যা পরিহিত নয়।
(ومنها) حرمة مس المصحف لا يجوز لهما وللجنب والمحدث مس المصحف إلا بغلاف متجاف عنه كالخريطة والجلد الغير المشرز، لا بما هو متصل به، هو الصحيح. هكذا في الهداية، وعليه الفتوى. كذا في الجوهرة النيرة.
والصحيح منع مس حواشي المصحف والبياض الذي لا كتابة عليه. هكذا في التبيين.
واختلفوا في مس المصحف بما عدا أعضاء الطهارة وبما غسل من الأعضاء قبل إكمال الوضوء، والمنع أصح. كذا في الزاهدي، ولا يجوز لهم مس المصحف بالثياب التي هم لابسوها، ويكره لهم مس كتب التفسير والفقه والسنن، ولا بأس بمسها بالكم. هكذا في التبيين''.فقط واللہ اعلم
(২)
সাদাস্রাবযুক্ত কাপড়গুলোকেও তিনবার ভালোভাবে নিংড়িয়ে ধৌত করতে হবে।কেননা এটা অদৃশমান নাজাসত।
(৩)
إنْ غَسَلَ ثَلَاثًا فَعَصَرَ فِي كُلِّ مَرَّةٍ ثُمَّ تَقَاطَرَتْ مِنْهُ قَطْرَةٌ فَأَصَابَتْ شَيْئًا إنْ عَصَرَهُ فِي الْمَرَّةِ الثَّالِثَةِ وَبَالَغَ فِيهِ بِحَيْثُ لَوْ عَصَرَهُ لَا يَسِيلُ مِنْهُ الْمَاءُ فَالثَّوْبُ وَالْيَدُ وَمَا تَقَاطَرَ طَاهِرٌ وَإِلَّا فَالْكُلُّ نَجِسٌ. هَكَذَا فِي الْمُحِيطِ.
যদি কেউ কাপড়কে তিনবার ধৌত করে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়ায়, অতঃপর কাপড় থেকে পানির ফোটা কোনো জিনিষে পড়ে, যদি তৃতীয়বার ভালভাবে নিংড়ানো হয়ে থাকে,এমনভাবে যে এরপর আর নিংড়ালে কোনো পানি বের হবে না,তাহলে কাপড় থেকে যে পানি পড়বে,সেই পানি ও কাপড় এবং হাত কোনো কিছুই নাপাক বলে বিবেচিত হবে না।আর যদি নিংড়ানো না হয়ে থাকে,তাহলে তিনবার ধৌত করার পরও কাপড় থেকে ফোট ফোটা করে পরে যাওয়া পানি নাপাক বলেই গণ্য হবে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪২)