আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (36 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।                  আমার প্রশ্নটি নিম্নের লিংকের পরিপ্রেক্ষিতে করা।লিংকটি হল:            https://ifatwa.info/6693/?show=6711#a6711          ওস্তাদ, আপনি বলেছিলেন যে বেতনের যতটুকু অংশ হারাম ছিল তা সবটুকু সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের ছদকা করে দিতে হবে। এখন আমার সমস্যা হল:                                                        আমি ও আমার মা সরকার থেকে লকডাউনের পর যে বেকারভাতা পেয়েছি তা থেকে আমাদের বর্তমানে যে পরিমাণ অর্থ জমা আছে তাই কী সদকা করে দিব?নাকি সেই বেকারভাতা যখন থেকে পেয়েছি তখন থেকে আজ পর্যন্ত যা খরচ হয়েছে সেই amount বাদ দিব total হালাল ইনকাম থেকে?                                                 উল্লেখ্য যে,আমাদের বেতনভাতা পাওয়ার আগে ও পরে কিছু হারাম উপার্জন যোগ হয়েছে।তাই হিসাবটা বোঝা কষ্টকর। আরেকটা কথা যদি সদকা করে দেয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকবে তা হালাল চাকরি পাওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায় এবং আমাদের হারাম উপার্জন থেকে অবশিষ্ট রয়ে যায় তখন কী তা থেকে  হালাল চাকরি পাওয়া পর্যন্ত খরচ করতে পারব?                                           জাযাকাল্লাহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
 بسم الله الرحمن الرحيم 

বেকারভাতা যখন থেকে পেয়েছেন, তখন থেকে আজ পর্যন্ত যা খরচ হয়েছে সেই amount বাদ দিতে হবে total হালাল ইনকাম থেকে।
,
কিন্তু এটা একধাপেই আপনাদের জন্য কস্টকর হবে।
তাই আপাতত বর্তমানে যে পরিমাণ অর্থ আপনাদের কাছে জমা আছে,তার মধ্যে হিসেব করে যতটাকা হারাম আছে,সেটা ছদকাহ করে দিবেন।
,
আর পুরো সম্পদের মধ্যে যাহা হারাম আছে,সেটা ধারাবাহিক ভাবে আস্তে আস্তে দান করতে থাকবেন।
মনে রাখবেন সব হারাম টাকা হিসেব করা সম্ভব না হলে আনুমানিক একটি হিসেব করে ছদকাহ করে দিতে হবে। 

আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "
 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে   সমস্ত হারাম টাকা হিসেব করা কোনোভাবেই সম্ভব না হলে অনুমান করে অবশ্যই ছদকাহ  করে দিতে। 
,
ঐ টাকা এখনই দান করে দিলে যদি হালাল চাকুরী পাওয়ার আগ পর্যন্ত আপনাদের জীবন চলার গতি কষ্টকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে,অন্য কোনো ছুরত যদি না থাকে,   
তাহলে এখনই পুরাটা দান না করে অল্প করে ধারাবাহিকভাবে অল্প অল্প করে দান করতে থাকুন।
হালাল চাকরি পাওয়ার পর পুরো হিসেব করে দান করর দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...