জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
উক্ত ছুরতটি নাজায়েজ হওয়ার কারন হলো ধোকা দেওয়া।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
(০২)
হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার বিষয়ের ক্ষেত্রে শরয়ী মূলনীতি হল-যদি বেতনটি হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হারাম মাল বেশি হয়, তাহলে তা নেয়া জায়েজ নয়। তবে যদি হারাম মাল কম হয় তাহলে বেতন নেয়া জায়েজ হবে।
ولا يجوز قبول هدية أمراء الجور لأن الغالب في مالهم الحرمة إلا إذا علم أن أكثر ماله حلال بأن كان صاحب تجارة أو زرع فلا بأس به لأن أموال الناس لا تخلو عن قليل حرام فالمعتبر الغالب (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الثاني عشر في الهدايا والضيافات-5/342)
অনুবাদ-জালেম বাদশাহর হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ নয়। কেননা তার অধিকাংশ মাল হয় হারাম। তবে যদি জানা যায় যে, তার অধিকাংশ মাল হালাল, এ হিসেবে যে সে ব্যাবসায়ী বা জমিদার, তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করাতে সমস্যা নেই। কেননা সাধারণত মানুষের মাল অল্প হারাম থেকে মুক্ত নয়। তাই এতে আধিক্যের বিষয়টি বিবেচিত হবে। { ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২}
তবে যদি হারাম মাল কম হয় তাহলে তা নেয়া জায়েজ হবে,ব্যবহার করাও জায়েজ আছে।
চাইলে ছদকাহও করতে পারে।
তবে তারপরেও এটা না নেওয়াই উত্তম।
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু বেতনে বেয়াহির ভাগ অংশই হারাম মাল এর অন্তর্ভুক্ত।
তাই সেখানে চাকুরী করা জায়েজ নেই।
,
যেইভাবেই হোক এখনই সেই চাকুরী ছেড়ে দিয়ে অন্যত্রে হালাল চাকুরী করতে হবে।
,
বেতনের যতটুকু অংশ হারাম ছিলো,ততটুকুর সব গরিবদের মাঝে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া ছদকাহ করে দিতে হবে।
,
হারাম সম্পদ দান করার পর নিজের অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থা দেখিয়ে সরকার থেকে সাহায্য নিতে পারবেন।