জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
কাউকে কাফির বলে আখ্যা দেয়ার প্রধানত কারণ হল,
ইসলামের মৌলিক কোনো ফরয বিধানকে অস্বীকার করা।যেমন নবী সাঃ কে অস্বীকার করা।পাঁচ ওয়াক্ত নামাযকে অস্বীকার করা।রোযাকে অস্বীকার করা।ইত্যাদি ইত্যাদি।
★সুতরাং যেকোনো রাস্ট্রপ্রধান যদি মহান আল্লাহ তায়ালার অকাট্য ভাবে প্রমানীত কোনো ফরজ বিধানকে স্পষ্ট অস্বীকার করে,তাহলে সে কাফের।
তবে কুরআনের বিধান অনুযায়ী রাস্ট্র পরিচালনা না করলেই কেহ কাফের হয়না।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) এ সংক্রান্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,
مَنْ جَحَدَ مَا أَنْزَلَ اللهُ فَقَدْ كَفَرَ وَمَنْ أَقَرَّ بِهِ وَلَمْ يَحْكُمْ فَهُوَ ظَالِمٌ فَاسِقٌ
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে অস্বীকার করল সে কুফরী করল। আর যে ব্যক্তি তা স্বীকার করল, কিন্তু সে অনুযায়ী বিচার করল না সে যালিম ও ফাসিক।
(ইবনু জারীর, কুরতুবী, ইবনু কাছীর, উক্ত আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য; তাহকীক দ্রষ্টব্য : খালেদ আল-আম্বারী, উছূলুত তাকফীর পৃঃ ৬৪; ৭৫-৭৬ টীকাসমূহ।)
,
বিস্তারিত জানুনঃ
রাসূল সাঃ হাদীসে মুসলমান এর পরিচয় দিয়েছেন।
عن أنس بن مالك قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( من صلى صلاتنا واستقبل قبلتنا وأكل ذبيحتنا فذلك المسلم
অনুবাদ-হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি আমাদের মত নামায পড়ে, আমাদের কিবলাকেই কিবলা নির্ধারণ করে, এবং আমাদের জবাইকৃত পশু খায়, সে মুসলমান। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩৮৪} অন্য হাদীসে রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন।
,
.