আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
360 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
তুরষ্ক রাষ্ট্রের বিধান পরিপূর্ণ ইসলামিক নয়। রাষ্ট্রপ্রধান এরদোয়ান সেকুলারিজম এ বিশ্বাসী একজন মানুষ।

একজন এমন বলেছেন:

কেউ যদি নিজেকে মুসলিম দাবি করি কিন্তু বিশ্বাস করে মাজারে শোয়া ব্যাক্তি তাকে কিছু দিতে পারে সে কাফের। সে তাওহীদ এর রুবুবিয়াত এর শিরকে লিপ্ত হইসে
কেউ যদি বলে তার মধ্য আল্লাহ আছে সে কাফের।  সে তাওহীদের আসমা ওয়াস সিফাত এ শিরক করলো।

কেউ যদি নিজেকে মুসলিম দাবি করি কিন্তু শ রিয়াহ ব্যাতিত শাসন করে তাহলে সে কাফের। কারন সে তাওহীদুল হাকিমিয়ায় শিরক করছে।

তবে কুফর দুনা কুফর এর কারনে ঈমান ভাংগবে নাহ।

আর এরদোয়ান এর টা কুফরে দুনা না সে শিরকে লিপ্ত

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

কাউকে কাফির বলে আখ্যা দেয়ার প্রধানত কারণ হল,
ইসলামের মৌলিক কোনো ফরয বিধানকে অস্বীকার করা।যেমন নবী সাঃ কে অস্বীকার করা।পাঁচ ওয়াক্ত নামাযকে অস্বীকার করা।রোযাকে অস্বীকার করা।ইত্যাদি ইত্যাদি।

★সুতরাং যেকোনো রাস্ট্রপ্রধান যদি মহান আল্লাহ তায়ালার অকাট্য ভাবে প্রমানীত কোনো ফরজ বিধানকে স্পষ্ট অস্বীকার করে,তাহলে সে কাফের।    


তবে কুরআনের বিধান অনুযায়ী রাস্ট্র পরিচালনা না করলেই কেহ কাফের হয়না।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) এ সংক্রান্ত  আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, 
مَنْ جَحَدَ مَا أَنْزَلَ اللهُ فَقَدْ كَفَرَ وَمَنْ أَقَرَّ بِهِ وَلَمْ يَحْكُمْ فَهُوَ ظَالِمٌ فَاسِقٌ
 ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে অস্বীকার করল সে কুফরী করল। আর যে ব্যক্তি তা স্বীকার করল, কিন্তু সে অনুযায়ী বিচার করল না সে যালিম ও ফাসিক।
(ইবনু জারীর, কুরতুবী, ইবনু কাছীর, উক্ত আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য; তাহকীক দ্রষ্টব্য : খালেদ আল-আম্বারী, উছূলুত তাকফীর পৃঃ ৬৪; ৭৫-৭৬ টীকাসমূহ।)
,
বিস্তারিত জানুনঃ


রাসূল সাঃ হাদীসে মুসলমান এর পরিচয় দিয়েছেন।
 عن أنس بن مالك قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( من صلى صلاتنا واستقبل قبلتنا وأكل ذبيحتنا فذلك المسلم 
অনুবাদ-হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি আমাদের মত নামায পড়ে, আমাদের কিবলাকেই কিবলা নির্ধারণ করে, এবং আমাদের জবাইকৃত পশু খায়, সে মুসলমান। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩৮৪} অন্য হাদীসে রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন।
,

কাউকে বেঈমান,কাফের বলা সংক্রান্ত জানুনঃ https://ifatwa.info/4851/?show=4854#a4854
.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...