বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হজ্ব ফরজ হয় দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে ব্যক্তির উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।
সে হিসেবে দেখতে হবে বর্তমানে হজ্ব করতে গেলে কত টাকা লাগবে। সে টাকা উক্ত ব্যক্তির কাছে থাকলে তার উপর হজ্ব করা আবশ্যক।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরিফে এরশাদ করেনঃ
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
(তরজমা) মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহরউদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিতযে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭
,
★ফাতওয়ার কিতাবে এসেছেঃ
যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচের অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সম্পত্তি আছে, যা দ্বারা হজ্জে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্জকালীন সাংসারিক খরচ হয়ে যায়, তার উপর হজ্জ করা ফরয। (আদ্দুরুল মুখতার মা‘আ রদ্দিল মুহতার ২/৪৫৮)
হজ্জ যে বছর ফরয হয় সে বছরই তা আদায় করা ওয়াজিব। গ্রহণযোগ্য কোনো ওযর ছাড়া হজ্জ বিলম্বিত করলে গুনাহ হবে। তবে পরবর্তীতে হজ্জ আদায় করে নিলে এই গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৫১৭ রশীদিয়া, কিতাবুল মাসাইল ৩/৭৬)
,
মহিলাদের উপর হজ্বঃ
দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে এবং সফর সঙ্গি হিসেবে স্বামী বা মাহরাম কেউ থাকলে ঐ মহিলার উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।
স্বামী উভয়ের খরচ বহনে সক্ষম হ’লেই স্ত্রীর উপর হজ্জ ফরয হয় না।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বাড়ির বানানোর জন্য টাকা জমালে সেই জমানো ১০ লাখ টাকার জন্য হজ্জ ফরজ হবে কিনা, মাসয়ালাটি নির্ভর করে বাড়ি বানানো তার উপর আবশ্যক কিনা,তার উপর।
যদি তাদের নিজ জায়গায় ভালোভাবে থাকার মতো বাসা বানানো না থাকে,সেক্ষেত্রে তার উপর হজ্জ ফরজ হবেনা।
হ্যাঁ যদি তাদের নিজ জায়গায় ভালোভাবে থাকার মতো বাসা বানানো থাকে,তাহলে তার উপর হজ্জ ফরজ হবে।
★স্বামী বা মাহরাম পুরুষ না থাকলে মহিলাদের উপর হজ্জ ফরজ হয়না।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি স্বামী বা নিজ ভাই/মামা/চাচা/দাদা/নানা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষকে নিয়ে হজ্জে যাবেন।
(০২)
১,
মালি থেকে জিজ্ঞাসা করেই গাছ নিতে হবে।
পূর্বে অনুমতি না নেয়ায় বিষয়টি মালিকে এখন জানাতে হবে।
নতুবা গুনাহ হবে।
২,
এটি নকলের অন্তর্ভুক্ত, বিধায় তাহা জায়েজ নেই।
(০৩)
আপনি এখন কোনো গরিবকে মান্নত আদায়ের নিয়তে কুরআন শরীফ ও কিছু টাকা দিয়ে দিবেন।
তাহলে হয়ে যাবে।
(০৪)
★এখন আপনার এই জমি বিক্রি করে অন্য কোথাও মসজিদ করা যাবে।
★বা এই জমি বিক্রি করে অন্য কোন ভালো কাজে দান সাদাকা করা যাবে।
★আর আপনি যদি চান যে, জমি থাকবে এই ভাবেই ওয়াকফ করে রাখব আর টাকা টা অন্য মসজিদে দান করে দিব.তাহলেও জায়েজ আছে।
কোনো সমস্যা নেই।
সবই আপনার ইচ্ছাধীন।
(০৫)
এক্ষেত্রে তাকে পূর্বের বছর গুলোর হিসাব করে যাকাত আদায় করতে হবে।
তার পূর্বের বছর গুলির যাকাতের হিসাব মনে না থাকায় সে প্রবল ধারনার উপর ভিত্তি করে এমাউন্ট নির্ধারন করে যাকাত দিবে।