আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)

১.বাড়ির বানানোর জন্য টাকা জমালে সেই জমানো ১০ লাখ  টাকার জন্য কি হজ্জ ফরজ হবে?
হজ্জ না করে বাড়ি বানালে গুনাহ গার হবো? আমি একজন নারী আর
আমার  ছেলে সন্তান ও নাই হজ্জ ফরজ হলে যাওয়ার লোক নাই৷ তাহলে কিভাবে আদায় করবো?

২.আস সালামু আলাইকুম
আমার কিছু জিজ্ঞাসা আছে
১.কলেজ থেকে গাছ নেয়া যাবে?উন্নয়ন বাবদ আমাদের  থেকেই টাকা নেওয়া হয়,এবং গাছ ছাটাই অথবা তুলে ফেলা হয় প্রায়ই।
আজকে গাছ নেওয়ার সময় মিস বলেছেন জিজ্ঞেস করে নিতে মালির থেকে কিন্তু পূর্বে না বলে আমারা বান্ধবীরা নিয়েছিলাম এখন কি গুনাহ হবে? হলে কি করতে পারি?
২. আমি accounting নিয়ে পড়ছি আমাদের 90%প্রশ্ন math related পরীক্ষার সময় সব math মনে থাকেনা ভুলে গেলে কারো টা দেখলে কি গুনাহ হবে অথবা জিজ্ঞেস করেল?একবার শুনেছিলাম এই বেপারে তাই জানতে চাই।

৩.আসসালামু আলাইকুম,
আমি ২০০৫-১২ সাল পযন্ত অনেক  অসুস্থ ছিলাম।তখন কত ধরনের নিয়ত করা হয়।  কিন্তু  সুস্থ হওয়ার পর।তার মানত দেওয়া হয় নাই। যেমন সুস্থ হলে কত জিল কোরআন শরীফ দান করার কথা ছিল।আর দেওয়া হয় নাই।  মাজারে কত কিছু দেওয়ার কথা ছিল দেওয়া হ নাই। কাল কেয়ামতের মাঠে ধরা হবে।আমি তো ভূলে গেছি। কি কি দান করার কথাছিল।
এখন আমি কি করতে পারি?

৪.আসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লা

 আজ থেকে কয়েক বছর আগে আমাকে আল্লাহ হেদায়েত দান করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। তখন নিয়ত করেছি আমি আমার যে ওয়ারিশ এর জমি পাবো সেটা মসজিদের জন্য দান করে দিব। তার পর আমি আমার বোনের সাথে শেয়ার করলাম বোন ও রাজি হয়েছিলো আলহামদুলিল্লাহ। তারপর সবাই কে আমার ইচ্ছের কথা বলার পর মিক্সর কমেন্ট পেলাম না এর দিক বেশি ছিলো। কারন আগে থেকে আমাদের গ্রামে মসজিদ ছিল একটা আর আমাদের জমির সামনের দিকে বাড়ি থাকেও পিছনে কোন বাড়ি নাই। আবার এলাকা টা দুই ভাগ হওয়ার সম্ভবনা। তার পর থেমে গেলাম আর বড় কথা হল জমি আমার মায়ের এখানে মামা ও অনেক এক্সকিউস দেখায়।কিন্তু কেন যেন এই জমির প্রতি আমার টান আল্লাহ জানেন। আশা করেছিলাম এক পাশে মসজিদ হবে এক পাশে এতিম খানা (যেখানে নাম মাত্র ফি/বিনামুল্যে পড়ানো হবে) আর অল্প জায়গা রাখবো পারিবারিক কবরস্থান এর জন্য।জানি না আমার স্বপ্ন কোন দিন আল্লাহ কবুল করবেন কি না। আর বড় কথা হল এত বড় কাজে হাত দেয়ার মত কেশ টাকা ও নাই শুধু মোহরানা থেকে ৫০ হাজার রেখেছিলাম।
★এখন আমার এই জমি বিক্রি করে অন্য কোথাও মসজিদ করা যাবে কি না..?
★বা এই জমি বিক্রি করে অন্য কোন ভালো কাজে দান সাদাকা করা যাবে..?
★নাকি জমি থাকবে এই ভাবেই ওয়াকফ করে রাখব আর টাকা টা অন্য মসজিদে দান করে দিব...?
বুঝতে পারছিনা বার বার মনে হচ্ছে আমি মারা গেলে টাকা বা জমি যদি হালাল কাজে ব্যবহার না করা হল। তো আমি আল্লাহর কাছে কি জবাব দিব। সবার কাছে দুয়া চাই আমি ও আমার ফেমিলির প্রতিটি সদস্য যেন দ্বীনের পথে অটল থাকি। আপনাদের জন্য ও সেম দুয়া রইল।
*আফয়ান লিখা অনেক বড় হয়েছে আর আমি গুছিয়ে লিখতে পারিনি কষ্ট করে বুঝে নিবেন।

৫.আসসালামু আলাইকুম।
দ্বীনের বুঝ না থাকা অবস্থায়, অথবা কারো উদাসীনতায় যদি কয়েক বছর যাকাত না দিয়ে থাকে, এবং যাকাতের পরিমাণ উক্ত বছরগুলোর জন্য স্মরণে না থাকে, সেক্ষেত্রে তার কী করণীয় বলবেন প্লীজ।

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হজ্ব ফরজ হয় দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে ব্যক্তির উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।

সে হিসেবে দেখতে হবে বর্তমানে হজ্ব করতে গেলে কত টাকা লাগবে। সে টাকা উক্ত ব্যক্তির কাছে থাকলে তার উপর হজ্ব করা আবশ্যক।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরিফে এরশাদ করেনঃ   
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
 (তরজমা) মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহরউদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিতযে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭
,

★ফাতওয়ার কিতাবে এসেছেঃ   
যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচের অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সম্পত্তি আছে, যা দ্বারা হজ্জে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্জকালীন সাংসারিক খরচ হয়ে যায়, তার উপর হজ্জ করা ফরয। (আদ্দুরুল মুখতার মা‘আ রদ্দিল মুহতার ২/৪৫৮)

হজ্জ যে বছর ফরয হয় সে বছরই তা আদায় করা ওয়াজিব। গ্রহণযোগ্য কোনো ওযর ছাড়া হজ্জ বিলম্বিত করলে গুনাহ হবে। তবে পরবর্তীতে হজ্জ আদায় করে নিলে এই গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৫১৭ রশীদিয়া, কিতাবুল মাসাইল ৩/৭৬)
,

মহিলাদের উপর হজ্বঃ

দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে এবং সফর সঙ্গি হিসেবে স্বামী বা মাহরাম কেউ থাকলে ঐ মহিলার উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।

স্বামী উভয়ের খরচ বহনে সক্ষম হ’লেই স্ত্রীর উপর হজ্জ ফরয হয় না।

বরং স্ত্রীর যদি নিজ মালিকানায় হজ ফরজ হওয়ার মতো সম্পদ থাকে,তাহলে তার উপর হজ ফরজ হবে।

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/21183/

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বাড়ির বানানোর জন্য টাকা জমালে সেই জমানো ১০ লাখ  টাকার জন্য হজ্জ ফরজ হবে কিনা, মাসয়ালাটি নির্ভর করে বাড়ি বানানো তার উপর আবশ্যক কিনা,তার উপর।

যদি তাদের নিজ জায়গায় ভালোভাবে থাকার মতো বাসা বানানো না থাকে,সেক্ষেত্রে তার উপর হজ্জ ফরজ হবেনা।

হ্যাঁ যদি তাদের নিজ জায়গায় ভালোভাবে থাকার মতো বাসা বানানো থাকে,তাহলে তার উপর হজ্জ ফরজ হবে।

★স্বামী বা মাহরাম পুরুষ না থাকলে মহিলাদের উপর হজ্জ ফরজ হয়না।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি স্বামী বা নিজ ভাই/মামা/চাচা/দাদা/নানা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষকে নিয়ে হজ্জে যাবেন।

(০২)

১,
মালি থেকে জিজ্ঞাসা করেই গাছ নিতে হবে।
পূর্বে অনুমতি  না নেয়ায় বিষয়টি মালিকে এখন জানাতে হবে।
নতুবা গুনাহ হবে।

২,
এটি নকলের অন্তর্ভুক্ত, বিধায় তাহা জায়েজ নেই।

(০৩)
আপনি এখন কোনো গরিবকে মান্নত আদায়ের নিয়তে কুরআন শরীফ ও কিছু টাকা দিয়ে দিবেন।

তাহলে হয়ে যাবে।

(০৪)
★এখন আপনার এই জমি বিক্রি করে অন্য কোথাও মসজিদ করা যাবে।
★বা এই জমি বিক্রি করে অন্য কোন ভালো কাজে দান সাদাকা করা যাবে।
★আর আপনি যদি চান যে, জমি থাকবে এই ভাবেই ওয়াকফ করে রাখব আর টাকা টা অন্য মসজিদে দান করে দিব.তাহলেও জায়েজ আছে।
কোনো সমস্যা নেই।

সবই আপনার ইচ্ছাধীন। 

(০৫)
এক্ষেত্রে তাকে পূর্বের বছর গুলোর হিসাব করে যাকাত আদায় করতে হবে।

তার পূর্বের বছর গুলির যাকাতের হিসাব মনে না থাকায় সে প্রবল ধারনার উপর ভিত্তি করে এমাউন্ট নির্ধারন করে যাকাত দিবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...