আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
295 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (91 points)
১. দয়া করে পোস্ট টি পড়ুন মুফতি সাহেব,

https://m.facebook.com/groups/NamdhariAhlehadiserMokhushUnmochon/permalink/4699924630033393/

পোস্ট এর লেখা গুলো "মালা বুদ্দা মিনহু" কিতাব থেকে নেওয়া।  মুফতি সাহেব,এই পোস্ট সম্ভর্কে কি মতামত আপনাদের?
২. হারাম মাল থেকে সদকা করছে জানার পরে কেও যদি দোয়া  করে আর আর এটা শুনে কেও আমিন বললে দুজনেই কাফের হয়ে যায়, এই রকম লেখা আছে পোস্টে। এটা ছাড়াও বিভিন্ন কথার উদাহরন দেওয়া আছে যা বললে এই পোস্টের ভাষ্য অনুযায়ী তারা কাফের হয়ে যাবে। এই বিষয়ে কি মতামত মুফতি সাহেব?

(পোস্ট টি গত অক্টোবরে ও করেছিলাম, এইবার যদি দয়া করে কিছু বলতেন ভালো হতো)
by (597,330 points)
ইউজার নামে নিজের নাম দিবেন দয়করে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কাউকে কাফের বলার ক্ষেত্রে সতঃসিদ্ধ নিয়ম সম্পর্কে  আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-
ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد،
কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা।কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একটি হল,কুফরী কথা বা মতবাদ এবং অন্যটি হল, কাফির সাব্যস্ত করা। কাউকে কাফির সাব্যস্ত করা এত সহজ নয়। কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথি রাহ এগুলো উল্লেখ করেছেন। উনার মত ফকিহ কিছু উল্লেখ করার পর আর কারো কিছু বলার নাই। সুতরাং সতর্কতার সাথে এ বিষয়গুলোকে ফলো করা জরুরী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
তাহলে মুফতি সাহেব কেও য়দি এই পোস্ট এর লেখা অনুযায়ী কোনো কথা বলে, তাহলে কি সে কাফের হয়েই যাবে? না কি আমরা এই সুরতহাল কোনো মুফতির থেকে জেনে তার ইমানি হালত জেনে নেবো?
কারণ এই খানে অনেক কথাই আছে যা অনুযায়ী কথক কাফের হয়ে যায়,কিন্তু  আপনারা বা অনেক মুফতি সাহপদের বিবেচনায় যা কাফের হয় না, এই ক্ষেত্রে আমরা কি করবো? এই রকম আমার কেও বলে ফেললে পরবর্তী কাজের জন্য করনীয় কি হবে? এট্টু দিকনির্দেশনা দিবেন?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...