ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবাজনকল্যাণ মূলক কাজ কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900
في الشامية:
والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید) فقط واللہ اعلم
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ব্যাংকের টাকায় অর্জিত সম্পদের মালিক কেউ হয়না।সুতরাং সেই সম্পদকে বন্টন করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।কিন্তু আর যদি বন্টন করে নেয়া হয় তাহলেও যার যার ভাগে ঐ হারাম সম্পদ যাবে, তারা ঐ হারাম সম্পদকে সদকাহ করে দিবেন।
(২) অবিবাহিত মেয়ের যদি নিজস্ব কোনো হালাল সম্পদ না থাকে, তাহলে অবিবাহিত ঐ মেয়ে এই সম্পদ থেকে নিজ প্রয়োজন পূর্ণ করতে পারবে।
(৩) মেয়ের বিয়ের খরচ, বিভিন্ন সময় শ্বশুর বাড়ির লোকদের আপ্যায়নের ক্ষেত্রে ( যতটুকু না করলেই নয়) বাবার ঐ হারাম টাকা ব্যবহার করা যাবে না।
(৪) মেয়ের হাজব্যান্ডরা বিভিন্ন সময় বাসায় বা পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে আসলে হাজব্যান্ড এই বাসায় খেতে পারবে না। এবং এই টাকার ঈদের কোনো উপহারও তারা গ্রহণ করতে পারবে না।
(৫) বিবাহিত মেয়ের ক্ষেত্রে হাজব্যান্ড যদি স্টুডেন্ট থাকে এবং স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব সম্পূর্ণ ভাবে নিতে সক্ষম না হয়, এবং মেয়ে বাবার বাড়িতেই থাকে তাহলে সেই মেয়ে বাবার টাকায় চলতে পারবে।যেহেতু তার স্বামী উপার্জন অক্ষম।