আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। আমার বাবা ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে কর্মরত। ব্যাংকে সুদের টাকা থাকায় তা স্পষ্ট হারাম। আমার এই ব্যাপারে অনেক কিছু জানার ছিল

(১) ব্যাংকের টাকায় অর্জিত সম্পদ কী ইসলামিক শরীয়াহ অনুযায়ী বন্টন করতে হবে? আর যদি করা হয় তাহলে তা কী আমাদের ভাই বোনদের গ্রহণ করা ঠিক হবে? যেহেতু আমাদের ইচ্ছে সেটা গ্রহণ করে সওয়াবের নিয়ত না রেখে দান করে দেয়া।

(২) অবিবাহিত মেয়ের ক্ষেত্রে করণীয় কী? যেহেতু বিয়ে হয়নি, আল্লাহ না করুক বিয়ে যদি না হয় তাহলে এই সম্পদ নিজে ব্যবহার করতে পারবে কি না?
(৩) মেয়ের বিয়ের খরচ, বিভিন্ন সময় শ্বশুর বাড়ির লোকদের আপ্যায়নের ক্ষেত্রে ( যতটুকু না করলেই নয়) বাবার টাকায় করা যাবে কি?
(৪) মেয়ের হাজব্যান্ডরা বিভিন্ন সময় বাসায় বা পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে আসলে হাজব্যান্ড কি এই বাসায় খেতে পারবে? বা ঈদে কোনো উপহার গ্রহণ করতে পারবে?

(৫) বিবাহিত মেয়ের ক্ষেত্রে হাজব্যান্ড যদি স্টুডেন্ট থাকে এবং স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব সম্পূর্ণ ভাবে নিতে সক্ষম না হয় এবং মেয়ে বাবার বাড়িতেই থাকে তাহলে সেই মেয়ে কী বাবার টাকায় চলতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবাজনকল্যাণ মূলক কাজ কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

في الشامية:
والحاصل: أنه إن علم أرباب الأموال وجب رده عليهم، وإلا فإن علم عين الحرام لايحل له ويتصدق به بنية صاحبه''. (5/99،مَطْلَبٌ فِيمَنْ وَرِثَ مَالًا حَرَامًا، ط: سعید)   فقط واللہ اعلم

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ব্যাংকের টাকায় অর্জিত সম্পদের মালিক কেউ হয়না।সুতরাং সেই সম্পদকে বন্টন করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।কিন্তু আর যদি বন্টন করে নেয়া হয় তাহলেও যার যার ভাগে ঐ হারাম সম্পদ যাবে, তারা ঐ হারাম সম্পদকে সদকাহ করে দিবেন।

(২) অবিবাহিত মেয়ের যদি নিজস্ব কোনো হালাল সম্পদ না থাকে, তাহলে অবিবাহিত ঐ মেয়ে এই সম্পদ থেকে নিজ প্রয়োজন পূর্ণ করতে পারবে।

(৩) মেয়ের বিয়ের খরচ, বিভিন্ন সময় শ্বশুর বাড়ির লোকদের আপ্যায়নের ক্ষেত্রে ( যতটুকু না করলেই নয়) বাবার ঐ হারাম টাকা ব্যবহার করা যাবে না।

(৪) মেয়ের হাজব্যান্ডরা বিভিন্ন সময় বাসায় বা পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে আসলে হাজব্যান্ড এই বাসায় খেতে পারবে না। এবং এই টাকার ঈদের কোনো উপহারও তারা গ্রহণ করতে পারবে না।

(৫) বিবাহিত মেয়ের ক্ষেত্রে হাজব্যান্ড যদি স্টুডেন্ট থাকে এবং স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব সম্পূর্ণ ভাবে নিতে সক্ষম না হয়, এবং মেয়ে বাবার বাড়িতেই থাকে তাহলে সেই মেয়ে বাবার টাকায় চলতে পারবে।যেহেতু তার স্বামী উপার্জন অক্ষম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...