আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
১। ফ্লোরে অথবা বিছানায় ছোট বাচ্চাদের প্রস্রাব শুকিয়ে যাবার পর শরীরের কোনো অংশ সেখানে লাগলে নাপাক হয়ে যাবে?

২। আমার মায়ের মৃত্যুর পর বাবা আরেকটা বিয়ে করে নেন। তখন থেকেই আমার ভাগ্যে সৎমা জুটে গেল। ওনার সাথে ১৬-১৭ বছর একসাথেই থেকেছি। কিন্তু গত রবিবার ওনার সাথে জামেলা করে বাড়ি ছেড়ে চলে আসলাম। এর আগেও মাঝে মধ্যে সামান্য জামেলা হতো, মাঝে মধ্যে কিছু কথায় ধরে ফেলতাম কিন্তু উনি ওনার মতো বরাবরই আমাকে যাচ্ছেতাই বলতো, জবানের মাধ্যমে কষ্ট দিয়ে যেত।। কিন্তু সেগুলোতে ধৈর্য ধরে কাটিয়েছি। কিন্তু এখন আর পারলাম না। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি উনার সাথে মানিয়ে চলতে পারি কি না। কিন্তু উনি যেমন স্বভাবের, আমার পক্ষে আর সম্ভব হয়নি ওনার সাথে থাকার। সবসময় হাজার রকমের কথা শুনানো, কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান, খুটা দেওয়া, জবানের মাধ্যমে কষ্ট দেওয়া, কাজ করলেও কোনো ভুল হলে ত্যাড়া-বাকা কথা শুনানো, আর না করলে তো আছেই ইত্যাদি ইত্যাদি বিভিন্নভাবে কষ্ট দেওয়া নিত্যনৈমিত্তিক রুটিন ওনার। ওনার সাথে থাকলে আমার চরিত্রও ভালো রাখতে পারবো না আশঙ্ক করছি। তাই ওনার সাথে আর থাকতে পারিনি। এখন বোনের বাসায় আছি। ভাবছি বাড়িতে আর ফিরে যাবো না। কিন্তু আমার বাবা বেচে আছেন। কিন্তু বাবা ওনার এসব কথাবার্তায় কিছু বলেন না। কিছুটা বাধ্য হয়ে, কিছুটা এমনিতেই।
আমার রাগ শুধু সৎমার প্রতিই, বাবার উপর কোনো রাগ নেই। বাবার মুখের দিকে তাকিয়েই এতোদিন বাড়িতে ছিলাম কিন্তু এখন আর পারিনি। ইসলামি দৃষ্টিতে আমি কি কোনো ভুল করেছি?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ফ্লোরে অথবা বিছানায় ছোট বাচ্চাদের প্রস্রাব শুকিয়ে যাবার পর শরীরের কোনো অংশ সেখানে লাগলে নাপাক হবে না।

(২)
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻗَﻀَﻰ ﺭَﺑُّﻚَ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﺍْ ﺇِﻻَّ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻭَﺑِﺎﻟْﻮَﺍﻟِﺪَﻳْﻦِ ﺇِﺣْﺴَﺎﻧًﺎ ﺇِﻣَّﺎ ﻳَﺒْﻠُﻐَﻦَّ ﻋِﻨﺪَﻙَ ﺍﻟْﻜِﺒَﺮَ ﺃَﺣَﺪُﻫُﻤَﺎ ﺃَﻭْ ﻛِﻼَﻫُﻤَﺎ ﻓَﻼَ ﺗَﻘُﻞ ﻟَّﻬُﻤَﺂ ﺃُﻑٍّ ﻭَﻻَ ﺗَﻨْﻬَﺮْﻫُﻤَﺎ ﻭَﻗُﻞ ﻟَّﻬُﻤَﺎ ﻗَﻮْﻻً ﻛَﺮِﻳﻤًﺎ
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।

ﻭَﺍﺧْﻔِﺾْ ﻟَﻬُﻤَﺎ ﺟَﻨَﺎﺡَ ﺍﻟﺬُّﻝِّ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﺔِ ﻭَﻗُﻞ ﺭَّﺏِّ ﺍﺭْﺣَﻤْﻬُﻤَﺎ ﻛَﻤَﺎ ﺭَﺑَّﻴَﺎﻧِﻲ ﺻَﻐِﻴﺮًﺍ
তাদের সামনে ভালবাসার সাথে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বলঃ হে পালনকর্তা, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন। (সূরা বনি ইসরাঈল-২৩-২৪)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/778

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সৎ মায়ের সাথে আপনার যোগাযোগ না থাকলেও এতে কোনো সমস্যা নেই, তবে আপনার পিতার সাথে আপনার যোগাযোগ থাকতে হবে।উনার সেবাযত্ন করা, উনাকে দেখভাল করা আপনার দায়িত্ব। সুতরাং আপনি যেভাবেই হোক, আপনার পিতার দেখভাল করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...