আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
আসসালামু আ'লাইকুম মুহতারাম।একটা আর্জেন্ট প্রশ্ন ছিল...

আমার মামা মামি brdb তে চাকরি করেন।তাদের অফিসের কর্মপদ্ধতি আর তাদের ইনকাম নিয়ে আমি সন্দিহান।আমি তাদের অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে কার্যাবলি দেখে কিছুটা বুঝেছি যে তাদের কাজ মূলত সুদসংশ্লিষ্ট।নিচে লিংক দিচ্ছি

http://brdb.bagherpara.jessore.gov.bd/site/page/8e031d8f-105f-4c55-914f-96ee69379033/%E0%A6%8F%E0%A6%95%20%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%87


http://brdb.gov.bd/site/page/126444bb-582a-4b35-9617-2a2196e63112/%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A8,%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%A8,%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%8C%E0%A6%B6%E0%A6%B2


আপনি প্লিজ দেখে একটু বলবেন যে তাদের ইনকাম হালাল হবে কি না?আমাদের রিসেন্টলি দাওয়াত দিয়েছে। তাছাড়া যেহেতু আপন মামা, বিভিন্ন ওকেশনে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন হাদিয়া,খাবার পেয়ে থাকি।এসব নেওয়া কি জায়েজ হবে?তাদের বাসায় গেলে খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে কীভাবে কী করবো?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن  كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع 
যদি এমন কেউ কাউকে কিছু হাদিয়া দেয়,যার অধিকাংশ সম্পত্তি হালাল,তাহলে সেই মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয নয়।তবে যদি সে জানতে পারে যে,দাতা হারাম থেকে দিচ্ছে তাহলে এমতাবস্থায় সেটা জায়েয হবে না।আর যদি তার মালের অধিকাংশই হারাম থাকে,তাহলে এমন ব্যক্তির হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।এমন ব্যক্তির ওখানে আহার করাও যাবে না, যতক্ষণ না সে হালাল খাবারের সংবাদ দিচ্ছে বা এটা বলছে যে,সে ধার করে নিয়ে এসে আহার করাচ্ছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণিত লিংকে প্রাথমিক দৃষ্টিতে আমরা সুদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাইনি। সুদ হল ঋণ দিয়ে অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করা। কিন্তু এখানে যা দেখেছি, সেটা হল, কৃষকদেরকে সহায়তা মূলক ঋণ দেয়া। তবে যদি তাদের এমন কোনো পদ্ধতি থাকে, যেখানে ঋণ দিয়ে অতিরিক্ত টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্রহণ করা হয়, তাহলে সেটা সুদ হিসেবে বিবেচিত হবে।

আপনার মামা মামি যদি সুদে জড়িত না হন, তাহলে তাদের ওখানে দাওয়াত খেতে,তাদের নিকট থেকে গিফট গ্রহণ করতে কোনো বিধিনিষেধ নাই। নতুবা গ্রহণ করতে পারবেন না।গ্রহণ করে নিলেও সেই পরিমাণ টাকা সদকাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (16 points)
মুহতারাম,এইযে ঋণ কর্মসূচি সেটায় ঋণ যখন আদায় করা হয় তখন সুদসহ আদায় করা হয়।যদিও এখন এই "সুদ" শব্দটির পরিবর্তে তারা "সেবামূল্য" শব্দটি ব্যবহার করেন। যেহেতু তারা সেই অফিসেই চাকরি করেন,তাহলে তাদের ইনকাম কি হালাল হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...