আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
52 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্।
উস্তাদ!

১)আমার মা অসুস্থ কিন্তু ওমরা করতে যাবে। মায়ের সাথে আমার মামাতো ভাই এবং তার বউও যাবে। মা বলতেছে উনার সাথে আমিও ওমরা করতে যেতে। কিন্তু সাথে আমার কোনো মাহরাম নেই। যেহেতু সাথে আমার মামাতো ভাই(নন মাহরাম) থাকবে এক্ষেত্রে কি আমার ওমরাতে যাওয়া উচিৎ? আমি অবিবাহিত।  তাছাড়া আমার আগে বড় হজ্জ করার ইচ্ছা। অনেকে বলতেছে, বড় হজ্জ করার আগে নাকি ওমরা করলে বড় হজ্জ নফল আর ওমরা ফরজ হয়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাই

২) ৪ রাকাআত নামাযের ক্ষেত্রে ভুল করে যদি ২ বা ৩ রাকাআতে নামায শেষ করে ফেলি,তাহলে বাকি ১ রাকাআত র জন্য কি সাহু সিজদা যথেষ্ট নাকি আবার পুনরায় পুরো নামায আদায় করতে হবে?
৩)উযু করে ঘুমানো সুন্নাত এটা জানি।কিন্তু উযু করে ২ রাকাআত নামায পড়ে ঘুমানো কি সুন্নাত?যদি সুন্নত হয়ে থাকে,তাহলে এটা কি উযুর নামায নাকি এমনিতে নফল নামায?

৪)ফাতিয়া তো বিদআত।আর ফাতিয়া দেয়া খাবার আমার জন্য হারাম নয়,কিন্তু যেহেতু উক্ত খাবারের সাথে বিদআতি একটা কর্মকাণ্ড করা হয়েছে, ফলে ওই খাবার যদি আমি নিজের জন্য অপছন্দ করে না খাই তাহলে কি কোনো সমস্যা আছে?

৫)দেনমোহর নগদ পরিশোধ করার গুরুত্ব যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন।

৬)পীরের মুরিদ হওয়া কি জরুরি?যদি কেউ পীরের মুরিদ হয় তাহলে তার কাজ কি?মানে পীর ধরা মানে কি উস্তাদ?

1 Answer

0 votes
by (677,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
কোনো নারীর জন্য মাহরাম হজ্ব,উমরাহ করা জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اكْتُتِبْتُ فِىْ غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِىْ حَاجَّةً قَالَ: اِذْهَبْ فَاحْجُجْ مَعَ اِمْرَأَتِكَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

 [‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ/হজ করো।

সহীহ : বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ مُسْلِمَةٍ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ لَيْلَةٍ، إِلَّا وَمَعَهَا رَجُلٌ ذُو حُرْمَةٍ مِنْهَا

আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মুসলিম নারীর জন্য সাথে মাহরাম (যার সাথে বিবাহ হারাম এমন আত্মীয়) ছাড়া এক রাতের রাস্তা সফর করা বৈধ নয়।
(আবু দাউদ ১৭২৩)

বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মাহরাম পুরুষ ছাড়া এভাবে আপনার উমরাহ করতে যাওয়া জায়েজ হবেনা।
এতে আপনার গুনাহ হবে। 

"বড় হজ্জ করার আগে ওমরা করলে বড় হজ্জ নফল আর ওমরা ফরজ হয়ে যায়"
এ কথা সহীহ নয়।

তবে মক্কায় গিয়ে উমরাহ এর কাজ শুরু করলে উমরাহ এর কাজ পূর্ণ করা আবশ্যক হয়ে যায়।

(০২)
৪ রাকাআত নামাযের ক্ষেত্রে ভুল করে যদি ২ বা ৩ রাকাআতে নামায শেষ করে ফেলেন,সেক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু দিয়ে কোনো লাভ হবেনা।
এক্ষেত্রে আপনি যদি সেই স্থান ত্যাগ না করেন,কাহারো সাথে কথাবার্তা না বলেন,নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ না করেন,সেক্ষেত্রে সাথে সাথেই দাঁড়িয়ে গিয়ে বাকি এক রাকাত আদায় করে শেষে সেজদায়ে দিলে আপনার নামাজ পূর্ণ হয়ে যাবে।

অন্যথায় পুনরায় সেই নামাজ আদায় করতে হবে।

(০৩)
"উযু করে ২ রাকাআত নামায পড়ে ঘুমানো সুন্নাত"
মর্মে হাদীস পাইনি।

(০৪)
এই খাবার গ্রহন না করাই উচিত। 
গ্রহন করে থাকলে কোনো গরিব মিসকিনকে দিয়ে দেয়াই উচিত। 

(০৫)
এটা স্ত্রীর হক।
যাহা স্বামীকে আদায় করতেই হবে।
নতুবা কিয়ামতের ময়দানে বান্দার হক আদায় না করার দরুন কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।

তবে স্ত্রী নিজে সন্তুষ্টি চিত্তে মাফ করে দিলে তাহা ভিন্ন কথা।

স্ত্রীর নিকট থেকে স্বামী যদি কোনো টাকা করজ নেয়,তাহলে তাহা যেমন স্বামীকে আদায় করতেই হয়।
তেমনি দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে।

স্বামী যদি সম্পূর্ণ দেনমোহরের টাকা বিবাহের সময় দিতে না পারে,মোহরে মুয়াজ্জাল হিসেবে স্ত্রীর সম্মতিতে বাকি রাখে,তাহলে বাকি রাখা যাবে।

নতুবা নগদই পরিশোধ করতে হবে।

(০৬)
পীর ধরা মানে উস্তাদ থেকে শিক্ষা অর্জন করা।
তার দিক নির্দেশনা মেনে চলা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...