জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
কোনো নারীর জন্য মাহরাম হজ্ব,উমরাহ করা জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اكْتُتِبْتُ فِىْ غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِىْ حَاجَّةً قَالَ: اِذْهَبْ فَاحْجُجْ مَعَ اِمْرَأَتِكَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
[‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ/হজ করো।
সহীহ : বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ مُسْلِمَةٍ تُسَافِرُ مَسِيرَةَ لَيْلَةٍ، إِلَّا وَمَعَهَا رَجُلٌ ذُو حُرْمَةٍ مِنْهَا
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মুসলিম নারীর জন্য সাথে মাহরাম (যার সাথে বিবাহ হারাম এমন আত্মীয়) ছাড়া এক রাতের রাস্তা সফর করা বৈধ নয়।
(আবু দাউদ ১৭২৩)
বিস্তারিত জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মাহরাম পুরুষ ছাড়া এভাবে আপনার উমরাহ করতে যাওয়া জায়েজ হবেনা।
এতে আপনার গুনাহ হবে।
"বড় হজ্জ করার আগে ওমরা করলে বড় হজ্জ নফল আর ওমরা ফরজ হয়ে যায়"
এ কথা সহীহ নয়।
তবে মক্কায় গিয়ে উমরাহ এর কাজ শুরু করলে উমরাহ এর কাজ পূর্ণ করা আবশ্যক হয়ে যায়।
(০২)
৪ রাকাআত নামাযের ক্ষেত্রে ভুল করে যদি ২ বা ৩ রাকাআতে নামায শেষ করে ফেলেন,সেক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু দিয়ে কোনো লাভ হবেনা।
এক্ষেত্রে আপনি যদি সেই স্থান ত্যাগ না করেন,কাহারো সাথে কথাবার্তা না বলেন,নামাজ ভঙ্গকারী কোনো কাজ না করেন,সেক্ষেত্রে সাথে সাথেই দাঁড়িয়ে গিয়ে বাকি এক রাকাত আদায় করে শেষে সেজদায়ে দিলে আপনার নামাজ পূর্ণ হয়ে যাবে।
অন্যথায় পুনরায় সেই নামাজ আদায় করতে হবে।
(০৩)
"উযু করে ২ রাকাআত নামায পড়ে ঘুমানো সুন্নাত"
মর্মে হাদীস পাইনি।
(০৪)
এই খাবার গ্রহন না করাই উচিত।
গ্রহন করে থাকলে কোনো গরিব মিসকিনকে দিয়ে দেয়াই উচিত।
(০৫)
এটা স্ত্রীর হক।
যাহা স্বামীকে আদায় করতেই হবে।
নতুবা কিয়ামতের ময়দানে বান্দার হক আদায় না করার দরুন কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।
তবে স্ত্রী নিজে সন্তুষ্টি চিত্তে মাফ করে দিলে তাহা ভিন্ন কথা।
স্ত্রীর নিকট থেকে স্বামী যদি কোনো টাকা করজ নেয়,তাহলে তাহা যেমন স্বামীকে আদায় করতেই হয়।
তেমনি দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে।
স্বামী যদি সম্পূর্ণ দেনমোহরের টাকা বিবাহের সময় দিতে না পারে,মোহরে মুয়াজ্জাল হিসেবে স্ত্রীর সম্মতিতে বাকি রাখে,তাহলে বাকি রাখা যাবে।
নতুবা নগদই পরিশোধ করতে হবে।
(০৬)
পীর ধরা মানে উস্তাদ থেকে শিক্ষা অর্জন করা।
তার দিক নির্দেশনা মেনে চলা।
বিস্তারিত জানুনঃ-