আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১)শায়খ আমি সরকারি চাকরি করি। চাকরি চলাকালীন সরকার করোনা কালীন সময়ে যারা ফ্রেন্টলাইনার হিসেবে কাজ করছে তাদের জন্য কিছু সম্মানী দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছিল।এখন এই টাকা আমাদের পেতে হলে তাদেরকে কিছু টাকা ঘুষ দিতে হবে....এখন আমার প্রশ্ন হল এইভাবে ঘুষ দিয়ে টাকা পাওয়া কি জায়েজ হবে??

২) সরকারি চাকুরিজীবী দের গভমেন্ট পেভিডেন্ট ফান্ড হিসেবে বেতন থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট কিছু টাকা জমা রাখতে হয়।এই টাকা রিটায়ার্ডের সময় একসাথে পাওয়া যায়।এর আগে যদি কেউ এই টাকা তুলতে চায় তাহলে লোন হিসেবে তুলা যায়।এবং প্রতি মাসে বেতন থেকে টাকা কেটে রাখে এবং সাথে কিছু ইন্টারেস্ট ও কেটে রাখে।লোন নেওয়ার পর যেই টাকা+ইন্টারেস্ট কেটে রাখে তা আমার নিজের ফান্ডেই জমা হয়।

আমার প্রশ্ন হল এইভাবে কি টাকা লোন হিসেবে নেওয়া জায়েজ আছে?আর যেই ইন্টারেস্ট দিতে হয় সেটা কি জায়েজ হবে???

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
" ﻓﺄﻣﺎ ﺇﺫﺍ ﺃﻫﺪﻯ ﻟﻪ ﻫﺪﻳﺔ ﻟﻴﻜﻒ ﻇﻠﻤﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻭ ﻟﻴﻌﻄﻴﻪ ﺣﻘﻪ ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﻛﺎﻧﺖ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﺣﺮﺍﻣﺎ ﻋﻠﻰ ﺍﻵﺧﺬ , ﻭﺟﺎﺯ ﻟﻠﺪﺍﻓﻊ ﺃﻥ ﻳﺪﻓﻌﻬﺎ ﺇﻟﻴﻪ , ﻛﻤﺎ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ : ( ﺇﻧﻲ ﻷﻋﻄﻲ ﺃﺣﺪﻫﻢ ﺍﻟﻌﻄﻴﺔ ... ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ "
যদি কাউকে তার জুলুম থেকে বাঁছতে অথবা তার নিকট হতে প্রাপ্য হক্ব আদায় করতে ঘুষ দেয়া হয় তবে এই টাকা গ্রহণকারীর জন্য হারাম।এবং ঘুষ প্রদাণকারীর জন্য প্রদান করা জায়েয।যেভাবে রাসূলুল্লাহ উপরোক্ত হাদীসে দিয়েছেন। (আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৪/১৭৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/604

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজ অধিকার আদায়ের নিমিত্তে ঘুষ প্রদান জায়েয।তবে অন্যায়ভাবে কোনো জিনিষ হাসিল করার নিমিত্তে ঘুষ প্রদান সুস্পষ্ট হারাম ও নাজায়েয।

ফ্রেন্টলাইনার হিসেবে কাজ করার টাকা নিতে প্রয়োজনে ঘুষ দিতেও পারবেন।

(২)
প্রভিডেন্ট ফান্ড কয়েক প্রকার।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1246

যদি প্রভিডেন্ট ফান্ড বাধ্যতামূলক হয়, তাহলে সেই ফান্ডের মালিক এখনও কর্তৃপক্ষ, আপনি নন।তাই আপনি উক্ত ফান্ড থেকে লোন নিতে পারবেন না।

তবে যদি অপশনাল হয়, তাহলে অপশনাল ফান্ডে টাকা দেওয়াও জায়েয হবে না। হ্যা, যেহেতু এটা নিজের টাকা তাই বিনা সুদে লোন নিতে পারবেন।কোনো উপায় না থাকলে তখন ফান্ডকে ভেঙ্গে দিয়ে নিজের টাকা নিয়ে আসবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (13 points)
এটা বাধ্যতামুলক ভাবে রাখতে হয়।তবে কত রাখব সেটা নিজের ইচ্ছায়।আর ওইখান থেকে টাকা লোন হিসেবে ছাড়া নেওয়ার উপায় নাই।লোন নিলে যেই টাকা সুদ হিসেবে নিবে সেই টাকা আমার ফান্ডেই জমা হবে...আর এই ফান্ড ভাংগার ও কোন সুযোগ নাই।এই অবস্থায় আমি লোন নেওয়া কি হারাম ই হবে?
by (589,140 points)
যদি লোন গ্রহণ ব্যতিত ভিন্ন কোনো রাস্তা না থাকে, তাহলে লোন নিতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...